সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর নিচে নামলে নাকি বিদ্যালয় ছুটির নিদের্শনা!
বিকুল চক্রবর্তী॥ মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বইছে মৃদু শৈত প্রবাহ। তার সাথে ঘন কুয়াশা। কন কনে ঠান্ডায় জন জীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বিশেষ করে ঠান্ডার মধ্যে বিদ্যালয়ে গিয়ে অনেক শিশুই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নাকি ১০ ডিগ্রীর নিচে না নামলে বিদ্যালয় ছুটি ঘোষনা করা হবেনা!
বুধবার শ্রীমঙ্গলের সর্ব নিন্ম তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়ার্স। এটি দেশের দ্বিতীয় সর্বনি¤œ। আর মঙ্গলবার ছিল ৯.৭ ডিগ্রী যা ছিল সারা দেশের সর্বনিন্ম।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সুত্রে জানাযায়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের সর্বনিন্ম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯.৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
গতকাল বুধবার অধিকাংশ সময়ই সূর্যের দেখা মিলেনি। দুপুরে কিছু সময়ের জন্য সূর্যের দেখা মিললেও সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় আবৃত্ত ছিল পুরো জেলা।
বিশেষ করে রাত ১০টার পর থেকেই কুয়াশা বাড়তে শুরু করে। এতে যানবাহন গুলো চলাচলে চালকরা পড়েন বিপাকে।
এদিকে মানুষের পাশাপাশি গৃহপালিত পশু গুলোকে নিয়েও কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে। তারা গবাদি পশুর গায়ে নিজেদের ব্যবহৃত কাপড় দিয়ে তাদের শীত নিবারনের চেষ্টা করছেন।
শ্রীমঙ্গল সহকারী আবহাওয়া পর্যবেক্ষক বিবলু চন্দ্র দাশ জানান, এ অবস্থা আরো কয়েকদিন অভ্যাহত থাকবে।
এদিকে বিদ্যালয়গামী শিক্ষার্থীরা সকালে ঘন কুয়াশা ও কনকনে ঠান্ডার মধ্যে বিদ্যালয়ে যেতে চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। ঠান্ডার মধ্যে বাসা থেকে বের হয়ে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি জহর তরফদার বলেন, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর নিচে নামলেই ছুটি ঘোষনার প্রজ্ঞাপন রয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা দিচ্ছেন না। তারা বলছেন দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রীর নিচে থাকলে ছুটি দেয়ার প্রজ্ঞাপন রয়েছে।
অনেক শিক্ষক বলেন, দিনের সর্বোচ্ছ তাপমাত্রা ১০ হলে সর্বনিন্ম তাপমাত্রা ২/৩ ডিগ্রীতে নামতে হবে। কিন্তু শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ১০ এর নিচে নেমে এসেছে। কুয়াশার সাথে রয়েছে ঠান্ডা বাতাস।বড় মানুষেরাই তা সহ্য করতে পারছেন না। শিশুরা তা কিভাবে করবে।তারা বলেন, এটি মন্ত্রনালয়ের ভূল সিন্ধান্ত। তারা বলেন, শিশুরা যখন বিদ্যালয়ে যায় তখন ১০ ডিগ্রীর নিচে। দুপুরের দিকে কিছুটা তাপমাত্রা বাড়বেই।আবার বিকেলে থেকে কমে যায়। এ অবস্থায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রী হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।তারা বলেন, প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এই সিন্ধান্ত যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া জরুরী।
মন্তব্য করুন