শুদ্ধাচার ও সুশাসন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা সমাপ্ত
স্টাফ রিপোর্টার॥ সুশাসন শুদ্ধাচার, তথ্য অধিকার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষয়ে মৌলভীবাজারে শেষ হয়েছে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের দুইদিনব্যাপী অনলাইন কর্মশালা।
রোববার ৬ ফেব্রুয়ারি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের পিফরডি প্রকল্পের সহযোগিতায় কর্মশালার আয়োজন করে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট।
সুশাসনের জন্য কৌশলগত যোগাযোগ শীর্ষক এ কর্মশালা মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসানের সভাপতিত্বে ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক (প্রশিক্ষণ প্রকৌশল) নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক ফায়জুল হক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন প্ল্যাটফর্মস ফর ডায়ালগের পিফরডি টিম লিডার মি. আর্সেন স্টেফেনিয়ন, মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) তানিয়া সুলতানা, মৌলভীবাজার জেলা তথ্য অফিসার মোঃ আনোয়ার হোসেন।
সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সাংবাদিক আকমল হোসেন নিপু, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক এস এম উমেদ আলী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পান্না দত্ত, মৌলভীবাজার ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বকশি মিছবাউর রহমান প্রমুখ।
জুম অ্যাপে এই কর্মশালায় মৌলভীবাজার জেলার প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার ৩০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মির্জা আয়েশা আক্তার, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শাফায়াত মাহবুব চৌধুরী, উপ-সচিব মোঃ মখলেছুর রহমান, চ্যানেল আই-এর সিনিয়র নিউজ ইডিটর মাসরুর জামান ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট-এর পরিচালক মোঃ জাহিদুল ইসলাম।
কর্মশালায় মুলত সুশাসন প্রতিষ্ঠায় জবাবদিহিতার ৫টি টুলস জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস), তথ্য অধিকার (আরটিআই), সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি (সিটিজেন চার্টার), অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা (জিআরএস) ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) নিয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
কর্মশালা শেষে মৌলভীবাজারের সাংবাদিকেরা গভীর ও অনুসন্ধানী রিপোর্টিংয়ের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের তাগাদা অনুভব করেন।
কর্মশালায় প্রশিক্ষকরা বলেন, সাংবাদিকরা শুদ্ধাচার, তথ্য অধিকার, সিটিজেন চার্টার, সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি, অভিযোগ প্রতিকার ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বিষযে অনুসন্ধানী, ব্যাখ্যামূলক ও গভীর রিপোর্ট করলে দুর্নীতি অনেকখানি কমে আসবে। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও শুদ্ধতা নিশ্চিত হবে।
মন্তব্য করুন