শ্রীমঙ্গল ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ নামক সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার॥ শ্রীমঙ্গল ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ নামক সংগঠনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন ও আত্মপ্রকাশ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ৪ এপ্রিল দুপুরে উপজেলার রাধানগর গ্রামে পর্যটন কল্যাণে ব্রীজের নিচে থাকা আবর্জনা পরিষ্কার করার মাধ্যমে সংগঠনের কার্যক্রমের সূচনা লগ্নের মাধ্যমে এর আত্মপ্রকাশ করা হয়।
সোমবার ১ এপ্রিল উপজেলার রাধানগরে অবস্থিত চামং রেস্টুরেন্ট এন্ড ইকো ক্যাফেতে আয়োজিত এক সভায় ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ রাধানগর, শ্রীমঙ্গল নামক সংগঠনটির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে কুমকুম হাবিবাকে আহ্বায়ক ও মো. তারিকুর রহমানকে সদস্যসচিব করা হয়। অন্যান্যরা হলেন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী শামসুল হক, সদস্য তাপস দাশ, মো. শহীদুল হক, তানভীর লিংকন, নাজমুল আহসান মিরাজ।
সংগঠনের সদস্যরা জানান, ‘শ্রীমঙ্গল পর্যটনের প্রাণকেন্দ্র রাধানগর গ্রাম। এই গ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটনের ব্যাপক সম্ভাবনা। ১ থেকে ৫ তারকা পর্যন্ত প্রায় অর্ধ শতাধিক বিভিন্ন হোটেল, মোটৈল রিসোর্ট, ইকো কটেজ, রেস্টুরেন্ট এখন এই ছোট্ট রাধানগর গ্রামেই। কিন্তু এখানে রাস্তাঘাটের বেহাল দশা, সারা বছর এখানে বিদ্যুৎ থাকে না বললেই চলে। এছাড়া এই রাধানগর গ্রামকে ঘিরে রয়েছে অনেক চা বাগান, উঁচুনিচু টিলা, পাহাড়ি আঁকাবাঁকা গ্রামীণ জনপদ, আনারস বাগান, লেবু বাগান এবং অসাধারণ এক ঝিরি/ছড়া বয়ে চলেছে, যা খুব সহজেই পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। কিন্ত এই ঝিরিতে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন দোকানপাট, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এর ময়লা, বাসাবাড়ির ময়লা ফেলে পুরো ঝিরি জুড়েই পরিনত হয়েছে আবর্জনার বাগাড়।
আরো জানান, ‘রাধানগর এলাকায় প্রবেশের পরই কিছু দূর সামনে এগুলে চোঁখে পড়ে এক অসাধারণ সুন্দর ব্রীজ। এই ব্রীজের নিচে একসময় স্থানীয় মানুষ এসে বসতো, গল্প করতো এবং ঝিরির পানির ধারার অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতো। কিন্তু এখন এই ব্রীজের নিচ ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। তাই এই গ্রামের পর্যটনকে সমৃদ্ধ করতে এবং একটি মডেল ইকো ট্যুরিজম ভিলেজ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য অত্র গ্রামের সকল পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে গত ১লা এপ্রিল ‘পর্যটন কল্যাণ পরিষদ’ নামে এক সংগঠন গঠন করা হয়।
সদস্যরা বলেন, ‘আসন্ন ঈদকে ঘিরে এই গ্রামে ব্যাপক পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যাবে। কিন্তু রাধানগরে প্রবেশ করেই ব্রিজের নিচে এই ময়লার স্তুপ খুব সহজেই পর্যটকদের নজর কারবে। তাই রাধানগর গ্রামের পর্যটন কল্যাণের প্রথম ধাপ হিসেবে সেই ব্রীজের নিচের সকল আবর্জনা পরিষ্কার করে এই সংগঠনের কার্যক্রমের সূচনা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ধারাবাহিকভাবে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে যতদিন পর্যন্ত এই গ্রাম একটি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে রুপান্তরিত না হয়।
মন্তব্য করুন