শ্রীমঙ্গলে শ্মশানঘাট ও মন্দিরের বাউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে ফেলায় থানায় অভিযোগ
সালেহ আহমদ (স‘লিপক)॥ শ্রীমঙ্গল পৌর শহরতলির ৩নং সদর ইউনিয়নের সবুজবাগ আবাসিক এলাকায় হিন্দু সম্প্রদায়ের সার্বজনীন শ্মশানঘাট এর কালী মন্দিরের দেয়াল রাতের আঁধারে ভেঙ্গে ফেলায় থানায় অভিযোগে করা হয়েছে।
অভিযোগ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, ৯ জুন রাত ৮টা হতে ১০ জুন সকাল ৭টার মধ্যে কোন এক সময়ে শ্রীমঙ্গল উপজেলার সবুজবাগ সার্বজনীন শশ্মানঘাট কালী মন্দিরের পশ্চিম পাশের দেওয়ালটি কে বা কারা ভেঙ্গে ফেলেছে। এতে মন্দিরের প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে সবুজবাগ সার্বজনীন শশ্মানঘাট কালী মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক পরিমল দাস বাদী হয়ে শ্রীমঙ্গল থানায় একটি অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ৯ জুন রাত প্রায় ৮টায় সেবায়েত মন্দির বন্ধ করে বাড়ীতে চলে যায়। পরের দিন সকাল ৭টার দিকে মন্দির এলাকা থেকে একজন ফোন করে জানান, মন্দিরের পশ্চিম পাশের দেয়ালটি কে বা কারা ভেঙ্গে ফেলেছে। তাৎক্ষণিক আমি মন্দিরে এসে দেয়াল ভাঙ্গার বিষয়টি দেখতে পাই। উপরোল্লেখিত যেকোন সময় অজ্ঞাত দুষ্কৃতিকারীরা শশ্মানঘাট কালী মন্দিরের পশ্চিম পাশের দেওয়াল ভেঙ্গে প্রায় ৭০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধন করে।
সরেজমিনে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশ কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমাদের আশেপাশে কোন মুসলিম নেই, তবে হিন্দু নাথ সম্প্রদায় রয়েছে। তাদের সৎকারের জায়গা আলাদা। যে দেয়ালটা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে তার পাশে যে নতুন সমাধিটি দেখা যাচ্ছে এই সমাধির রাতেই ঘটনাটা ঘটেছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীমঙ্গল থানার এসআই সুব্রত দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের তদন্তে মূল বিষয়টি উদঘাটিত হবে বলে তারা মনে করেন।
শ্রীমঙ্গল ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার পিয়াস দাস বলেন, শ্রীমঙ্গল থানা থেকে এসআই সুব্রত দাস এসে তদন্ত করে গেছেন। আমিও গিয়েছিলাম। যতটুকু জানতে পেরেছি, রাতে ওই এলাকার হিন্দু ধর্মাবলম্বীর একজনের সৎকারের পূর্বে বা পড়ে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে কে বা কারা বিষয়টি ঘটিয়েছে তা তদন্তকারী কর্মকর্তা উদঘাটন করবেন।
এ ব্যাপারে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই সুব্রত দাসের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি এবং তদন্তের স্বার্থে অনেকের সাথে কথা বলেছি। ঘটনার রাতে একই এলাকার এক মৃত ব্যক্তির সৎকার ছিল। এর সূত্র ধরে তদন্ত চলছে। তবে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী মুরুব্বিরা বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলে অনুরোধ করেছেন। যদি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা না হয় তাহলে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন