সন্ত্রাসী হামলায় গুরতর আহত তারাপাশা স্কুল এন্ড কলেজের প্রভাষক সেলিম
স্টাফ রিপোর্টার॥ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ও পূর্বশ্রত্রুতার জেরে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুরুত্বর আহত হয়েছেন রাজনগর উপজেলার তারপাশা স্কুল এন্ড কলেজের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক মো: সেলিম মিয়া। এসময় সন্ত্রাসীদের আক্রমণের কবল থেকে তিনিসহ অন্যদের রক্ষা করতে এসে আহত হন আরো ৬-৭জন। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসী হামলার শিকার কলেজ শিক্ষক সেলিম মিয়ার বড় ভাই আব্দুস শহীদ বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামী করে ২৩ অক্টোবর কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলানং ২৯/৩০১। আহত সেলিম মিয়ার পরিবার ও থানায় দায়েরকৃত এজাহার থেকে জানা যায় ২০ অক্টোবর কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের নাছনী সরকারী পাড় এলাকায় একটি সড়ক দূর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিত ভাবে পূর্বশত্রুতার জেরে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসীচক্র এই হামলার ঘটনা ঘটায়। ২০ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে ভাটেরা হতে ব্রাহ্মণবাজার গামী একটি প্রাইভেটকার নাছনী সরকারী পাড় চৌমুহনীতে একজন মহিলাকে ধাক্কা দিলে এনিয়ে একই গ্রামের মৃত কনা মিয়ার পুত্র নজরুল মিয়ার সাথে মনি মিয়ার পুত্র জয়নাল মিয়ার কথাকাটি হয়। এক পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে দু’জনের মধ্যে হাতাহাতি ও ঠেলাধাক্কা হয়। ঘটনাটি স্থানীয় ভাবে লোকজন সমাধান করে দিলেও ২২ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে ময়না মিয়ার পুত্র দুদু মিয়া ও মৃত কনা মিয়ার পুত্র নজরুল মিয়ার নেতৃত্বে তার ভাই ফখরুল মিয়া, ময়না মিয়ার পুত্র ছালেক মিয়া, সাধন মিয়ার পুত্র ছনর মিয়া, হামদু মিয়ার পুত্র ফয়েজ মিয়া,তোতা মিয়ার পুত্র কামাল মিয়া ও ময়না মিয়ার পুত্র পংকি মিয়াসহ তাদের দলবল নিয়ে দেশী অস্ত্রসহ জয়নাল মিয়ার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এসময় জয়নাল মিয়ার আতœচিৎকার শোনে তাকে ওদের কবল থেকে উদ্ধার করতে ঈসরাইল মিয়ার পুত্র কলেজ শিক্ষক মো: সেলিম মিয়া, মনই মিয়ার পুত্র আইনুল মিয়া, জনাল মিয়ার স্ত্রী আফিয়া বেগম ও হোসেন মিয়া এগিয়ে আসলে ওই সন্ত্রাসী চক্র ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপরও হামলা চালায়। তাদের এলোপাতাড়ী হামলায় দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে মাথা ও পায়ে জখম হয়ে গুরুত্বর আহত হন সেলিম মিয়া। এসময় তার কাছে থাকা ১৬ হাজার ৫শ টাকা ছিনিয়ে নেয় ও তার মোটর সাইকেল ভাংচুর করে এবং আফিয়াবেগম অনান্যদেরও মারপিট করে আহত করে। আহতদের আতœচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য কুলাউড়া হাসপাতালে নিয়ে যান। গুরুত্বর আহত কলেজ শিক্ষক সেলিম মিয়ার অবস্থতা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এবিষয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সেলিম মিয়ার বড় ভাই মো: আব্দুস সহিদ মিয়া জানান হাওরের বিল এলাকায় মাছ ধরার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাদের সাথে কিছুটা বিরোধ ছিল। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আমার ভাইসহ অনান্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত ভাবে সবার সামনে এই সন্ত্রাসীরা হামলা করেছে। এই ঘটনার পর থেকে তারা আমার পরিবারকে হত্যা, গুম ও মামলা দিয়ে নাজেহাল করার কথা বলে প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি অব্যাহত রেখেছে। তারা এলাকায় সন্ত্রাসী, দাঙ্গাবাজ ও মামলাবাজ হিসেবে পরিচিত। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার চাই। আহত কলেজ শিক্ষক প্রভাষক মো: সেলিম মিয়া জানান আমি ওই ঘটনার কিছুই জানিনি। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পর সন্ধ্যার দিকে মোটরসাইকেল যোগে বাজারে যাওয়ার পথে সরকারীপাড় আসলে মানুষের জটলা ও একজনকে মারতে দেখে আগালে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই সন্ত্রাসীচক্র আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়। তারা আমাকে বেদড়ক মারধর করে আমার পকেটে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় এবং আমার মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। আমি একজন শিক্ষক ও সমাজকর্মী এই সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। এবিষয়ে জানতে কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম মূসা ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাসুদ আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান থানায় মামলা হয়েছে ঘটনাটির তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন