সত্তরোর্ধ একজন ঊষা বিশ্বাস এবং মানবতা
সায়েক আহমদ॥ ঊষা বিশ্বাস। খ্রিস্টান। বয়স ৭৫। বয়সের ভারে হাঁটতেও কষ্ট হয়। সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে হাঁটাও তার পক্ষে কষ্টকর। এক মেয়ে ছিল। বিয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাস। মেয়ের জামাই উচ্চ রক্তচাপজনিত কারণে সাইকেল থেকে পড়ে মৃত্যুবরণ করলেন। রেখে গেলেন দুই মেয়ে এবং এক ছেলে। আবারো আঘাত। একমাত্র মেয়েটি দূরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে আক্রান্ত। রোগের সাথে যুদ্ধ করতে করতে সেই মেয়েও চলে গেল না ফেরার দেশে। দুই নাতনী এবং এক নাতি নিয়ে ঊষা বিশ্বাস পড়লেন অথৈ সাগরে। তারপর জীবনসংগ্রামের দীর্ঘ ইতিহাস। সামান্য কিছু সহায় সম্পত্তি ছিল। সেগুলো বিক্রি করে নাতি-নাতনীদের যতটুকু পারলেন পড়ালেন। বড় নাতনীর বিয়েও দিলেন। বরের বাড়ি দিনাজপুর। কিন্তু আবারো সমস্যা। দাম্পত্য কলহের কারণে মেয়ে চলে গেল ঢাকায়। তবে ঊষা বিশ্বাসের কাছে গচ্ছিত রেখে গেল তার একমাত্র মেয়েকে। ছোট নাতনীও চলে গেল ঢাকায়। দু বোন চাকরী নিল বিউটি পার্লারে। যা পারে মাস শেষে বৃদ্ধার জন্য পাঠায়। কিন্তু তা যৎসামান্যই।
মেয়েকে লালনপালন করেছেন। নাতি-নাতনীদেরকেও লালন পালন করেছেন। নাতিনের মেয়েকেও লালন পালন করেছেন। তবে এক পর্যায়ে নাতিন-জামাই সেই মেয়েটিকেও নিয়ে গেল দিনাজপুরে। সেখানেই সে এখন ৮ম শ্রেণিতে পড়ছে।
ঊষা বিশ্বাসের কপাল আর খুলে না। একমাত্র নাতি জুয়েল বিশ্বাস অসৎসঙ্গে থেকে থেকে পড়াশোনাটা ছেড়ে দিল। কোন কাজকর্ম করে না। ভবঘুরের মত ঘুরে বেড়ায়। নেশা ভাঙ করে এখানে সেখানে পড়ে থাকে। লোকজনের পিটুনীও খায়। তারপরও সেই নাতির প্রতি বৃদ্ধার অপরিসীম স্নেহ। নাতিকে নিয়ে এক কক্ষের এক কুঠরীতে ভাড়া থাকেন ঊষা বিশ্বাস। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার রামনগরের সেই কুঠুরী ঘরের ভাড়া হিসেবে মাস শেষে ১০০০ টাকা দিতে হয়। নাতনীদের অবস্থাও তেমন ভাল নয়। তারপরও তারা দুজন মিলে মাসে মাসে ভাড়ার টাকা পাঠিয়ে দেয়। করোনার এ মহাদুর্যোগে ঊষা বিশ্বাস মানুষের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে বেড়ান। তবে ভিক্ষা করে খান না। কোথাও কেউ তাকে সামান্য কাজ দিলে তবেই তিনি টাকা গ্রহণ করেন। বৃদ্ধ মানুষ। কাজকর্মও তেমন পারেন না। তারপরও দয়াপরবশ হয়ে কেউ কেউ তাকে দিয়ে সামান্য কাজ করিয়ে ২০/৫০ টাকা হাতে ধরিয়ে দেন। বৃদ্ধা মহিলাকে দিয়ে কাজ করাতে অনেকেই বিব্রত হন। তারপরও কাজ না করলে বৃদ্ধা সাহায্য না নেয়ায় প্রতীকি কাজ দেয়া হয় তাকে। তবে বৃদ্ধার মায়াকাড়া চেহারার কারণে সবাই তাকে খুবই পছন্দ করেন।
দু বছর আগে বৃদ্ধার সাথে আমার পরিচয় হয়। বিটিআরআই স্কুলের হাবিব বাহার চৌধুরীর বাসায় আসা-যাওয়া করেন। সাহায্য নেন। তবে কাজ না করালে সাহায্য নেন না। তাই টুকটাক কিছু কাজ করে দেন। আমি দয়াপরবশ হয়ে কিছু সাহায্য করতে চাইলেও সেই একই কথা। কি আর করা! বললাম কখনো প্রয়োজন হয়ে আমার বাসায় আসার জন্য।
হঠাৎ একদিন আমার বাসায় এসে হাজির বৃদ্ধা মহিলাটি। আমার স্ত্রীর সাথে বেশ ভাব। একই রকম আছেন বৃদ্ধা। ঐ একই নিয়মে যেদিন আসবেন সেদিন ২০/৫০ টাকার বেশি টাকা নিতে চান না। কারণ নেশাখোর নাতি বেশি টাকা পেলে মারধোর করে সে টাকাও নিয়ে যাবে। কাজেই হাবিব বাহার চৌধুরীর স্ত্রীর মত আমার স্ত্রীও একই কৌশল অবলম্বন করলেন। প্রতিদিন বিকেলে বৃদ্ধার ঝুলিতে কয়েকটি বক্সে ভাত এবং তরকারী দিয়ে দেন। সাথে সামান্য কিছু টাকা। এতেই বৃদ্ধা মহাখুশি। মাঝে মাঝে বৃদ্ধা আসেন। মাঝে মাঝে তার দেখাও পাওয়া যায় না।
এভাবে এল করোনা সংক্রমণের মহামারীর সেই ভয়াল মার্চ। যে বাসায় ভাড়া থাকেন, সে বাসাতেই আটকা পড়লেন বৃদ্ধা। কারণ করোনা সংক্রমণের ভয়ে সবাই যার যার বাসায় আশ্রয় নিয়েছেন। সরকারের আহ্বানে সবাই নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করছেন। কাজেই বাড়িওয়ালার বাসার গেট বন্ধ।
কয়েকদিন পর হঠাৎ বৃদ্ধার আগমন। আমি চাল-ডাল-তেল সহ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র দিয়ে বললাম, ‘এখন আপাতত ভাড়া বাসা থেকে আপনার আর বের হওয়ার প্রয়োজন নেই। যখন যা দরকার, আমাকে ফোন করলেই পাঠিয়ে দেব।’
মহিলার ফোনও নেই। ভবঘুরে নাতিটা যা পায়, তাই বিক্রি করে দেয়। তার জ্বালায় তার বোনরাও অতিষ্ঠ। বাড়িওয়ালা চা শ্রমিক ইউনিয়নের প্রাক্তণ সভাপতি রাজেন্দ্র প্রসাদ বুনার্জীর পরিবারও বিরক্ত। বৃদ্ধা দীর্ঘদিন ধরেই নাকি তাদের বাসাতে আছেন। রাজেন্দ্র বাবুর স্ত্রী বৃদ্ধাকে খুব পছন্দ করতেন। তাই আগে ভাড়া না দিলেও চলত। কিন্তু রাজেন্দ্র বাবুর স্ত্রীর মৃত্যুর পর ১০০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হয়। বৃদ্ধার নাতনীরা সে ভাড়া দিয়ে আসছিল।
করোনা ভাইরাসের কারণে নাতনীরাও বেকার হয়ে পড়ায় ঊষা বিশ্বাস পড়লেন মহাবিপদে। ৫ মাসের ভাড়া জমে গেছে। ওদিকে বাড়িওয়ালা নাকি ঘরটি ভেঙে নতুন করে তৈরি করবেন। কাজেই বাসাটি ছেড়ে দিতে হবে। করোনা সংক্রমণের সময় এত কম টাকায় বাসা ভাড়া পাওয়াও মুশকিল। ওদিকে ৫ মাসের ভাড়াও বকেয়া রয়ে গেছে। এ অবস্থায় বৃদ্ধার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। কারণ নাতিটা বেকার। বসে বসে খায়। দু মাস আগে প্রচণ্ড অসুস্থও ছিল। আগে নেশা ভাং খেয়ে দিন কাটাতো। ইদানীং নাকি নেশা করা ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু শারীরিক দুর্বলতার কারণে কোন কাজও করতে পারে না। ওদিকে বৃদ্ধার নেই কোন বয়স্ক ভাতার কার্ড। নেই কোন বিধবা ভাতার কার্ড। এর কারণ বৃদ্ধার কোন আইডি কার্ড নেই। আইডি কার্ড প্রস্তুতির সময় বৃদ্ধা প্রচণ্ড অসুস্থ থাকায় আইডি কার্ডও করা হয়নি। তাই কোন ত্রাণ সহায়তায় তিনি পাননি। এমতাবস্থায় বৃদ্ধার বেঁচে থাকাই মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার কারণে বাসা থেকে বের হওয়াও মুশকিল। হঠাৎ আবার আমার বাসায় এসে উপস্থিত।
আমিও পড়লাম মহাবিপাকে। কারণ নাতিটার কারণে বৃদ্ধা কোথাও ঘরভাড়াও পাচ্ছেন না। তবে এক জায়গায় আপাতত থাকার জন্য একটি বাসা নাকি পেয়েছেন। ভাড়া মাসিক ২০০০ টাকা। এক মাসের ভাড়া অগ্রিম দিতে হবে। কাজেই বৃদ্ধার এ মুহূর্তে প্রয়োজন বকেয়া বাড়ি ভাড়া সহ ৭০০০ টাকা। তারপর খাবার চিন্তা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরকম অসহায় মহিলাদেরকে সহায়তার জন্য স্থানীয় স্বচ্ছল ব্যক্তিদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন। কাজেই আমি বৃদ্ধাকে নগদ কিছু সাহায্য করে স্থায়ীভাবে কোন ব্যবস্থা করার জন্য চিন্তা ভাবনা করলাম। ফোন করলাম শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামকে। কিন্তু তিনি সম্ভবত ব্যস্ত থাকায় আমি তার সাথে যোগাযোগ করতে পারলাম না। অবশেষে একুশে টিভির সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তীকে ফোন করলাম। কারণ আমি জানতাম বিকুল এসব পরিস্থিতিতে দৌড়ে চলে আসেন। ঘটলোও তাই। পরদিনই বিকুল বৃদ্ধাকে নিয়ে ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও করলেন। বৃদ্ধার অসহায় অবস্থা তুলে ধরলেন লাইভে। যাবার সময় মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমানের সৌজন্যে কিছু ত্রাণ সহায়তা নিয়ে গিয়েছিলেন। সেগুলো বৃদ্ধার হাতে তুলে দিলেন। লাইভে সাথে সাথেই অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেল। তাৎক্ষণিক শ্রীমঙ্গল এমএম কম্পিউটারের সত্ত্বাধিকারী সোলেমান পাটওয়ারী ১০০০ টাকা এবং বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ের আইটি শিক্ষক ফয়সল আহমেদ ৫০০ টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিলেন। বিকুল চক্রবর্তী তাৎক্ষণিকভাবে লাইভে সে টাকা পরিশোধ করে দিলেন। বিকুলের সাথে ছিলেন আরেক সাংবাদিক ইমন দেব চৌধুরী এবং রাজনীতিবিদ ও কলামিষ্ট আমিরুজ্জামান।
আজ বিকেলে বিকুল চক্রবর্তী ফোন করলেন। এবার নাকি আমাকেই যেতে হবে। সাথে যাবেন প্রভাষক ও সাংবাদিক রজত শুভ্র চক্রবর্তী। বিকেল ৫টায় যাওয়ার পর ঘটল আরো কয়েকটি অভূতপূর্ব ঘটনা। আমেরিকা প্রবাসী রনি দেব বৃদ্ধাকে এই বিপদে ৬০০০ টাকা পাঠিয়ে সহায়তা করেছেন। বৃদ্ধার কোন মোবাইল ফোন না থাকায় সে টাকা থেকে ১৩০০ টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনে দেয়া হল। বাড়িওয়ালা রাজেন্দ্র বাবু বাড়িভাড়া ৫০০০ টাকা মওকুফ করে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় সার্কেল এএসপি আশরুজ্জামান সাহেব দু প্যাকেট ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়ে দিয়েছেন। সে ত্রাণ সহায়তা আমি এবং রজতবাবু বৃদ্ধার হাতে তুলে দিলাম। বৃদ্ধার নাতিকে সৎভাবে জীবন যাপনে উৎসাহিত করার জন্য বিকুল চক্রবর্তী তাৎক্ষণিকভাবে তাকে হকারের একটি অস্থায়ী চাকুরীর ব্যবস্থাও করে দিলেন।
সাংবাদিক বিকুল চক্রবর্তীর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল ২০১০ সালে। তিনি নিজ উদ্যোগে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ছবি ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংগ্রহ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রদর্শনীর আয়োজন করে থাকেন। ২০১০ সালে আমি বিটিআরআই উচ্চ বিদ্যালয়ে এরকম একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে বিকুল চক্রবর্তীকে সহযোগিতা করেছিলাম।
দৈহিক কাঠামো বিবেচনা করলে যে কেউ হয়তো চিন্তা করবে বিকুল চক্রবর্তী একজন ক্ষুদ্র মানুষ। তাকে এখনো অল্পবয়স্কই মনে হয়। কিন্তু তার চিন্তা-চেতনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। মানুষের বিপদে আপদে সবাই ঝাঁপ দিতে পারে না। তার মধ্যে অবশ্য এ ধরণের একটি দুঃসাহসিক মানসিকতা বিদ্যমান। কিছুদিন আগে তিনি বাংলাদেশের একমাত্র গিরিখাত নিয়ে একটি কৌতুহল উদ্দীপক প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন। একুশে টিভি এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সে প্রতিবেদনটি দেশজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল।
একজন ঊষা বিশ্বাসকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা দেখে আমার আত্মবিশ্বাস অনেকগুণ বেড়ে গেছে। ফেসবুকের সকল লাইভে সবাই সাড়া দেয় না। তবে বিকুল চক্রবর্তী যেভাবে ফেসবুক লাইভের মাধ্যমেই একজন অসহায় বৃদ্ধাকে করোনা সংক্রমণকালীন সময়ে সহায়তা করলেন তা অবশ্যই উৎসাহব্যাঞ্জক। অথচ এ বৃদ্ধা কোন বয়স্ক ভাতা পাননি। বিধ্বা ভাতাও পাননি। জনপ্রতিনিধিদের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেও কোন সুরাহা করতে পারেননি অসহায় বৃদ্ধা মহিলাটি। তিনি কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি। তিনি একজন খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মহিলা। কিন্তু খ্রিষ্টান মিশন থেকেও এ দুর্যোগকালীন সময়ে তিনি কোন সহায়তা পাননি। আশেপাশে অনেক স্বচ্ছল প্রতিবেশিও বৃদ্ধার দিকে ফিরেও তাকাননি। অবশ্য বৃদ্ধা হয়ত জাত্যাভিমানের কারণে কোনদিনই তাদের কাছে সহায়তাও চাননি। এটার প্রমাণ পাওয়া গেল, বিকুল চক্রবর্তীর প্রথম লাইভ প্রকাশের পরপরই বৃদ্ধার নাতনী দুজন তাদের মান সম্মান চলে গেছে বলে আক্ষেপ করায়। কিন্তু বৃদ্ধার চোখে এখন মান সম্মান আর বড় কথা হয়ে থাকেনি। ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়। এক সময় জাত্যাভিমানের কঠিন পর্দাও সরে যায়। করোনা ভাইরাস সেটা অহরহ প্রমাণ করেই দিচ্ছে। তারপরও মানবিকতা শেষ হয়ে যায়নি। ঊষা বিশ্বাসের দিকে যারা মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন, তারা সেটিই প্রমাণ করলেন। একজন ঊষা বিশ্বাসের কাহিনী থেকে হয়ত আমরা অসংখ্য ঊষা বিশ্বাস কেমন করে দিন কাটাচ্ছেন, তার আভাস পেতে পারি। এখন শুধু প্রয়োজন সবাই সবার অবস্থান থেকে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো। আসুন করোনা সংক্রমণের এ ভয়াবহ দুর্যোগে আমরা আর্ত-মানবতার সেবায় এগিয়ে আসি, মানবিকতার কাজ করি, ধর্মীয় বিধান অনুসরণ করি। স্বামী বিবেকানন্দের সেই অমর বাণীটিকে আমরা জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে অন্তরে স্থাপন করি, ‘জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর!’
[সায়েক আহমদ, প্রাবন্ধিক, কলাম লেখক, শিশু সাহিত্যিক, ০১৭১২৯৬২৩৯৩]
মন্তব্য করুন