শ্রীমঙ্গলে ব্যবসায়ী হত্যার চেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজার চেম্বার অফ কমার্স ইন্ডাষ্ট্রিজ এর পরিচালক শ্রীমঙ্গলের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. তাজুল ইসলামকে গত সোমবার হত্যার চেষ্টায় তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছির ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিক হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতি উদ্যোগে ২৭ মে শনিবার সকাল ১১ টায় শ্রীমঙ্গল শহরে বিশাল বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল বের করেছে সর্বস্তরের ব্যাবসায়ীরা। শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ লুৎফুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম সাধারান সম্পাদক মো. আক্তার হোসেন এর পরিচালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্রীমঙ্গল ব্যবসায়ী সমিতির নব নির্বাচিত সভাপতি এ এস এম ইয়াহিয়া, সাধারণ স¤পাদক কামাল হোসেন, শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আছকির মিয়া, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ স¤পাদক এম ইদ্রিস আলী, উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তফাজ্জুল হোসেন ফয়েজ, হাজী কেরামত আলী, সাবেক ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়াসহ আরও অনেকে।
বক্তারা মামলার সকল আসামীকে অবিলম্বে গ্রেফতার পূর্বক দৃর্ষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, তাজলু হত্যা প্রচেষ্টার ঘটনায় জড়িত সকল সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও দৃষ্ঠান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ব্যবসায়ীরা তাদের আন্দোলন অব্যাহত রাখবে। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে চৌমোহনা চত্বরে মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্টিত হয়
উল্লেখ্য যে ২২ মে রাত ৮টায় চাঁদা না দেওয়ায় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের ১২নং ওর্য়াডের সদস্য মো: মশিউর রহমান রিপনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী শ্রীমঙ্গল শহরের সাগরদিঘি রোডস্থ কনিকা এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তাজুল ইসলামের উপর তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর, অতর্কিত সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট করে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় ১০জনকে আসামী করে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
এদিকে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে গতকাল শনিবার দুপুরে প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের স্বামী কে নিদোর্ষ দাবী করেছেন চাঁদাবাাজী মামলার ১নং আসামী মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের ১২নং ওর্য়াডের সদস্য মো: মশিউর রহমান রিপন এর স্ত্রী সুনিয়া রহমান রিমি। রিমি লিখিত সংবাদ সম্মেলনে দাবী করেন, তার স্বামী রোটারিয়া মো: মশিউর রহমান রিপন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি, এবং মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের ১২নং ওর্য়াডের সদস্য। তিনি ব্যবসায়ী মো. তাজুল ইসলামকে হত্যা চেষ্ঠা, চাঁদাবাজী ও মারামারির সাথে কোন ভাবেই জড়িত নয়। তিনি জানান ঘটনার সময় তার স্বামী রিপন তাহার ব্যবসায়ি প্রতিষ্ঠান শহরের ভানুগ্রাছ রোডস্থ পাচ ভাই রেষ্টুরেন্টে অবস্থান করছিলেন, যার প্রমাণ সিসি টিভিতে রয়েছে। তিনি ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষ সুষ্ঠ বিচার চান।
মন্তব্য করুন