“সাংবাদিক-কলামিষ্ট-পর্য্যটক-গবেষক আফতাব চৌধুরীর দেশ দেশান্তর ঃএকখানি নান্দনিক-প্রাসাঙ্গিঁক প্রকাশনা ॥
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ আমাদের মহান ¯্রষ্টাও প্রতি পালক দোজাহানের মালিক-খালিক-মহাপ্রভূ-সর্বশক্তিমান মহান আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতা জিবরাইল (আঃসঃ) মারফত তাঁর প্রিয় হাবিব সাইয়্যেদুলমুরছালিন-খাতিমুন্নবিয়্যিন হযরত মোহাম্মদ মোস্তফা (দ:) র নিকট প্রথম যে বানীটি প্রেরণ করেন তা হল- ইকরা-পড়। আসমানী কিতাব আল কোরআেেন মহান আল্লাহ বলেন-“ইকরা বিছমি রাব্বুকাল লাজি খালাক্ক-খালাকালইনসানা মিন আলাক্ক”। শিক্ষাও জ্ঞানার্জনের উপর মহানবীর বহুবিধ-হাদীস-রয়েছে। দোলনা থেকে কবর পর্য্যন্ত, কিংবা শিক্ষাও জ্ঞানার্জনের প্রয়োজনে সুদুর চীনে যাও-হাদিস সমূহ সকলেই জ্ঞাত আছেন। সনাতনী শাস্ত্রে ও শিক্ষাও জ্ঞানার্জনের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে।
ইসলামী আইনের বিধান মোতাবেক মানুষ-আশরাফুল মকলুখাত-সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব। সনাতনী শাস্ত্রানুসারে মানুষকে বলা হয়েছে-“নররূপী নারায়ন। মানুষের শিক্ষাও জ্ঞান, মেধাও মনন-প্রজ্ঞাও পান্ডিত্য- মানুষকে প্রাণীকুলের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসিয়েছে। আদি গুহামানব থেকে আধুনিক মানবজাতি শিক্ষাও জ্ঞানার্জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির নব নব আবিস্কার ও অগ্রগতির মাধ্যমে বিজ্ঞান মনস্ক জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনির্ম্মানের পথে। জ্ঞান চর্চাও জ্ঞানার্জনের এইে পথ পরিক্রমায় পঠন পাঠন ও পাঠাগার আন্দোলনের বিকল্প নাই।
দূর্ভাগ্যজনক ভাবে প্রকাশনা শিল্প জাতীয় পর্য্যায়েই শিল্পের মর্য্যাদা লাভ করেনি। তবুও অমর একুশের বই মেলা কেন্দ্রীক পুস্তক প্রকাশ, প্রকাশনা সংক্রান্ত সভা, সমাবেশ, ওয়ার্কশফ-সিম্পোজিয়াম, মফস্বল থেকে জাতীয় পর্য্যায়ে লেখক-প্রকাশকদের মিলন মেলা, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রসার- প্রচারে বাংলাদেশের প্রকাশনা শিল্প হাটি হাটি পা পা করে একটি পর্য্যায়ে এসে দাড়িয়েছে। অমর একুশের বই মেলা এখন বাঙ্গালি জাতির প্রাণের মেলা-মিলন মেলা হিসাবে জমে উঠেছে।
মেলার পরিধি বাড়ছে, পুস্তক প্রকাশ এবং বই বিক্রির পরিমান ও বেড়েছে। অমর একুশের বিগত বই মেলায় মোট চার হাজার আটশত চৌত্রিশ খানা পুস্তক বেরুলেও মেলা পরবর্তী পর্য্যালোচনাও গবেষনাশেষে পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ প্রকাশিত পুস্তক সমূহের মধ্যে মানসম্মত পুস্তক ছিল মাত্র এগারোশত একান্ন খানা, গবেষনা সংক্রান্ত পুস্তক মাত্র আশি, বিজ্ঞান বিষয়ক মাত্র সাতাত্তোরটি, ইতিহাস বিষয়ক মাত্র সাতাত্তোরটি, রাজনীতি বিষয়ক মাত্র তেত্রিশ খানি এবং ভ্রমন সংক্রান্ত মাত্র পঁচাশি খানি পুস্তক যা ষোল কোটি মানুষের দেশে অপ্রতুল-নগন্য।
প্রসঙ্গঁত উল্লেখযোগ্য ঢাকাই পেশাদার প্রকাশক গণ তাদের ব্যবসা বানিজ্যিক কারনে জাতীয় পর্য্যায়ে প্রতিষ্ঠিত পরিচিত লেখকদের গ্রহ্ণ প্রকাশে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন-সেখানে সাধারণত মফস্বলি লেখকগণ অবহেলিত-প্রাধান্য পান না।
বাংলাদেশের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী বিভাগ সিলেট পীরানে পীর ইয়েমেনী বীর হযতর শাহ জালাল ইয়েমেনীর স্মৃতি বিজড়িত পূন্যভূমি সিলেট একটি প্রাচীন জনপদ-রাজধানী ঢাকার চাইতে যার বয়স দেড়গুণ বেশি। বিভাগীয় সদর সিলেট প্রকাশনা শিল্পে ঐতিহ্যের ছাপ রাখছে। লেখক-সাংবাদিক-গবেষকগণ ঢাকার সঙ্গেঁ পাল্লা দিয়ে লেখালেখিতে নিজেদের স্থান করে নিয়েছেন-প্রশংসিত হচ্ছেন- প্রতিভার ছাপ রাখছেন। পূন্যভূমি সিলেট সদরে স্থায়ী ভাবে বসবাসকারী এমনি এক ভাগ্যবান কলম সৈনিক এর নাম আফতাব চৌধুরী।
অপেশাদার লেখক হয়েও লেখালেখির ভুবনে তাঁর অপূর্র্ব পেশা দারিত্ব, আধিপত্য পাঠক প্রিয়তা ও প্রভাব প্রতি পত্তিঈর্ষনীয়। শুধু সিলেট বিভাগীয় সদর নয়, রাজধানী ঢাকা ছাড়া তিনিই একমাত্র লেখক কলামিষ্ট যার মূল্যবান রচনা বলি প্রত্যহ দৈনিক পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। জাতীয় দৈনিক ইনকিলাবে তিনি নিয়মিতই কলাম লেখেন। কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরী বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী লেখক। তিনি যখন যে, বিষয়ের উপর কলাম লেখেন মনে হবে তিনি সে বিষয়ের একজন পেশাদার অধ্যাপক।
আফতাব চৌধুরীর চিকিৎসা বিজ্ঞান ও স্ব্যাস্থ্য বিষয়ক লেখা পাঠ করলে মনে হবে তিনি একজন বিশিষ্ট চিকিৎসক। সতেরো সালে প্রকাশিত তাঁর গুরুত্ব পূর্ণ গ্রহ্ণ- “স্বাস্থ্য সমাচার” দারুন পাঠক প্রিয়তা পেয়েছিল।
সাংবাদিক-কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরীর বিশতম প্রকাশনা-দেশ-দেশান্তর-প্রকাশিত হয়েছে, জুন উনিশ সালে। বন্ধুবর আফতাব চৌধুরী স্থায়ী ভাবে বসবাস করেন শাহ জালালের সিলেটে, আমি শাহ জালালের সফর সঙ্গীঁ শাহ মোস্তফার মৌলভীবাজারে। প্রায় একশত কিলোমিটার দুরে উত্তর-দক্ষিনে আমাদের অবস্থান হলেও তিনি আছেন আমার হৃদয়ের কাছাকাছি। পুরষ্কার প্রাপ্ত করদাতা কোটিপতি ব্যবসায়ী আফতাব চৌধুরীর সঙ্গেঁ আমার কোন ব্যবসায়ীক সম্পর্ক নেই-আছে আত্বীক সম্পর্ক। এ পরিচয় ও সম্পর্ক ঈমানে-আমলে-ছুন্নতে-মেহনতে মজবুত হয়েছে। তাঁর শিষ্টাচার-সৌজন্যবোধ-প্রকৃতি ও মানব প্রেম আমাকে বিমুগ্ধ করে। আমি তাঁর লেখার একজন ভক্তও অনুগত পাঠক। তাঁর নির্মল ভালোবাসার উজ্জল আলোকে আমি আলোকিত। ষোল সালে প্রকাশিত তাঁর ষোলতম গ্রহ্ণ-“অবদানে অমলিন-এর ভূমিকা লেখে দেয়ার সুযোগ ও সৌভাগ্য হয়েছিল আমার। আমি নিজেকে গৌরবান্বিত বোধ করেছিলাম। এ সপ্তাহে কুরিয়ার মারফত তাঁর সদ্য প্রকাশিত গ্রহ্ণ-দেশ দেশান্তরে-উপহার পেয়ে শারীরিক অসুস্থতা ও দূর্বলতার মাঝেও প্রাপ্ত হয়ে সঙ্গেঁ সঙ্গেঁই পাঠ করলাম। পাঠক হিসাবে আমি এখনও অলস নই।
তাঁর কাছে আমার প্রস্তাব ছিল শুধুমাত্র প্রকৃতি ও নিসর্গ বিষয়ক একখানা গ্রহ্ণ প্রকাশের জন্য। তিনি নিজে একজন বৃক্ষও প্রকৃতি প্রেমি। বৃক্ষরোপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক প্রাপ্ত। দেশ দেশান্তর গ্রহ্ণখানাও প্রাসঙ্গিঁক। তিনি নিজেও একজন পর্য্যটক। পাকিস্তান, ভারত, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, সিঙ্গাঁপুর, থাইল্যান্ড, বৃটেন, দুবাই, আবুধাবি, চীন, ওমান বাহরাইন, লেবানন, মরক্কো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও সৌদি আরব ভ্রমন করেছেন। বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় ভ্রমন বিষয়ক গ্রহ্ণের সংখ্যা কম। সাম্প্রতিক কালে আমাদের সিলেটি মঈনুস সুলতান সাহেব বিশ্ব নাগরিক এর মত বিশ্ব ভ্রমন করতঃ ভ্রমন কাহিনী বিষয়ক প্রবন্ধ লিখে পুস্তক প্রকাশ করে ভ্রমন কাহিনী বিষয়ক সাহিত্যাঙ্গঁনকে সম্বৃদ্ধ করছেন। অদেখা বন্ধু সুলতানকে সাধুবাদ জানাই। সাফল্য কামনা করি। আদিকালের পর্য্যটকদের নিকট আধুনিক সমাজ ও সভ্যতা অনেকাংশে ঋণী। চৈনিক পরিব্রাজক হিউ.এন-সাং, ফা-হিয়েন, ভার্তেমা, মুরদেশীয় বিশ্ব বিখ্যাত পর্য্যটক ইবনেবতুতা ইউরোপ-এশিয়ার ব্যাপক অঞ্চল ভ্রমন করতঃ তাদের সময় সেই সব দেশে সমাজ বিকাশ ও সমাজ উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। ইবনে বতুতা মন্ত্রী ও রাজকীয় হেকিমের দায়িত্বও পালন করেছেন।
এসব পর্য্যটকদের আত্বজীবনী, ডায়রী, গ্রহ্ণ আধুনিক কালের ইতিহাস বিদদের কাছে তথ্য-উপাত্ত হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। ভ্রমন কাহিনী একটি দেশের ইতিহাস-ভূগোল-কৃষ্টি-সংস্কৃতি-শিল্প-সভ্যতার সমাহার। ভ্রমন কাহিনীতে এসবই স্থান পায়।
কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরীর বিশতম গ্রহ্ণ-দেশ দেশান্তর- এ-তেইশটি মূল্যবান রচনা স্থান পেয়েছে। “পিকিং-আজো যেনো অদেখা” দিয়ে শুরু করে- “শামিমার নাগরিকত্ব: বৃটেনের ভূমিকা-দিয়ে শেষ হয়েছে। রচনা গুলির মধ্যে সিরিয়ার আকাশে শকুনের ভিড়, সৃৃষ্টি রহস্য-বিজ্ঞান, দর্শন ও স্টিফেন, হকিং, মৃত্যোপুরী আল আকসা, চীন ভারত সংঘাত, মায়ানমারের বিপন্ন জনগোষ্ঠী, কাশ্মীর সমস্যা, কিছু কথা, কিছু প্রশ্ন, জাতিসংঘ সংকটে সক্রিয় ভূমিকার প্রত্যাশা রচনা গুলি তাঁর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিঁ, মানবতাবোধ এবং আন্তর্জাতিকতাবাদ ও পররাষ্ট্র নীতি-কুটনীতি প্রসঙ্গেঁ পান্ডিত্বের পরিচয় বহন করে। তবে তাঁর আরবের নবিঃ করুনার ছবি” রচনাটিতে আল্লাহ ও রাসুল প্রেমের ভাব, আবেগ ও অনুভূতিকে সযতেœ-সশ্রদ্ধচিত্তে প্রকাশ করেছেন। শুধু ভাবও আগে নয় শব্দ চয়ন-বাক্য বিন্যাস এ তিনি মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন বিধায় এ রচনাটিই হবে গ্রহ্ণের শ্রেষ্ঠ রচনা। রচনা ছাড়া গ্রহ্ণের বাড়তি পাওনা গ্রহ্ণাখানিকে মেজাজি, তথ্য বহুল ও আকর্ষনীয় করেছে-এই বাড়তি পাওনা হল শুরুতেই লেখকের খোলা চিঠি, দুই বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, লেখক-পর্য্যটক প্রফেসর আজিজুর রহমান লস্কর এর প্রাককথন এবং তিন পরিশিষ্টাংশে
আফতাব চৌধুরী: অন্যের চোখে অন্যান্য: শিরোনামে আমেরিকা প্রবাসী সাংবাদিক, প্রাবন্বিক ও গবেষক খলকু কামালের এর একশত ছয়ত্রিশ পৃষ্ঠা থেকৈ একশত আটষট্টি পৃষ্ঠাব্যাপী ব্যাপক আকর্ষনীয় সরস প্রতিবেদন। প্রবাসী খলকু কামাল সাহেব এর এই কাজটি কঠিন, জটিল ও বিব্রতকর। তিনি প্রবাসে বসবাস ও ব্যস্ত জীবন কাটালেও মূল্যবান সময় দিয়ে আফতাব চৌধুরীর সকল প্রকাশিত গ্রহ্ণের প্রানবন্ত আলোচনা করেছেন-যা খুবই ইতিবাচক। এক মলাটে এক লেখায় একজন লেখকের সকল গ্রহ্ণালোচনা একজন লেখক কর্তৃক খুবই ব্যতিক্রমীও মহতি কাজ।
এক লেখায় আফতাব চরিত্র-আফতাব নামা উপহার প্রদানের জন্য কলম সৈনিক খলকু কামাল সাহেবকে ও আন্তরিক ধন্যবাদ। চার-তৃতীয় মলাটে লেখক আফতাব চৌধুরীর সচিত্র জীবনপঞ্জি- যা বর্নাঢ্য ও বর্ণীল। লেখক গ্রহ্ণের শুরুতে “খোলা চিঠি”- শিরোনামে তাঁর প্রিয়তমা পতœী আমার প্রিয় ভাবি হামনা খানম চৌধুরী মরহুমার নামে হৃদয়ের যে রক্তক্ষরণ ঘটিয়েছেন তা পাঠকের মনে দাগ কাটবে। আমি অসুস্থাবস্থায় প্রায়ই হান্না ভাবিকে উপশহর চৌধুরী বাড়িতে দেখতে যেতাম। তখন তিনি নির্বাক। ফেল ফেল করে তাকিয়ে থাকতেন। আমি আফতাব চৌধুরী পতিœ প্রেম ও সেবা দৃষ্টে বিমুগ্ধ হয়ে ছিলাম। হান্না ভাবির জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ শেষে রুগমুক্তির জন্য দোয়া চাইতাম। এখন তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করি। গ্রহ্ণ খানিকেও তিনি যথার্য ভাবেই তাঁর নাামে উৎসর্গ করেছেন।
পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় শেষে যেভাবে আমার মরহুম পিতা-মাতার জন্য দোয়া করি সেভাবে এখন তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করি। দেশ দেশান্তর প্রকাশ করেছেন-ফারহানা খাঁনম চৌধুরী এবং ফাহমিদা সুলতানা চৌধুরী। গ্রহ্ণ স্বত্ব আয়ান ও এলিনা। প্রকাশ কাল জুন ২০১৯ সাল। চৌধুরী বাড়ি-ব্লক-এ-রোড-তিন-হাউস-এক শাহ জালাল উপশহর সিলেট।প্রচ্ছদ জোবায়রা আক্তার শাহরীন। প্রচ্ছদে রূচীর ছাপ আছে। রুচিশীল মার্জিত প্রছদ। লাল নীল রং এর বাহার নেই, আবার একেবারে রংহীন ও নয়। অক্ষর বিন্যাস জুই, সমি, এসি এজেন্সি।
বনরূপা, মেইন রোড, শাহ জালাল উপশহর সিলেট। মুদ্রনে পান্ডুলিপি, প্রকাশন আল ফালাহ্-টাওয়ার-ধূপাদিঘির পূর্ব পাড় সিলেট। মুদ্রন শিল্পে আমাদের সিলেট এখন আর পিছিয়ে নেই। পান্ডুলিপি প্রকাশনের পরিচালক বায়জীদ মাহমুদ ফয়সল একজন রুচিশীল প্রকাশক-লেখক-গবেষক-পর্য্যটক। সাদা অফসেট কাগজে নির্ভূল ঝক ঝকে ছাপা। ছাপা খানার ভূতের দৌরাত্ব নেই। একশত আটষট্টি পৃষ্ঠার আকর্ষনীয় বোর্ড বাধাই গ্রহ্ণ খানির শুভেচ্ছা বিনিময় মাত্র দুইশত টাকা। গ্রহ্ণের ভাষা সহজ সরল সুখপাঠ্য। প্রবন্ধের মত জটিল নিরস ও নিস্প্রান বিষয়কে কলামিষ্ট আফতাব চৌধুরলী তাঁর নিজস্ব স্টাইলে সহজ ও সরল ভাবে উপস্থাপন করেন। তিনি যেমন সহজ সরল সাদা মনের মানুষ তাঁর এই গ্রহ্ণও অন্যান্য গ্রহ্ণ গুলির মত সহজ সরল। ঝর ঝরে। গতিশীল। সুখপাঠ্য। আমি এই গ্রহ্ণের বহুল প্রচার এবং গ্রহ্ণকারের সুস্বাস্থ্য দীঘায়ূ ও কল্যন কামনা করি।
(লেখক: সিনিয়র এডভোকেট হাইেেকার্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব। কলামিষ্ট। মুক্তিযোদ্ধা।)
মন্তব্য করুন