শ্রীমঙ্গলে ৩১ শয্যার হাসপাতালের লোকবল ও ওষুধ দিয়ে চলছে ৫০ শয্যা হাসপাতাল
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ ‘‘জাগ্রত বিবেক. দূর্জয় তারুণ্য দূর্নীতি রুখবেই’’ এই শ্লোগান নিয়ে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ ও সেবাগ্রহীতাদের সাথে মুখোমুখি অনুষ্ঠান হয়েছে। ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লে´ে মিলনায়তনে সচেতন নাগরিক কমিটি সনাক, টিআইবি শ্রীমঙ্গল এর আয়োজনে এ মুখোমুখি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জয়নাল আবেদীন টিটোর সভাপতিত্বে সনাক সভাপতি সাংবাদিক সৈয়দ নেসার আহমদ এর পরিচালনায় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এম ইদ্রিস আলী, অধ্যাপক বদরুল আলম। এসময় সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সনাক সদস্য প্রভাষক জলি পাল, এমসিডার নির্বাহী পরিচালক মো, তুহিরুল ইসলাম মিলন, সাংবাদিক এম এ রকিব, এম সাইফুল ইসলাম, পৌর কাউন্সিলর এম এ সালাম, সাবেক ইউপি সদস্য পারভিন চৌধুরী,স্বজন সদস্য নিতেশ সুত্রধর প্রমুখ। বক্তব্যে সেবাগ্রহীতারা জানান, তারা হাসপাতালে এসে ডাক্তার ও ওষূধ পাচ্ছেনা এবং বিভিন্ন পরিক্ষা নিরিক্ষা বাহিরে এসে করতে হয়। তারা হাসপাতালে এসে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি শিকার হন। অভিযোগের জবাবে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জয়নাল আবেদীন টিটোর জানান, ৩১ শর্য্যা হাসপাতালে লোকবল ও ওষুধ দিয়ে ৫০ শর্য্যা হাসপাতাল পরিচালনা করতে হচ্ছে। ৩১ শর্য্যা হাসপাতালেই লোকবল ও ওষুধপত্র সংকট সেখানে ৫০ শর্য্যা হলে ৫০-৫৫ জনকে সব সময় সেবা দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে ছুটি এবং সরকারী বিভিন্ন সভা মিটিং এ যোগদান করতে হচ্ছে। বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষার জন্য মেশিন থাকলেও টেকনিশিয়ান না থাকার কারণে এ গুলো ব্যবহার করা যাচ্ছেনা। তারা এ সংকট ও চাহিদা কথা জানিয়ে উর্ধতন কর্র্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা। তাবে তারা অল্প সংখ্যাক জনবল দিয়েও আপ্রাণ চেষ্ঠা করছেন মানুষদের সঠিক সেবা দেওয়ার জন্য। কিন্ত সেবাগ্রহীতাদের তাৎক্ষুনিক অভিযোগ পেলে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারতেন এবং নিচ্ছেনও । পুরোনো অভিযোগ কখনো প্রমান করা যায়না। তিনি যে কোন অভিযোগ তাৎক্ষণিক তাকে জানানোর জন্য অনুরোধ জানান।
মন্তব্য করুন