সংবাদ প্রকাশের পর হাকালুকি হাওরে সঠিক পরিমাপে পোনামাছ অবমুক্ত
আবদুর রব॥ হাকালুকি হাওরে অবশেষে সঠিক পরিমাপে পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। মঙ্গলবারের একটি জাতীয় দৈনিকে ‘হাকালুকি হাওরে পোনামাছ অবমুক্ত নিয়ে নাটকীয়তা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে মৎস্য অধিদপ্তরের টনক নড়ে। ডিজির (মহা-পরিচালক) নির্দেশে অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক (মান সম্মত মৎস্যবীজ ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্প) আব্দুর রেজ্জাক ছুটে যান হাকালুকি হাওরে। বিকেলে তার উপস্থিতিতেই ডিজিটাল পরিমাপ যন্ত্রের মাধ্যমে অবশিষ্ট পোনামাছ সরবরাহকারীর নিকট থেকে বুঝে নিয়ে স্থানীয় মৎস্যবিভাগ হাওরে অবমুক্ত করে। এসময় বড়লেখা উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম সুন্দর, মৎস্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মনির”জ্জামান, জেলা মৎস্য অফিসার (রিজার্ভ) আতিয়ার রহমান, মৌলভীবাজার জেলা মৎস্য অফিসার আবদুল কুদ্দুস আকন্দ, সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান, জহির”ন্নবী, সঞ্জয় ব্যানার্জী, সমবায় অফিসার সফিকুল ইসলাম প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশে সরকারীভাবে ৮ লাখ টাকার পোনামাছ অবমুক্ত প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার ৬শ’ ৬৭ কেজি পোনার প্রথম ধাপে গত রোববার হাওরের চৌডালু বিলে ১ হাজার ৩ কেজি অবমুক্ত করার কথা। কিন্ত সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার শর্তানুযায়ী পোনামাছ অবমুক্ত না করে অনিয়মের আশ্রয় নেয়। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট দৈনিক যুগান্তরে ছাপা হলে মৎস্য অধিদপ্তরের কড়া নজরদারীতে পোনা অবমুক্ত করা হয়।
শেষ ধাপে ৩১ মে বুধবার বিকেলে নিজবাহাদুর ইউনিয়নের মেধাছাড়–য়া বিলে ৬৬৭ কেজি পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্জয় ব্যানার্জী জানান, ২৮ মে পোনামাছ অবমুক্ত করতে সরবরাকারী সামান্য বিলম্ব করে। ওজনে কম দেয়ার চেষ্টা চালালেও তা ধরা পড়ে। পরে কড়া নজরদারীতে ডিজিটাল পরিমাপের মাধ্যমে বরাদ্দের প্রায় সম্পুর্ণ পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মন্তব্য করুন