সংস্কার-সেকাল থেকে একাল : প্রসঙ্গ প্রাসঙ্গিকতা-মুজিবুর রহমান মুজিব

March 4, 2025,

বাংলাদেশী সমাজ ও রাজনীতির সাম্প্রতিক সময়ে সব চাইতে আলোচিত তর্কিত বিষয় সংস্কার এবং শুধুই সংস্কার। জাতির স্কন্দে দেড় দশক যাবত সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসেছিল ইতিহাসের নিষ্টুর ও জঘন্যতম স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন কৃর্তত্ববাদী স্বৈর শাসন। বি,এন,পির নেতৃত্বাধীন বিশ দলীয় জোট এর লাগাতার আন্দোলন সংগ্রাম এবং পরিশেষে ছাত্র সমাজের বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার ছাত্র গনআন্দোলনে পরাভূত পরাজিত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ, পলায়ন, দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ্জামানের আন্তরিক উদ্যোগে আইনী আনুষ্ঠানিকতা মেনে আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যক্তিত্ব একমাত্র বাংলাদেশী নোবেল বিজয়ী বীর প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যমতের অন্তবর্তি কালীন সরকার গঠিত হয়েছে। একটি গ্রহনযোগ্য ও অংশ গ্রহন মূলক সংসদ নির্বাচন জাতিকে উপহার দেয়া এই অন্তবর্তী কালীন সরকারের দায়িত্ব। রাজনৈতিকদল সমূহ এই সরকারকে সেই যৌক্তিক সময় দিয়েছেন সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন। এখানেও সংস্কার এর প্রসঙ্গঁটিপ্রাসঙ্গিঁক ভাবে এসেছে আসছে। কারো কারো মতে এই সরকারকেযাবতীয় সংস্কার এর জন্য প্রয়োজনীয় সময় দেয়া উচিত। কোন কোন রাজনৈতিক দল বিশেষতঃ দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিকদল বি,এন,পির মতে পরিপূর্ন সংস্কার একটি রাজনৈতিক সরকারের দায়িত্ব। এই সরকার এর জনপ্রিয়তা ক্রমশঃ হ্রাস পাচ্ছে, তাই অবিলম্বে নির্বাচনের রোড ম্যেপ ঘোষনা করাউচিত। জামায়াতে ইসলাম এবং কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ এবং তাদের নবগঠিত রাজনৈতিকদল জাতীয় নাগরিক পার্টি সরকারকে পরিপূর্ন সংস্কার এবং সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গনপরিষদ সদস্য ভোটের ব্যবস্থার জন্য সরকারকে দাবী জানাচ্ছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে সংস্কার প্রসঙ্গেঁ জাতি দ্বিধা বিভক্ত হয়ে যাচ্ছে। সংস্কার-“রিফর্মস”- একটি প্রাচীন ধারাবাহিক পর্য্যায় ক্রমিক প্রক্রিয়া।“সংস্কার” পরিবর্তন বিকাশ বিবর্তনের মাধ্যমে আদি গুহামানব থেকে আধুনিক মানবজাতির অবস্থান। মানবজাতি সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব আশরাফুল মাকলুখাত। সনাতনি শাস্ত্রানুসারে মানুষকে আরো গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে “নররুপী নারায়ন”।মহান স্রষ্টার অপার রহমত বরকত ও করুনায় মানবজাতি মহামানব গন পৃথিবীর পাঠশালা থেকে শিক্ষা গ্রহন করে মানব জাতির অগ্রাভিযানের ইতিহাসে ঐতিহাসিক অবদান রেখেছেন। রাখছেন। সভ্যতারআদিকাল ও মধ্যযুগেধর্ম প্রচারকগন সৃষ্ট্রার একত্ব, বৈষম্যহীন সুখী সমাজ, জীবপ্রেম ও মানবতা বাদের প্রচার করেছেন সমাজ ও রাষ্ট্রগঠনে সংস্কারকের ভূমিকা পালন করেছেন। ষষ্ট শতাব্দীতে ইসলাম ধর্মের প্রচারক, মানবাধিকার, সাম্যমেত্রী স্বাধীনতার প্রবক্তা হাবিবে আল্লাহ মোহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ আরবের অন্ধকার যুগ আইয়্যামে জাহেলিয়ার মক্কা-মদিনায় এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্টা করেছিলেন। বিশাল ইসলামী সাম্রাজ্যের শাসক মহামানব মোহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ আরবের ইতিহাসে সর্বকালের একজন সেরাও সর্ব শ্রেষ্ট সংস্কারক হিসাবে খ্যাত। বিশ্ব বিখ্যাত ইতিহাসবিদ ফিলিপ হিট্রি তাঁর বিশাল গ্রহ্ণ “দি হিষ্ট্রি অব এরাবস” গ্রহ্ণে তাই উল্লেখ করেছেন। ফরাসি বিপ্লবের বরপুত্র ফরাসীদের জাতীয় বীর নেপোলিয়ান বোনাপার্ট একজন সামান্য সৈনিক থেকে সেনাপতি সেনানায়কহয়ে স্বদেশের সম্রাট হয়েছেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে সমগ্র ইউরোপ ব্যাপী গির্জা ও সামন্ত শাসকগন গনতন্ত্র ও মানবাধিকার পরিহার করে একনায়ক তন্ত্রী শাসন শোষন- প্রজা সাধারনের উপর ঝুলুম নির্যাতন করতেন। ফরাসি সম্রাটের দায়িত্বভার নিয়ে সম্রাট নৈপোলিয়ান বোনাপার্ট ফরাসি সমাজ জীবনে প্রশাসনে সংস্কার বিশেষত ব্যাংকিং খাতে সংস্কার করে শুধু স্বদেশ নয় ইউরোপের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। ফরাশি স্বৈর শাসক ঘোড়শ লুই গিলো টিনের মাধ্যমে জীবন বিসর্জন দিয়ে ফরাশি বিপ্লবের ইতিহাসে বেদনার খলনায়ক হিসাবে কুখ্যাত। ফরাশি বিপ্লবের বরপুত্র সম্রাট নেপোলিয়ান বোনপার্ট তাঁর সংস্কার কাজের জন্য এখনও স্মরনীয় ব্যাক্তিত্ব। “সংস্কার” শুধুমাত্র সরকার রাজা বাদশাহী ব্যাপার নয় এই উপমহাদেশীয় বাঙ্গাঁলি সমাজ ব্যবস্থায় কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্রপাধ্যয় সনাতনী সপ্রাদায় এর শ্রেনী বৈষম্য ওজাতপাত প্রথার বিরুদ্ধে বহুবিধ আলোচিত গ্রহ্ণ রচনা করে পাঠক প্রিয়তা ও সমাজ সংস্কারক হিসাবে খ্যাতি ও স্বীকৃতি পেয়েছেন। উপমহাদেশীয় রাষ্ট্রীয় ও রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রাম “দফাওয়ারি” আন্দোলনের কথা দেশীয় রাজনৈতিক ইতিহাসের আলোচিত অধ্যায়। বৃটিশ ভারতে মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ সাহেবের “চৌদ্দ দফার” ভিত্তিতে উপমহাদেশের বিভক্তি ও ভিন্নদেশী বৃটিশ বিদায়, ভারত বিভক্তি এবং পাকিস্তান নামে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হলে বঙ্গীঁয় বাঙ্গাঁলিদের ভাগ্য উন্নয়ন প্রয়োজনীয় দফাওয়ারী সংস্কার হয়নি, পাকিস্তান রাষ্ট্র হিসাবে টিকে নি- বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। ষাটের দশকে প্রাদেশিক স্বায়ত্ত শাসনের দাবী সম্বলিত শেখ মুজিবের ছয় দফা কর্মসূচী এবং উনসত্তোরে ছাত্র সমাজের এগারো দফা কর্ম সূচীর আন্দোলনে লৌহ মানবফিল্ড মার্শাল আয়ুব খানের বিদায় হলেও সাধারন জনগন লাভবান হন নি। স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা নিয়ে আওয়ামীলীগ প্রধান-প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলেও রাষ্ট্র পরিচালনায় চরম ব্যর্থতার পরিচয় দেন। আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি সীমাহীনদূর্নীতি-আভ্যন্তরীন আওয়ামীকলহ কোন্দলের কারনে পচাত্তোরে বিয়োগান্তক পনেরোই আগষ্ট। পচাত্তোরের পনেরোই আগষ্ট উত্তর বাংলাদেশে দেশীয়রাজনীতির সমস্যা-সংকট-শুন্যতার মাঝে, সাতই নবেম্বর সিপাহী বিপ্লবের মহানায়ক হিসাবে স্বাধীনতার মহান ঘোষক জেনারেল জিয়াউর রহমানের দেশীয় রাজনীতিতে শুভাগমন। জেনারেল জিয়া চেইন অব কমান্ড, শান্তি, শৃংখলা, ফিরিয়ে আনেন। কঠোর হস্থে যাবতীয় বিভোক্ষ বিদ্রোহ দমন করেন। দেশীয় রাজনৈতিক সংকট ও শুন্যতার মাঝৈ তাঁর অনুপ্রেরনায় গঠিত হয় বাংলাদেশ জাতীয়তা বাদী দল বি,এন,পি।মহামান্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ভার নিয়ে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দেশে বহুদলীয় গনতান্ত্রীক প্রথা হিসাবে তিনি বাংলাদেশের প্রশাসনও রাজনীতিতে তিনি সংস্কার মূলক যত সব বৈপ্লবিক কর্মসূচী নিয়ে ছিলেন তা দেশীয় উন্নয়নের ইতিহাস স্বর্নালী অধ্যায়।কৃষি বিপ্লব ও কৃষি উন্নয়নে তার খাল কাটা কর্মসূচীর ঐতিহাসিক কার্য্যক্রম দেশও জাতি এখন কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রক্ত ও রাজনীতির গৌরবোজ্জল উত্তরাধিকার এ প্রজন্মের প্রিয়নেতা, বি,এন,পি-র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলকে পরিচালনা করছেন কঠিন হস্থে। ইতিপূর্বে প্রদত্ত বি,এন,পি-র একত্রিশ দফা কর্মসূচী একটি সংস্কার মূলক কার্য্যক্রম যা দেশীয় রাষ্ট্র চিন্তক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। কোন কালেই কোন রাজনৈতিক দলের সামান্য সদস্য না হয়েও স্বাধীনতার গোপন সংগঠন নিউ ক্লিয়াসের জনক স্বাধীনতার সংগঠক দার্শনিক সিরাজুল আলম খান এর রাষ্ট্র সংস্কার মূলক চৌদ্দ দফা কর্মসূচী বিগত দশকে রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তকদের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধান মন্ত্রীর ক্ষমতার মধ্যে ভারসাম্য সৃষ্টির লক্ষ্যে সাংবিধানিক সংশোধনী তাত্বিক সিরাজুল আলম খান পুস্তিকাকারে প্রকাশিত প্রশাসনিক সংস্কার মূলক চৌদ্দ দফা কর্ম সূচী পুস্তিকায় ব্যাপক ভাবে আলোচিত। চৌদ্দ দফার নয়নম্বর দফায় দুর্বল গনতন্ত্র ও দায়িত্ব জ্ঞানহীন রাজনীতির সহায়ক শক্তি যোগান দিতে ন্যেশনেল সিকিউরিটি কাউন্সল এন,এস,সি এর কথা বলা হয়েছে। এই কাউন্সিলে তিন বাহিনীর প্রধান বিভিন্ন সংস্থা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব মূলক ব্যক্তিত্ব সহ একটি সর্বদলীয় সার্বজনীন শাক্তিশালী কমিটির কথা বলা হয়েছে। বিষয়টি দেশীয় স্বাধীনতা অখন্ডতা নিরাপত্তা ও সংহতি এবং জাতীয় স্বার্থ সংরক্ষনের বিষয় বিধায় সার্বজনীন অংশগ্রহন ও সমর্থন প্রয়োজন। ভূ-রাজনীতিগত ব্যাপারে আমাদের অবস্থান এবং নাযুক রাখাইন রুহিঙ্গাঁ সংক্রান্ত ব্যাপারে জাতির একটি সার্বক্ষনিক জাতীয় ঐক্যমত প্রয়োজন। রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক সিরাজুল আলম খাঁন১৯৬২সালে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্টার গোপন সংগঠন “নিউ ক্লিয়াস” গঠন করেছিলেন। তিনি ঐ সময় পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে সার্বক্ষনিক ছাত্র রাজনৈতিক নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। অকৃতদার সিরাজুল আলম খান এর পরিবার ঘর সংসার ছিল না। তিনি তাঁর সহকর্মিগনকে সন্তানের মত সহোদরের মত ভালোবাসতেন। জাসদনেতা, বিশিষ্ট সাংবাদিক এম,এ, রহিম সিরাজুল আলম খান এর রাজনৈতিক সচিব হিসাবে আজীবন দায়িত্ব পালন করেন। বিগত ড. ফখর উদ্দিন এর নেতৃত্বে তত্ত¦াবধায়ক সরকার গঠিত হলে বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচীর ঘোষনা করা হয়েছিল। সেই সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভি,আই,পি লাউজ্ঞেবিগত ১২ইং অক্টোবর ২০০৮সালে সকাল এগারো ঘটিকায় প্রেসকনফারেন্স এর মাধ্যমে আত্ব প্রকাশ করে চৌদ্দ দফা চেতনা পরিষদ। প্রতিষ্টানের আহ্বায়ক ছিলেন ষাটের দশকের সাংবাদিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মহামান্য হাই কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী মুজিবুর রহমান মুজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন সাবেক সাংসদ গাজি আব্দুল হাই, সদস্য সচিব ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজি আব্দুল লতিফ এবং মুখপাত্র ছিলেন সিরাজুল আলম খাঁন এর রাজনৈতিক সচিব সাংবাদিক এম,এ রহিম। প্রশাসনিক সংস্কার মূলক চৌদ্দ দফা কর্মসূচীর প্রনেতা তাত্বিক সিরাজুল আলম খান আর আমাদেরমধ্যে বেঁচে নেই। গেল বছর আমাদের মায়া কাটিয়ে এখন তিনি মায়ের কবরে চীরশয়ানে। সৎ, নির্লোভ, সাদামনের মানুষ সিরাজুল আলম খান এর উজ্জল স্মৃতির প্রতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা-তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি।সাংবাদিক এম,এ রহিমের সংগ্রহ শালায় প্রেসক্লাবের সেই প্রেস কনফারেন্স এর আলোকচিত্র আমাকে শোকাহত আবেগ আপ্লুত করে-কারন সাবেক সাংসদ গাজি আব্দুল হাই এবং সদস্য সচিব কাজি আব্দুল লতিফ আর আমারদের মধ্যে বেঁচে নেই-পরলোকে। তাঁদের উজ্জল স্মৃতি গভীর শ্রদ্ধা ও রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। সংস্কার সময়ের দাবী। সংস্কার একটি ধারাবাহিক ও পর্য্যায় ক্রমিক প্রক্রিয়া। ড. ফখর উদ্দিন এর নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত তত্তাবধায়ক সরকার দেশের বিদ্যান বুদ্ধিমান জ্ঞানী গুনী জনকে নিয়ে গঠিত হলেও টানা দুই বছরেও কাজের কাজ কিছুই হয় নি-তবে বলা হয় ভোটার তালিকার কথা। ডক্টর ফখর উদ্দিনের সরকার “ন-বডি ইজএবাবল-এভরিবডি ইজ ইকুয়েল ইনদি আইঅবল” ঘোষনা দিয়ে অভিযান ও গ্রেপ্তার শুরু করলে ও সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিরপেক্ষতা অক্ষুন্ন রাখতে পারেন নি দেশী-বিদেশী চক্রান্তে অন্ধ আওয়ামী আনুগত্য, তৎকালীণ সেনাপ্রধান জেনারেল মঈন ইউ আহমদ এর ভারত সফর-ভারত সরকার এর অশ্ব উপহার- “হর্স ডিপ্লমেসি” সরকারকে ভারত পহ্ণী করে ষড়যন্ত্রের পক্ষপাত দুষ্টনির্বাচনে আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনা হয়- শেখ হাসিনা প্রধান মন্ত্রী হন, সেই যে, তিনি বসে ছিলেন আর যান নি ছাত্র গনআন্দোলনে ভারত পালিয়ে গেছেন। ডক্টর ফখর উদ্দিন জে. মঈন উদ্দিন এখনও দেশান্তরে। আমাদের দেশ প্রেমিক সেনাবাহিনী এবং যোগ্য সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামান পাঁচই আগষ্টের ছাত্র গনআন্দোলনে ক্ষমতা লোভ মোহের বশবর্তী না হয়ে দেশ ও জাতিকে গৃহযুদ্ধ মহা বিপর্য্যরে হাত থেকে রক্ষা করেছেন-রাজনৈতিক দল সমূহকে নিয়ে ড. প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে জাতীয় এক্যমতের অন্তবর্তী কালীন সরকার গঠনে সহায়তা করেছেন। দেশপ্রেমিক সেনা বাহিনী এখনও আইন শৃংখলা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখছেন। বর্তমানে সংস্কার নিয়ে বিতর্ক-ভিন্নমত দেখা দিয়েছে। দেশ ও জাতির আশা আকাংখার বিমূর্ত প্রতীক দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকারউজ্জামান দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে প্রাসঙ্গিঁক সময়োপযোগী মূল্যবান “বার্তা” দিয়েছেন। রাজনৈতিক অঙ্গঁন, মিডিয়া ভূবন, সুশীল সমাজ সেনা প্রধানের বার্তাকে গুরুত্ব দিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেছেন। সংস্কার ও বিভিন্ন দাবী দাওয়া পেশ করে, বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে বিব্রত করা উচিত নয়। ডক্টর ফখর উদ্দিনের নেতৃত্বাধীন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল শেখ হাসিনার ভাষায় তাদের আন্দোলনের ফল ফসল। বলাবাহুল্যতখন শেখ হাসিনাও আওয়ামী আন্দোলন ছিল লগি বৈঠার আন্দোলন রাজধানী ঢাকার রাজপথে নাবকীয় হত্যাকান্ড, তৎপূর্বে দেশীয় অর্থনীতিকে বিনষ্ট করতে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সরকারামলে একশত তেয়াত্তোর দিন হরতাল পালন। প্রফেসর ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ছাত্র সমাজের বৈষম্য বিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলনের ফসল এই সরকার জাতীয় ঐক্যমতের একটি সাংবিধানিক আইনী সরকার সমগ্র দেশ ও জাতি ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই সরকার এর সমর্থক।কাজেই সংস্কার নিয়ে অহেতুক বিতর্ক বিভ্রান্তির সৃষ্টি না করে একটি জাতীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া উচিত। মহান আল্লাহ আলকোরআনে বলেন “আল ফিতনাতু ইয়াশাদ্দু মিন কাতলে”। এই মাহে রমজানে মুমিন মুসলমানের কোরআনের বানীর বিরোধীতা করা-নাজায়েজ। গোনাহ এর কাজ। আল্লাহ আমাদের সহায় হউন-এই মোনাজাত।

[ষাটের দশকের সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধা। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। এডভোকেট হাইকোর্ট।]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com