সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় স্বজনপ্রীতির অভিযোগ
জুড়ী প্রতিনিধি॥ জুড়ী উপজেলাধীন হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষা আগামী শনিবার ৩০ মার্চ সকালে অনুষ্ঠিত হবে। এ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই স্বজনপ্রীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন পরীক্ষার এক প্রার্থী।
হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষার ওই প্রার্থীর অভিযুগে জানা যায়, আগামী শনিবার ৩০শে মার্চ সকালে হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক স্বাক্ষরিত একটি পত্রও দেওয়া হয়। এ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথমে ডিজির প্রতিনিধি দেয়া হয় মৌলভীবাজারের আলী আমজাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মইনুল হক কে। পরবর্তীতে রহস্যজনক কারণে ডিজির প্রতিনিধি করা হয় মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.ক.ম. ফারুক আহমদ কে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ডিজির প্রতিনিধি পরিবর্তন করায় স্বজনপ্রীতি ও ঘোষ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠতে থাকে।
জানা যায়, ডিজির প্রতিনিধি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.ক.ম. ফারুক আহমদ সংশ্লিষ্ট স্কুলের সভাপতির ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং সভাপতির ভাগিনা মোঃ এমাদ উদ্দিন উক্ত নিয়োগ বোর্ডে একজন প্রার্থী। নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থী মোঃ এমাদ উদ্দিন ডিজির প্রতিনিধি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.ক.ম. ফারুক আহমদের বাড়ীতে থেকে আট বছর পড়াশুনা করেছেন। যে কারণে ডিজির প্রতিনিধির সাথে ওই প্রার্থীর সখ্যতা রয়েছে। এসব কারণে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ পরীক্ষায় নিরপেক্ষতা বজায় না থাকার সম্ভবনা এবং প্রভাবিত হতে পারে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক জানান, হাজী ইনজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মুহিবুর রহমান, প্রার্থী মোঃ এমাদ উদ্দিন ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আনোয়ার গত সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেলে ডিজির প্রতিনিধি মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আ.ক.ম. ফারুক আহমদের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে দীর্ঘক্ষণ আলাপ-আলোচনার পর ডিজির প্রতিনিধিকে নিয়ে মৌলভীবাজার শহরের পানশী হোটেলে এক সাথে ইফতার করেন। তাঁদের এহেন কর্মকান্ড এ নিয়োগ পরীক্ষার প্রার্থীদের হতাশ করে তুলেছে।
এ বিষয়ে সিলেট শিক্ষা বিভাগের সরকারি পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, বিষয়গুলো আমি জানলাম। আমি জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবো।
এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি আমি দেখবো।
মন্তব্য করুন