শ্রীমঙ্গল গ্র্যান্ড সেলিম অডিটরিয়ামে ১০ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ॥ বধ্যভুমি সংরক্ষনকারীকে সম্মাননা
স্টাফ রিপোর্টার॥ শ্রীমঙ্গল গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের অডিটরিয়ামে উদ্বোধন করা হয়েছে ১০ দিন ব্যাপী মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র ও স্মারক প্রদর্শনী।
৩০ এপ্রিল সোমবার দুপুরে গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের সহযোগীতায় সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী সংগৃহীত মুক্তিযুদ্ধের এ স্মারক ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মো:জাহিদ হোসেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার কুমুদ রঞ্জন দেব এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শ্রীমঙ্গলস্থ ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল মোমেন, ৫৫ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল জাহিদুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতিক ফোরকান উদ্দিন, বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. হরিপদ রায়, কমলগঞ্জ রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদরুল, গ্র্যান্ড সেলিম রিসোর্টের চেয়ারম্যান সেলিম আহমদ, ফিনলে টি র ডিজিএম গোলাম মো: শিবলী।
মুক্তিযুদ্ধের তথ্য সংগ্রাহক সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় আরো বক্তব্যদেন নেপ নেতা প্রবীণ সাংবাদিক চৌধুরী নিহারেন্দু হোম সজল, মনিপুরি নারীনেত্রী জয়া শর্ম্মা, বঙ্গকবি লুৎফুর রহমান, সাংবাদিক শামীম আক্তার হোসেন, সাংবাদিক চৌধুরী ভাস্কর হোম, সাংবাদিক সুমন বৈদ্য, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব শ্যামল আচার্য্য ও সাংবাদিক শিমুল তরফদার প্রমূখ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কমলগঞ্জের দেওড়াছড়া বধ্যভুমি সংরক্ষন করে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের জন্য রহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদরুলকে সম্মাননা দেয়া হয়।
এর আগে অতিথিরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন । প্রদর্শনীতে বাঙ্গালীর স্বাধীকার আন্দোলন থেকে একাত্তর পর্যন্ত বিভিন্ন পেক্ষাপটের প্রায় আড়াইশত ছবি ও শহীদদের ব্যবহৃত বিভিন্ন স্মৃতি স্মারক রয়েছে।
প্রদর্শনীটি সকাল ৮টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত আগামী ১০দিন সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে বলে জানান প্রদর্শনীর আয়োজক বিকুল চক্রবর্তী। বিকুল চক্রবর্তী জানান, নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানাতে তিনি মুলত: এই প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকেন। তিনি জানান, স্বাধীনতার ৪৭ বছরে মৌলভীবাজার জেলার মুক্তিযুদ্ধের অনেক ইতিহাস ইতিমধ্যে হারিয়ে যাওযার পথে। যা সংরক্ষন করা খুবই জরুরী। তিনি এ প্রজন্মের তরুনদের নিয়ে তথ্যচিত্র সংগ্রহ করে তা প্রর্দশনীর মাধ্যমে নতুন প্রজন্মকে জানানোর কাজ করছেন। তিনি জানান, দেশে বিদেশে এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক প্রদর্শনীর আযোজন করেন যা ইতিমধ্যে কয়েক লক্ষ মানুষ পরিদর্শন করেছেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি কর্ণেল জাহিদ বলেন, বীরদের শ্রদ্ধা না জানালে বীরের জন্ম হবে না। সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তী এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানানোর পাশাপাশি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর সৈনিকদের শ্রদ্ধা জানানোরও সুযোগ করে দিয়েছেন। আর উপজেলার প্রাক্তন মুক্তিযোদ্ধা কুমুদ রঞ্জন দেব জানান, আমরা যে কাজ করতে পারিনি বিকুল চক্রবর্তী সে কাজ করছেন আমাদের সকলের উচিৎ বিকুল চক্রবর্তীকে সাহায্য করা।
এ ব্যাপারে সম্মাননা প্রাপ্ত কমলগঞ্জ রহিমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমদ বদ্ররুল জানান, বিকুল চক্রবর্তীর উৎসাহে তিনি কমলগঞ্জ দেওড়াছড়া বধ্যভুমি সংরক্ষন করেন।
মন্তব্য করুন