সম্প্রীতি বাংলাদেশ-সম্প্রীতি সমাবেশ ও কিছু কথা
মোহাম্মদ আবু তাহের॥ কি ভালো লাগলো আজ এই সকাল বেলায়, কেমন করে বলি, কি নির্মল এই আকাশ কি অসহ্য সুন্দর।
কবিতার এই অসাধারণ পংক্তিমালা কবি বুদ্ধদেব বসুর। লিখেছিলেন হেমন্তের এক সকালে কয়েক যুগ আগে। তিনদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা সমাপ্ত হলো হেমন্তের সুন্দর সন্ধ্যায় ২১ আশ্বিন ৬ অক্টোবর শনিবার ২০১৮।
এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অদম্য বাংলাদেশ’ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত হয়েছে, সারাদেশে তিনদিন ব্যাপী আয়োজিত মেলা এর একটি অনন্য উদাহরণ। দেশের উন্নয়নের প্রবাহ সৃষ্টি হয়েছে এ বিষয়গুলো মানুষের কাছে তুলে ধরতেই এই উন্নয়ন মেলা। বাংলাদেশ এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়শীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে, সুকান্তের অসাধারণ পংক্তিমালা বারবার উচ্চারণ করতে ইচ্ছে হয় “ সাবাস বাংলাদেশ এই পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়।” বাংলাদেশের অনেক গ্রামেও এখন বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় অনেক খেলাধুলার প্রতিযোগিতা হয়, বিস্ময়ের সংগে লক্ষ্য করা যায়, একজন দর্শক ও নেই যার পড়নে মলিন বস্ত্র দেখা যাবে। প্রায় সকল তরুন ও কিশোররাই জিন্সের প্যান্ট পরে। গ্রামের সকল মানুষের হাতে মোবাইল ফোন থাকে। আমাদের এই উন্নয়নের মূলে স্বাধীনতা, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ, আমাদের এই চমৎকার উন্নয়নের মূল কারিগর হলেন আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ। আমাদের এই দেশ আরও সামনের দিকে এগিয়ে যেত, অগ্রগতি আরও বেশী বেগবান হতো যদি সকল মানুষের মন আরও সুন্দর হতো, মানুষে মানুষে যদি সম্প্রীতির বন্ধন আরও বেশী শক্তিশালী থাকতো। অতীত ইতিহাস বলে বাংলাদেশের মানুষ কখনো সাম্প্রদায়িক ছিলনা। কবি চন্ডীদাশ বলে গেছেন,“ শুন হে মানুষ ভাই, সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই।” বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামও সরাসরি আঘাত করেছেন সাম্প্রদায়িকতার উপর। “হিন্দু না ওরা মুসলিম ওই জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারী বল ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মার।” অসাধারণ ব্যঞ্জনায় নজরুল রচনা করে গেছেন তার অমর পংক্তিমালা “মোরা একবৃন্তে দুটি কুসুম হিন্দু মুসলমান, মুসলিম তার নয়নমনি-হিন্দু তাহার প্রাণ।” বাংলাদেশের মানুষ কখনও কোন কালেই সাম্প্রদায়িক ছিলনা, যখনই সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্যই তা ঘটানো হয়েছে। ইংরেজীতে একটি কথা আছে, ঞৎঁঃয রং ংড়সবঃরসবং ংঃৎধহমবৎ ঃযধহ ঃযব ভরপঃরড়হ অর্থাৎ সত্য কখনো কল্প কাহিনীর চেয়েও অদ্ভুত হয়। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ভাবে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের কিছু কিছু ঘটনা কল্পনাকেও হার মানায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অভাবেই এসমস্ত ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। উইনষ্টন চার্চিল বলেছেন বিজয় চার ধরনের (১) সামরিক (২) রাজনৈতিক (৩) সামাজিক (৪) সাংস্কৃতিক । ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে তা হলো সামরিক। সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিজয়ের জন্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাস্তবায়ন প্রয়োজন। চেতনার শক্তিই পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় শক্তি। চেতনার শক্তি নিয়ে এগিয়ে গেলে কোন মানুষেরই পরাজয় হয় না। চেতনার শক্তিকে শাণিত করার জন্য মানুষে মানুষে সম্প্রীতিকে বৃদ্ধি করার জন্য এক সাহসী উদ্যোগ গ্রহন করেছেন দেশের খ্যাতিমান নাট্য ব্যক্তিত্ব সমাজচিন্তক ও একজন সংবেদনশীল মানুষ পীযুশ বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠনের আতœপ্রকাশের মাধ্যমে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রীতি সমাবেশ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় বহুমাত্রিক সৌন্দর্যের লীলা ভূমি দেশের এক ঐতিহ্যবাহী পর্যটন সমৃদ্ধ জেলা মৌলভীবাজারে ৬ অক্টোবর ২০১৮ দল মত ধর্ম বর্র্ণ নির্বিশেষে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার মানুষের এক সম্প্রীতি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে কবি সৌমিত্র দেবের সভাপতিত্বে। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশের’ আহবায়ক পীযুশ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান অতিথি হিসাবে তাঁর বক্তব্যে বলেন আমাদের শত বছরের ইতিহাস, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একে অন্যের পাশে দাঁড়ানোর ইতিহাস একের বিপদে অন্যকে উজাড় করে দেওয়ার নিরন্তর কাহিনী রয়েছে আমাদের। সাম্প্রদায়িক শক্তিকে রুখে দিতে আজ ঐক্যের প্রয়োজন। বাংলাদেশের মানুষের রয়েছে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তি ও সম্ভাবনা যা মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যোগায়, এখন শুধু প্রয়োজন মানুষের সম্প্রীতির বন্ধনকে জোরদার করা। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক বাংলাদেশ বিনির্মানের জন্য সারাদেশে এধরনের সম্প্রীতি সমাবেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করি।
বাংলাদেশের মানুষের একটা প্রশংসা দেশী বিদেশী জ্ঞানী-গুনীরা করে থাকেন তা হলো ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষমতা। ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক সংগঠন আমাদের আশাবাদী করে তুলেছে। আমরা আশাবাদী এই জন্য যে, ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক সংগঠন আমাদের দায়বদ্ধতাকে বাড়িয়ে দেবে। আমাদের উদার হওয়ার শিক্ষা দেবে এই সংগঠন। যারা ভাল কাজ করেন তাদের কে উৎসাহিত করা সকল সভ্য সমাজের অগ্রগতির মূলমন্ত্র। রবীন্দ্রনাথ বলেছেন আমরা বন্ধুর কাছ থেকে মমতা চাই, সমবেদনা চাই, সাহায্য চাই, সেই জন্যই বন্ধুকে চাই।‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ মানুষে মানুষে সহানুভূতি ও ভালবাসার বন্ধনকে শাণিত করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমরা সর্বাবস্থায় আমাদের বিবেককে জাগ্রত রেখে যেন চলতে পারি সেই আলোর পথ দেখাবে সম্প্রীতি বাংলাদেশ। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় যদি বলি নেতা কে ? বিবেকই তোমার নেতা। তোমার কর্তব্য জ্ঞানই তোমার নেতা। একটা ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে নবগঠিত এই সামাজিক সংগঠন আলোকবর্তিকা হিসাবে কাজ করবে বলে আমরা আশাবাদী। সেটাই উন্নত জীবন, যেটা উদ্বুদ্ধ হয় সম্প্রীতির দ্বারা আর পরিচালিত হয় জ্ঞান দ্বারা। একটা সত্যিকারের সংগঠনের মাধ্যমে মানুষ কল্যাণমূলক কাজ করার পাশাপাশি এসব গুণাবলিও অর্জন করতে পারে। আমাদের দেশ সুন্দর হবে, আমরা সুন্দর হবো, আমাদের সমাজ সুন্দর হবে যদি আমরা সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ থাকতে পারি, যদি আমরা মিলনের গান গাইতে পারি। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদে প্রতিটি নাগরিকের সমিতি বা সংগঠন করার অধিকার রয়েছে। ৩৭ অনুচ্ছেদ মানুষের সমাবেশ করার অধিকার দেয়া হয়েছে। সমাবেশ থেকেই মার্টিন লুথার কিং উচ্চারণ করেছিলেন ‘ও যধাব ধ ফৎবধস’ জনসভা বা জন সমাবেশ থেকেই বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করেছিলেন এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, জনসভা করতে করতেই রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্টা করা সম্ভব হয়েছিল। বাংলাদেশের জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রনে যেভাবে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থান নিয়েছিল ঠিক তেমনি সামাজিক সচেতনতা বাড়াতে সংবাদমাধ্যম, সুশীলসমাজ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন একযোগে কাজ করেছিল। একই ভাবে মানুষে মানুষে ধর্মে ধর্মে সম্প্রীতি রক্ষার জন্যও কাজ করে যেতে হবে। সমাজের বিবেকবান মানুষদের মনের দরজা খুলে দেওয়ার চ্যালেঞ্জ গ্রহন করে দেশ ও সমাজকে শান্তি ও সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে নেয়ার দায়িত্ব গ্রহন করতে হবে। সবসময় নিজের বিবেককে জাগ্রত রাখতে হবে, অন্যায়ের সাথে আপোস করা যাবে না। সত্যকে মিথ্যার সাথে মিশ্রিত না করার চেতনাকে ধারণ করতে হবে। লাইবেরিয়ায় একটি কথা প্রচলিত আছে যে পথিক প্রশ্ন করতে জানে সে কখনো পথ হারায় না। সামাজিক সম্প্রীতির জন্য মানুষের নৈতিকতা ও মনুষত্ববোধকে সবসময় জাগ্রত রাখা দরকার। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী বলেছেন পরিবেশ দূষনের চেয়েও মানুষের চিন্তাভাবনা ও মনের দূষনের ভয়াবহতা আরো ভয়ংকর। এই দূষণের হাত থেকে বাঁচানোর দায়িত্ব কবি, সাহিত্যিক, লেখক ও শিল্পীদের। কবি, সাহিত্যিক এবং শিল্পীরাই এই পৃথিবীকে বদলে দিয়ে নতুন পৃথিবী সৃষ্টি করবে। সমাজের কিছু কিছু মানুষ আছে যারা অপরের দু:খ-কষ্ট দেখে আনন্দ অনুভব করে, অন্যের ভালো দেখলে হিংসা বিদ্বেষ করে, এ নিয়ে মার্টিন লুথার কিং এর একটি ব্যাখ্যা আছে। মার্টিন বলেছেন কিছু মানুষ তোমাকে পছন্দ করে না, ব্যাপারটা এমন নয় যে, তুমি তার কোন ক্ষতি করেছ, তবুও তুমি তার কাছে একজন অপছন্দের মানুষ। কেউ হয়তো তোমাকে অপছন্দ করে, তুমি হয়তো তার চেয়ে ভালো কাজ জানো, তুমি জনপ্রিয়, লোকে তোমাকে পছন্দ করে। তুমি কারও ক্ষতি করলে তুমি কারও অপছন্দের পাত্র হবে তা নয়। ব্যাপারটা ঘটে ঈর্ষাকাতরতা থেকে। মানুষের লোভ লালসা, অহংকার এবং হামবড়া ভাব তাকে সারাজীবন কিভাবে নীচে নামিয়ে রাখে হযরত আলী (রাঃ) এর একটি অমিয় বাণী পর্যালোচনা করলেই বোঝা যাবে। তিনি বলেছেন, “এক হাজারটি উত্তম কর্ম নিয়ে গর্ব করার তুলনায় একটি মন্দ কর্মকে ঘৃণা করতে পারা এক হাজার গুন উত্তম।” সম্প্রীতি বিনষ্টকারীদের জন্য এর চেয়ে মূল্যবান কথা আর কি হতে পারে! এখন বাংলাদেশ অনন্ত সম্ভাবনাময় দেশ। দেশের উন্নয়ন অপ্রতিরোধ্য, দেশের প্রায় সাড়ে চারকোটি শিক্ষার্থী রয়েছে। পৃথিবীর প্রায় ৬০টি দেশের লোক সংখ্যাার চেয়েও বেশী শিক্ষার্থী আমাদের দেশের জন্য বড় সম্পদ। এই দেশের সকল মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি গড়ে ওঠলে এই দেশ উন্নত দেশ হতে বেশী সময় লাগবে না। পৃথিবী থেকে যে মানুষ নেয় বেশী সে মানুষ সফল মানুষ আর যে মানুষ দেয় বেশী সেই মানুষ সার্থক মানুষ। পীযুশ বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সার্থক মানুষ বলে মনে করি। তিনি মানুষকে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন। মানুষ যখন জাগে তখন একটি ভালো সংগঠন তাকে সঠিক পথে চলতে সাহায্য করে। এই আহবানটি শুরু করতে হয় একজন ব্যক্তিকেই যিনি স্বপ্ন দেখেন। সংগঠনের শক্তিই যুগে যুগে কালে কালে সমাজ সভ্যতাকে নিয়ন্ত্রন করেছে। মহামতি বুদ্ধ প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে বলেছিলেন সংজ্ঞং শরণং গচ্ছামি (সংঘের পথে চলো সংঘকে স্মরণ কর) ইসলামের মহানবী (সাঃ) বলেছেন সংঘের পথে আল্লাহর রহমত থাকে। সম্প্রীতি ¯েœহ সৌহার্দ্য, মায়া, মমতা, ভালবাসা সহানুভূতি এসব গুণই মানুষকে সত্যিকার মানুষে পরিণত করে। খ্রিষ্ট ধর্মের নেতা পোপ সম্প্রতি এক ভাষণে বলেছেন আজকের মানব সমাজ অর্থকে আদর্শ করে জীবনযাপন করায় অভ্যস্থ। এ অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে মানব অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হবে। সকল ধর্মে ও সম্প্রীতির কথা বলা হয়েছে সংঘের শক্তির কথা বলা হয়েছে। পবিত্র কোরআনে সুরা বাকারা’র ৮৩ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে মানুষের সাথে ভালো কথা বলো, সুন্দর কথা বলো। এই আচরণই হচ্ছে সুন্দর আচরণ। পবিত্র বেদ-এ বলা হয়েছে সত্যিকারের ধার্মিক সবসময় মিষ্টবাসী ও অন্যের প্রতি সমমর্মী। পবিত্র বাইবেলে বলা হয়েছে প্রতিটি বিষয়ে অন্যের সাথে সেই আচরণই করবে যা তুমি তার কাছ থেকে প্রত্যাশা কর। বিদায় হজ্জে মানুষকে মহানবী সংঘবদ্ধ থাকার জন্য গুরুত্বারোপ করেছিলেন। মহানবী বলেছিলেন হে মানুষ তোমরা ঈর্ষা ও হিংসা বিদ্বেষ থেকে দূরে থাকবে। ঈর্ষা ও হিংসা মানুষের সকল সৎগুণকে ধ্বংস করে দেয়। পীযুশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই স্বপ্নের ‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’ নামক সংগঠন বাংলাদেশের জন্য একটি শক্তিশালী স্তম্ভ হিসাবে পরিণত হউক এই আশাবাদ ব্যক্ত করে বঙ্গবন্দু শেখ মুজিবুর রহমানের একটি অসাধারণ উক্তি দিয়ে লেখাটি শেষ করছি। ‘যতদিন বাংলার আকাশ থাকবে, বাতাস থাকবে, ততদিন বাংলার সংস্কৃতি থাকবে।’ লেখক- ব্যাংকার ও কলামিস্ট এবং সভাপতি শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়ন ফোরাম, মৌলভীবাজার।
মন্তব্য করুন