সংখ্যালুঘ সম্প্রদায়ের মন্দির ভাংচুর ও বাড়িঘরে অগ্নি সংযোগের প্রতিবাদে শ্রীমঙ্গল মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ
সাইফুল ইসলাম॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরসহ সারাদেশে সংখ্যালুঘ সম্প্রদায়ের মন্দির,বিগ্রহ,বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ,ভাংচুর,লুটপাট ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষধ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখা।
মঙ্গলবার ৮ নভেম্বর দুপুরে শ্রীমঙ্গল চৌমুহনা চত্বরে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসুচি পালন করা হয়।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষধ ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ শ্রীমঙ্গল শাখা সভাপতি স্বপন রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবশে আরো ১৫টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন,শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রণধীর কুমার দেব, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এম এ মনির ও সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান,শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী এম ইদ্রিস আলী, ডা: হরিপদ রায় প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় হিন্দুদের উপর নির্যাতন ও হিন্দুদের মন্দির, প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই দেশে সব ধর্মের মানুষের বসবাসের অধিকার রয়েছে। তাহলে কেন সব সময় এই দেশের হিন্দুদের নির্যাতন, নিপীড়ন ও মন্দিরের হামলা করে প্রতিমা ভাঙচুর করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে মন্ত্রী ছায়েদুল হকের কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানের তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং ছায়েদুল হকের মন্ত্রীত্ব বাতিল ও দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত: ৩০ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার রসরাজ দাস নামের এক হিন্দু যুবকের বিরুদ্ধে ফেসবুকে ইসলাম অবমাননার অভিযোগ এনে নাসিরনগরে ১৫টি মন্দির এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের তিন শতাধিক বাড়িঘরে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে দুর্বৃত্তরা। মন্দিরসহ বাড়িঘরে হামলার পাঁচ দিনের মাথায় পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই শুক্রবার নাসিরনগরে হিন্দুদের বাড়িঘরে আবারও আগুন দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন