সংস্কারের এক মাসের মধ্যেই ভেঙ্গে গেল কুলাউড়ায় মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ
এম. মছব্বির আলী॥ কুলাউড়া উপজেলা দিয়ে প্রবাহিত মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের একটি স্থানে বড় ধরনের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। হাজীপুর ইউনিয়নের মন্দিরা গ্রামে মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ ওই স্থানটি মাস খানেক আগে সংস্কার করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড। সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়নম থাকার কারনে বাঁধটি ফের ভেঙ্গে গেছে বলে দাবী করছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। একটু বন্যা হলেই নদীর পানি ঢুকে অন্তত ১৫টি পরিবারের বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে ধারণা করছেন তারা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিরক্ষা বাঁধের কিছু অংশে বেশ কিছুদিন আগে ফাটলের সৃষ্টি হয়। ওই স্থানসহ আরও ৩টি স্থানের মেরামতের জন্য পাউবো ৫ লক্ষ টাকার বরাদ্দ পায়। জুন মাসের মাঝামাঝি সময় পাউবোর লোকজন বাঁশের বেড়া দিয়ে বালুর বস্তা ফেলে বাঁধের ওই স্থান সংস্কার করেন। কিন্তু সংস্কারের একমাসের মধ্যেই প্রায় সপ্তাহ খানেক আগে ওই স্থানে প্রায় ১০০ ফুট জায়গা ধসে পগে ফের বড় ধরনে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
বাঁধের বিপরীত পাশের বাড়ির বাসিন্দা আরজু মিয়া, কালা মিয়া, সুন্দর মিয়া বলেন, একটু বন্যা হলেই নদের পানি ঢুকে অন্তত ১৫টি পরিবারের বাড়িঘর নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় তাঁরা আতঙ্কের মধ্যে আছেন।
মন্দিরা গ্রামের বাসিন্দা ও হাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য আবদুল লতিফ চৌধুরী ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, পাউবোর লোকজন দায়সারা কাজ করায় বাঁধের এ অবস্থা হয়েছে। ভাঙন ঠেকাতে তাঁরা স্থানীয়ভাবে উদ্যোগ নিয়েছেন।
মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রব জানান, বিষয়টি আমরা জেনেছি। জায়গাটা স্থায়ীভাবে মেরামত করতে হলে বেশি টাকা দরকার। শুষ্ক মৌসুম ছাড়া এ কাজ হবে না। আমরা পুনরায় মেরামতের বরাদ্ধ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্প পাঠিয়েছি।
তবে তিনি সংস্কার কাজে অনিয়মের কথা অস্বীকার করে বলেন, ‘নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের বিপরীত পাশে বড় একটি পুকুর বয়েছে। যার কারনে বাঁধটি ভেঙ্গে গেছে। পুকুরটি যদি ভরাট না করা হয় তাহলে এ বাঁধ ঠিকবে না।
মন্তব্য করুন