সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে
মোহাম্মদ আবু তাহের॥ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যায়, ২৬ জুন ২০১৯ বরগুণায় শত শত মানুষের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফ নামক এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। তাঁর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী হামলাকারীদের প্রতিহত করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেও স্বামীকে রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। একজনকে আটকানোর চেষ্টা করলে দ্বিতীয় জন হামলা চালায়। দ্বিতীয় জনকে আটকানোর চেষ্টা করলে অন্য আরেক সন্ত্রাসী রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে। স্ত্রীর চিৎকারে এলাকা প্রকম্পিত হলেও আশেপাশের মানুষ এগিয়ে আসেনি। বরগুণায় প্রকাশ্যে দিবালোকে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। বিষ্ময় প্রকাশ করে আদালত বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি কোথায় গেছে! অনেকে দাঁড়িয়ে দেখলেন কেউ প্রতিবাদ করলেন না। সমাজ কোথায় যাচ্ছে? এ প্রশ্ন শুধুমাত্র মহামান্য হাইকোর্টের নয়, সচেতন দেশবাসীরও একই জিজ্ঞাসা। এ ধরণের ঘটনা প্রমাণ বহন করে একদিকে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, অন্যদিকে সমাজমানসেও বড় ধরণের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হচ্ছে। একটা চূড়ান্ত অবক্ষয়ের ভেতর দিয়ে চলছি আমরা। সামাজিক মূল্যবোধগুলো যেন এক এক করে ক্ষয়ে যাচ্ছে। ক্ষয়িষ্ণু এই সামাজিক অবস্থা থেকে উত্তরণের পথ আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। সামাজিক সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়টি যেন দিন দিন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই অকল্পনীয় নির্মম নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটে চলছে। সমাজ যেন প্রতিদিন পিছনের দিকে যাচ্ছে। স্বাধীন একটা জাতি হিসেবে যেখানে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা সেখানে যেন আমরা পশ্চাতগামী হচ্ছি। আলোর দিকে না গিয়ে সমাজ যেন যাচ্ছে অন্ধকারের দিকে। বরগুণার নৃশংস হত্যাকান্ডের খবর আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের চূড়ান্ত রূপটিই যেন প্রকাশ করে। সামাজিক অস্থিতিশীলতা থেকে সামাজিক নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় অপরাধীদের গ্রেফতার এবং দ্রুত বিচারের কথা জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ শাহরিয়ার আলম। এছাড়া এই ঘটনা যারা দাঁড়িয়ে দেখছিলেন তাদেরকেও আইনের আইনের আওতায় আনতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। মাননীয় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবী রাখে। যারা দাঁড়িয়ে ঘটনা দেখছিলেন যদি সত্যিই তাদের বিচার করা যেত তাহলে সামাজিক মূল্যবোধগুলো নতুন করে প্রতিষ্ঠা করার জন্য নিঃসন্দেহে সহায়ক ভূমিকা রাখতো।
ভিডিও চিত্র এবং প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে যে দুজন সন্ত্রাসীকে কুপিয়ে জখম করতে দেখা গেছে তারা উভয়েই ছিনতাই ও মাদক কারবার সহ নানা অপকর্মের সাথে জড়িত। এসব ঘটনায় একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে বলেও প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা গেছে। বাংলাদেশে এ ধরণের ঘটনা এর আগে আরও বহুবার ঘটেছে। বিশ্বজিতকেও সন্ত্রাসীরা ঢাকার রাজপথে হত্যা করেছিল। বাংলাদেশে এ ধরণের জঘন্য ঘটনা বন্ধ করতে হলে আইনের শাসনের পাশাপাশি প্রয়োজন সামাজিক আন্দোলন। সমাজের মানুষ যত বেশী আত্মকেন্দ্রিক হবে ততই সামাজিক অস্থিরতা বাড়বে।
বরগুণার হত্যাকান্ডের ঘটনা ও দেশের অন্যান্য স্থানের সংগঠিত নৃশংস ঘটনা প্রমাণ করে আমরা যেন ক্রমশ: বর্বরতার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের অনুভুতি যেন নড়ে উঠে না। প্রকাশ্যে রিফাত শরীফকে কুপিয়ে মারছে, আর কিছু সংখ্যক মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে আর মোবাইল ফোনে সেই দৃশ্য ধারণ করছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে যেভাবে নির্মম নৃশংস হত্যাকান্ড ঘটছে এবং নারী শিশু নির্যাতন বাড়ছে তা দেখে মনে হয় সমাজ যেন প্রতিদিন অন্ধকারের দিকে যাচ্ছে। ক্ষয়িষ্ণু এই সামাজিক অবস্থা থেকে উত্তরনের পথ সমাজ চিন্তাবিদসহ সকলকেই খুজে বের করতে হবে। নারীর প্রতি অমানবিক আচরন, সহিংসতা, ধর্ষণ, খুন বেড়েই চলেছে। এসব অপরাধ বন্ধ করতে না পারলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে। এজন্য জাগাতে হবে আমাদের মানসিকতাকে। এজন্য বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগ হওয়া দরকার। অপরাধী যখন দেখে অপরাধ করার পরেও তার শাস্তি হয় না, তখন তার মধ্যে একটা তৃপ্তি কাজ করে। পাশাপাশি অন্য অপরাধীরাও অপরাধ করতে সাহস পায়, বেপরোয়া হয়ে ওঠে। আইনের প্রয়োগ যত শক্ত হবে, শাস্তির মাত্রা যত দৃষ্টান্তমূলক হবে মানুষ আইনকে তত বেশী শ্রদ্ধা জানাতে বাধ্য হবে। এজন্য রাষ্ট্রকে আইন প্রয়োগে কঠোর হতে হবে, যাতে অপরাধী মনে করতে না পারে আইন ভঙ্গ করা তার কাছে কোন বিষয়ই নয়। মহান মুক্তিদ্ধের মাধ্যমে দেশ স্বাধীন হয়েছিল, মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা ছিল সমতা, মানবিক মূল্যবোধ ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা, দেশের মানুষের মানবাধিকার রক্ষা করা। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গঠিত স্বাধীন বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে। দেশের খেটে খাওয়া মানুষ নিজেদের শ্রম ঘাম, মেধা ও সৃজনশীলতা দিয়ে দেশের উন্নয়নের চাকা সচল রেখেছেন। নানা রকম প্রতিবন্ধকতা সত্বেও দেশের কৃষক, শ্রমিক, প্রবাসী এবং গার্মেন্টিস শিল্পে নিয়োজিত বিপুল সংখ্যক নারীরা কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দারিদ্র দূরীকরনে, সবার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশুমৃত্যু, ডায়রিয়া, ম্যালেরিয়া, যক্ষèা ও এইডস্ সহ অন্যান্য রোগ দূর করা, টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করাসহ অনেক ক্ষেত্রেই বাংলাদেশের বিস্ময়কর উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মানুষের নিরাপত্তা ও ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে এই উন্নয়ন ম্লান হয়ে যাবে – এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই। মনে রাখা দরকার মানবাধিকারই যেকোন সরকারের সাফল্য ও ব্যর্থতার অন্যতম নিরিখ। মানুষের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করতে হবে। প্রকাশ্য দিবালোকে এক বর্বরের দল রিফাত শরীফকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনাটি সারাদেশের মানুষকে হতবাক করেছে। বর্বরের দল নিরাপরাধ মানুষকে কোপাচ্ছে, অনেকগুলো মানুষ দাঁড়িয়ে দেখছে, বাস্তব ঘটনা এরূপ হতে পারে তা যেন কল্পনাও করা যায় না। এ দৃশ্য যেন সিনেমাকে হার মানায়। এ সমস্ত নির্যাতনের ঘটনার ছবি তোলার চেয়ে অপরাধীকে বিরত করার চেষ্টা করাই মানবতার দাবী। এ কাজটি সরকার হয়তো সবসময় তাৎক্ষনিকভাবে করে দিতে পারবে না। মানুষই মানুষের জন্য এগিয়ে আসতে হবে। মানুষের মানবিক মূল্যবোধ থেকেই ভয়কে দূর করে সৎ সাহসের মাধ্যমে কাজটি করতে হবে। বেশ কয়েকজন মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে চিৎকার শুরু করলে হয়তো সন্ত্রাসীদের রামদা থেমে যেত। অপরাধীকে অপরাধী ও সন্ত্রাসীকে সন্ত্রাসী হিসেবে ভাবতে হবে। অপরাধীকে অপরাধী হিসাবে না ভাবা আমাদের দেশে একটি কালচারে পরিনত হয়েছে। আমরা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপরাধীকে অপরাধী হিসাবে আখ্যায়িত করতে নারাজ। আমরা অপরাধীর ব্যক্তিগত পরিচয়কেই বড় করে দেখি। কখনও কখনও অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয়কে বড় করে দেখা হয়। অপরাধীর রাজনৈতিক পরিচয়কে, ব্যক্তিগত পরিচয়কে বড় করে দেখা কোন অবস্থাতেই উচিত নয়। কোন অপরাধ সংগঠিত হলে যার দ্বারা অপরাধ সংগঠিত হয় তার রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করাও সবক্ষেত্রে যুক্তিসংগত নয় বলে আমি মনে করি। অপরাধীর পরিচয় হউক অপরাধী। সচেতন দেশবাসী রিফাত শরীফের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দেখতে চায়। কেননা ”জাস্টিস ডিলেইড, জাস্টিস ডিনাইড”- বিলম্বে বিচার পাওয়া বিচার না পাওয়ারই নামান্তর। দেশে এখনও ভালো মানুষের সংখ্যাই বেশি। খারাপ মানুষের সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের মানুষ এখনও বিপদগ্রস্থ মানুষের পাশে দাঁড়ায়। সেজন্য সরকারী বেসরকারী পৃষ্ঠ পোষকতায় মানুষের মানবিক মূল্যবোধ জাগ্রত করার উদ্যোগ গ্রহন জরুরী। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে এক নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন সমাজ গঠনের জন্য সচেষ্ঠ থাকা দরকার। বন্যপ্রাণী আর মানুষের পার্থক্য হলো মানুষের বিবেক আছে, বন্যপ্রাণীর বিবেক নেই। কখনো মানুষ কোন বিপদে পড়লে দর্শকের ভূমিকা না রেখে সাহায্য করা দরকার। সাহায্যের চেষ্টা না করলে অপরাধী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে পার্থক্য থাকে না। সবসময় নিজের বিবেককে জাগ্রত রাখতে হবে। বিবেক দ্বারা পরিচালিত হতে হবে। বিবেকবোধকে জাগিয়ে তুলেই নিজের যাপিত জীবণকে সার্থক করে তোলা যায়।
পুলিশের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছে রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড। এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। বরগুণার পুলিশ সুপার বলেছেন নয়নকে যারা প্রশ্রয় দিয়েছে এবং তার গ্রুপে যারা সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন তাদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে। সমাজে আইনের শাসন কায়েমের জন্য এটি দরকার। দেশের মানুষ পুলিশ সুপারের বক্তব্যের বাস্তবায়ন দেখতে চায়।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নিউইর্য়কে জাতিসংঘের সদর দফতরে আয়োজিত ‘প্রথম পদক্ষেপ হোক বৈশ্বিক শিক্ষা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তব্য দেন হাসিনা ও মালালা। তারা নারী অধিকার ও শিক্ষা নিয়ে কথা বলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন আর কোন অস্ত্রের খেলা নয়, এবার আসুন শিক্ষার খেলা খেলি। আসলে শিক্ষাঙ্গনে অস্ত্রের ঝনঝনানি বন্ধ না করতে পারলে, ছাত্রদের হাতে অস্ত্র থাকলে সবার জন্য মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। নারী শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দিতে না পারলে, নারী নির্যাতন বন্ধ না করতে পারলে নারী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করতে উদ্ভুদ্ধ হবে না। এ বিষয়টি নিয়ে সরকার ও সচেতন নাগরিক সমাজ, শিক্ষক অভিবাবক সকলকেই ভাবতে হবে। কিছু সংখ্যক মানুষ নামধারীদের অমানবিক ও নিষ্ঠুর চাহিদার কারনে সমাজ ব্যবস্থাকে নষ্ঠ হতে দেয়া যায় না। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের অমানবিক ঘটনার খবর সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। একের পর এক ঘটে চলছে সহিংস ঘটনা ও নৃশংসতা যা সভ্য সমাজে কল্পনাও করা যায় না। মানুষের রক্ষা কবচ হলো সমাজ ব্যবস্থা। সেই সমাজ ব্যবস্থা যাতে অটুট থাকে সেজন্য দেশের বিবেকবান মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার। বরগুণার রিফাত হত্যা আইয়ামে জাহেলিয়াতকেই স্মরণ করিয়ে দেয়। আঘাতের পর আঘাত করে কয়েকটা নরপশুর দল রিফাতকে হত্যা করলো। সমাজের কোন মানুষ এগিয়ে আসলো না। এটি আমাদের সামাজিক দায়। এই দায় সমাজের মানুষ এড়াতে পারবে না। সহিংসতা, হত্যা, গুম, নারী নির্যাতন, জঙ্গিবাদ ও মাদকের ভয়াবহতা থেকে দেশকে মুক্ত করতে জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। তা না হলে এমন নৃশংস অমানবিক সমাজ ব্যবস্থা বহাল রেখে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করা কঠিন হবে। বার বার অমানবিক ভয়ংকর নৃশংস খুনখারাবির পেছনে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক শক্তির প্রশ্রয়ের কথাও যেন না আসে সে ব্যাপারে সরকারের সতর্ক দৃষ্টি রাখা প্রয়োজন বলে মনে করি। এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতেই হবে, স্বাধীন সার্বভৌম দেশে এ অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। যারা রিফাত শরীফকে হত্যা করেছে তাদের মতো নরপশুদের সামাজিক ভাবে বয়কট করতে হবে। বখাটেদের বিরুদ্ধে আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারী বাড়াতে হবে। এ নিবন্ধ শেষ করার আগে বলতে চাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব হলো নাগরিকের জানমালের হেফাজত করা। রিফাত শরীফ সহ এ ধরণের নৃশংস ঘটনায় যাদেরকে হত্যা করা হয়েছে তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার ব্যবস্থা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে করা যায় কিনা সরকারকে তাও ভেবে দেখা দরকার বলে মনে করি।
লেখক:- ব্যাংকার, গবেষক ও কলামিস্ট
মন্তব্য করুন