শ্রীমঙ্গলে শিক্ষা খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা শিক্ষা কর্তৃপক্ষের সাথে সনাকের মতবিনিময় সভা
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), শ্রীমঙ্গলের উদ্যোগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)’র সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষা খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
৩০ নভেম্বর বুধবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন এর সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রারম্ভিক বক্তব্যে সনাকের শিক্ষাখাতের কর্মসূচির ব্যাখ্যা করেন সনাক সদস্য দ্বীপেন্দ্র ভট্টাচার্য। অতপর বরুনা ফয়জুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষক সংখ্যা, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের উপস্থিতি, এস এম সি কে কার্যকর করা (নারীদের অংশগ্রহন বাড়ানো), অভিভাবকদের সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি এবং ঝরে পড়া রোধে শিক্ষকদের শিক্ষার্থীর বাড়ি পরিদর্শন, ছাত্রছাত্রীদের নিকট থেকে কোন ইভেন্টে টাকা আদায়, তথ্যের সহজ লভ্যতা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, মোঃ সাইফুল ইসলাম, সনাক সহ সভাপতি দিদার আহমেদ শাহীন এবং সনাক সদস্য মোঃ রহমত আলী প্রমূখ। সনাকের পক্ষ থেকে বিদ্যালয়ের সমস্যা সমাধানে সর্বদা সহযোগিতা করার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন শিক্ষাখাতে সনাকের দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের প্রসংশা করে জানান, বর্তমানে বরুনা ফয়জুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক স্বল্পতা নেই। শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত বিদ্যালয় পরিদর্শন করা হয়। ছাত্রছাত্রী ঝরে পড়া রোধে এবং উপস্থিতি বৃদ্ধির বিষয়ে বলেন সরকার বর্তমানে ১০০% উপবৃত্তি দিচ্ছে সে জন্য উপস্থিতি বাড়বে এবং ঝড়ে পড়া আশা করছি কমে যাবে। বিদ্যালয়ে এসএমসি সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য তহবিল গঠন করে অর্থ সংগ্রহ করতে পারেন তবে তা রশিদের মাধ্যমে এবং রেজিষ্টারে লিপিবদ্ধ থাকতে হবে। তিনি সনাকের সকল কাজে সার্বিক সহায়তা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বরুনা ফযজুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন শিক্ষকবৃন্দ সময়মত ক্লাশে উপস্থিত থাকেন এবং এসএমসির সদস্যরা ব্যস্ততার জন্য নিয়মিত সভায় আসে না। বিদ্যালয়ে যেসকল ছাত্রছাত্রী আসেন তাদের বেশির ভাগ দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়ে। তাদের ঠিকমত বই খাতা এবং স্কুল ড্রেস থাকে না যে জন্য তারা বিদ্যালয়ে আসতে চায় না। তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ের সামনে একটি গর্ত থাকায় ছেলেমেয়েরা খেলাধুলা করতে পারে না যেকোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যালয়ের সামনের গর্ত ভরাটের বিষয়ে তিনি শিক্ষা কর্তৃপক্ষসহ সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
মন্তব্য করুন