শ্রীমঙ্গলে ২০ লাখ টাকার টেন্ডারে অনিয়মের অভিযোগ

December 28, 2016,

সাইফুল ইসলাম॥ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বশিউক) রাবার অফিসে রাবার কাঠ প্রসেসিংয়ের জন্য প্রেসার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের বালুমাটি ভরাট কাজের টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
টেন্ডার বাক্স খোলার সময় জেএন এয়ার টেকনোলজির ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা অন্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে কার্যালয় থেকে বের করে দেয় বলে জানা গেছে।
দরপত্রে অংশ নেয়া কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন অভিযোগ করেন, জেএন এয়ার টেক-নোলজিকে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য প্রকল্পের এক কর্মকর্তার যোগসাজশে এমনটি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বশিউক রাবার বিভাগ, সিলেট জোনের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত সদর দপ্তরের পার্শ্ববর্তী রাবার কাঠ প্রসেসিং এর জন্য প্রেসার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন প্রকল্প এলাকায় একটি ডোবা ও নিচু জমিতে ১ লাখ ৬৪ হাজার ঘনফুট বালু ভরাটকরণ, সমতল ও ড্রেসিং কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়। সর্বমোট ১২টি দরপত্র বিক্রয় হলেও ৬টি প্রতিষ্ঠান দরপত্র দাখিল করে। গেল ১৯শে ডিসেম্বর দুপুরে শ্রীমঙ্গলস্থ বশিউক কার্যালয়ে দুপুর ২টায় দরপত্র খোলা হয়। দরপত্র দাখিলকারী ৬টি প্রতিষ্ঠান হলো- জোতিকা এন্টারপ্রাইজ ১৬.৯৫ টাকা, জয় এন্টারপ্রাইজ ১২.৮৫ টাকা, জামাল এন্টারপ্রাইজ ১৪ টাকা, ঢাকার জেন এয়ার টেকনোলজি ১১.৬৪ টাকা, মোমিনা এন্টারপ্রাইজ ১৩.৯৯ টাকা এবং এলটিকন এন্টারপ্রাইজ ২২ টাকা। জয় এন্টারপ্রাইজের জগমোহন স্বর্ণকার ও জামাল এন্টার প্রাইজের জামাল উদ্দিন জানান, ১৯শে ডিসেম্বর দরপত্র খোলার দিন তাদের উপস্থিতির স্বাক্ষর নেয়ার পরই প্রকল্প ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলামের সামনে ইছবপুর গ্রামের ভাড়াটে সন্ত্রাসী আরশাদ মিয়ার ছেলে রহিম মিয়া ও আতর আলীর ছেলে আজমির আলী গং জেএন এয়ার টেকনোলজির লোকজন ছাড়া দরপত্র দাখিলকারী অন্যদের দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অফিস থেকে মারধর করে বের করে দেয়। জামাল উদ্দিন বলেন, ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পে নিম্নমানের কাজ হচ্ছে। কাজটির তদারকি করছেন সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম। সেখানে পুরাতন ইটের সঙ্গে নতুন ইট মিশ্রণ করে কাজ করা হচ্ছে। নিম্নমানের রড ব্যবহার করা হচ্ছে। রাবার কাঠ প্রসেসিংয়ের জন্য প্রেসার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলামের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,এ কাজে মোট ৬টি টেন্ডার ড্রপিং হয়। এর মধ্যে আমাদের অফিসে ৪টি এবং ইউএনও অফিসে ২টি টেন্ডার ড্রপিং হয়। এ ৬টি টেন্ডারই ঠিকাদার যারা উপস্থিত ছিলেন তাদের স্বাক্ষর আছে। উনাদের উপস্থিতিতে বাক্স খোলা হয়। সব কিছু দেখা হয়। সর্বসম্মতি ক্রমে সর্বনিম্নদরদাতার নাম ফাইনাল করা হয়’।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে প্রকল্প পরিচালক জামিল আক্তার বকুল বলেন, আমি মধুপুর সরকারী কাজে ছিলাম। টেন্ডারের অনিয়মের বিষয়ে ঠিকাদার জগমোহন মৌখিকভাবে টেলিফোনে বলছিল। লিখিতভাবে আমাকে কোনো অভিযোগ দেননি।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com