শ্রীমঙ্গলে সরকারি রাস্তা বন্ধ ও খাল ভরাট করে পানি নিস্কাশন ব্যাহতের অভিযোগ

September 25, 2024,

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : শ্রীমঙ্গলে দেয়াল দিয়ে সরকারি রাস্তা বন্ধ ও খাল ভরাট করে পানি প্রবাহ ব্যাহতের অভিযোগে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার জিলাদপুর গ্রামের বাসিন্দরা।

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর শ্রীমঙ্গল উপজেলার জিলাদপুর এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ এর ছেলে মো.আরজু মিয়া এলাকাবাসীর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, জিলাদপুর ডিগাপারা সরকারী রাস্তা দিয়ে বিগত ৩০ বছর ধরে এলাকাবাসী যাতায়াত করে আসছিলেন। রাস্তার মধ্যস্থলে ফসলী মাঠের পানি নিষ্কাশনে তৎকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান ও স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের প্রচেষ্টায় সরকারী ভাবে একটি কালভার্ট নির্মিত হয়। যার ফলে ফসলীয় মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা কার্যকর হওয়ায় ওই এলাকা ও তার আশেপাশে মাঠের ফসল উৎপান বৃদ্ধি পায়। এমন অবস্থায় গত কয়েক মাস পূর্বে এলাকার পূর্ব লইয়ারকুল গ্রামের বাসিন্দা মৃত আব্দুল মতিনের স্ত্রী মোছাম্মদ আজিরুন বেগম, তার বাড়ির জমির সাথে সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারী রাস্তা,খাল ভরাট করে দেয়াল দিয়ে সরকারী ভাবে নির্মিত কালভার্টটি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়।

এলাকাবাসী দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে সরকারী রাস্তা ও কালভার্ট বন্ধ না করার বাধাঁ দিলেও আজিরুন বেগম, তার মেয়ে তামান্না ও তার মেয়ে জামাই কপিল আহমেদ বাধাঁ নিষেধ উপেক্ষা করে দেয়াল নির্মাণ করেন। এর ফলে পানির স্বাভাবিক চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করায় টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলী মাঠ ও আশে পাশের প্রায় ৩০-৩৫টি বাড়িঘরে পানি প্রবেশ করে বন্যার সৃষ্টি হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ এর প্রেক্ষিতে গত জুন মাসে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অভিযোগের সত্যতা দেখতে পান এবং রাস্তায় জনসাধারণের চলাচলে ও কালভার্ট দিয়ে স্বাভাবিক পানি প্রবাহ অব্যাহত রাখার সব ধরণের প্রতিবন্ধকতা ও স্থাপনা সড়িয়ে নিতে আজিরুন বেগকে নির্দেশ দেন। এসময় আজিরুন বেগম- তার মেয়ে জামাই পুলিশের সদস্য বলে জানিয়ে স্থাপনা সরাতে গড়িমসি করে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারী আদেশ অমান্য করলে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ ও স্থানীয় জনগনের সহায়তায় খাল থেকে মাটি সুরকি অপসারণ করেন এবং অবৈধ ভাবে নির্মাণাধীন দেয়াল সড়িয়ে নিতে আজিরুন বেগমকে নির্দেশনা দেন থানার ওসি। স্থাপনা সড়িয়ে না নেয়ায় গত ২০ জুন এলাকার ১২০ জন বাসিন্দার স্বাক্ষরযুক্ত একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর আবারও প্রদান করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়’। আরজু মিয়া আরও বলেন, ‘আজিরুন বেগম তার অবৈধ স্থাপনা সড়িয়ে না নিয়ে উল্টো প্রতিবাদকারী গন্যমান্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে’।

স্থানীয় জনগনের দুর্ভোগ লাঘবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি। এসময় সংবাদ সম্মেলন ওই এলাকার অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আবু তালেব জানান সরেজমিনে আবারও গিয়ে তদন্ত করে জনগণের রাস্তায় চলাচলে বাঁধা সৃষ্টি করার সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে  আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com