সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও নাশকতা ক্ষতিকর আবর্জনার মতো ——কমলগঞ্জে কারা মহা পরিদর্শক
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ কারা মহা পরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেছেন, সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদ ও নাশকতা ক্ষতিকর আবর্জনার মত। বাড়ি ঘরের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিচ্ছন্ন রাখাসহ পাড়া মহল্লা এ নিজ এলাকাকে পরিচ্ছন্ন রাখা দরকার। সমাজের অনাচারও এক ধরনের ময়লা আবর্জনা। এগুলো দেশ ও জাতির ক্ষতি ছাড়া কোন কল্যাণ বয়ে আনতে পারে না। সমাজের নানা পেশার মানুষজনের ঐক্যবদ্ধ চেষ্টায় এসব আবর্জনা পরিষ্কার করে পরিচ্ছন্ন সমাজ গড়তে হবে। আর সুন্দর সমাজ গড়তে শিক্ষার্থীদের দেশ প্রেমিক হিসাবে গড়ে তুলতে হলে। আর আন্তরিকভাবে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে শিক্ষার্থীদেরকে।
২১ আগষ্ট রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজের গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগরের দুটি উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সংক্ষিপ্ত পারিবারিক ভ্রমনকালে শনিবার রাত আটটায় স্বেচ্ছাসেবী সমাজ সেবামূলক সংগঠন ক্লিন এন্ড বিউটিফুল শমশেরনগরের আয়োজনে শমশেরনগরে হাজী উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন। সংগঠনের সভাপতি মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদ, হাজী উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা হাজী আব্দুল কাইয়ূম প্রমুখ। পরদিন রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাহমুদুল হককে সাথে নিয়ে কারা মহা পরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন শমশেরনগর এ এ টি এম বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। বিদ্যালয় পরিদর্শণকালে কারা মহা পরিদর্শক ও কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য রাখেন। কারা মহা পরিদর্শক আরও বলেন, যখন এ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন তখন বাংলাদেশের যে অবস্থা ছিল আজ ২০১৬ সালে বাংলাদেশের অবস্থা ভিন্ন। বাংলাদেশ ক্রমান্নয়ে উন্নত হচ্ছে। এ উন্নয়ন ধারাকে ধরে রাখতে হবে। কিছু কিছু বিপদগামী মানুষ জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস ও নাশকতা কায়েম করতে গিয়ে দেশ ও জাতির বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করছে। সরকার প্রধান থেকে শুর” করে প্রশাসনিক লোকজনসহ নানা পেশার মানুষজন এসব কর্মকান্ড প্রতিরোধে সোচ্চার হয়েছেন। এখন শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ভুল পথে ধাবিত হচ্ছে।
মন্তব্য করুন