সাবেক কৃষি মন্ত্রীর বাসায় পাওয়া গেলো ৩ কোটি টাকা, ৮৫ ভরি স্বর্ণ ও বিপুল পরিমান বিদেশী মূদ্রা
স্টাফ রিপোর্টার : সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশ। রাজধানীর উত্তরার বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা, সোনা, বিদেশি মুদ্রা। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
২৯ অক্টোবর রাতে উত্তরা ১০ নং সেক্টরের ২নং রোডের নিজ বাসায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার বাসা থেকে নগদ তিন কোটি ১০ লাখ ২৭ হাজার টাকা। ১,৯৫৩ ইউএস ডলার। ১,১২০ কানাডিয়ান ডলার। ১,১০০ ইউরো। ৩,১১৭ কাতার রিয়াল। ৫,৩০০ থাইবাথ। ৫০০ মেক্সিকান ডলার। ৫০ হংকং ডলার ৩০০০ রুপি।
এছাড়াও কৃষিমন্ত্রীর বাসায় এবং ৯৯০.৫০ গ্রাম (৮৫ ভরি প্রায়) ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার ও বার উদ্ধার করা হয়।
উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গ্রেপ্তার আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা রাখার অপরাধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং অবৈধভাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার রাখার অপরাধে মানিলন্ডারিং আইনে পৃথক মামলা হয়েছে। এছাড়াও তিনি একাধিক হত্যা মামলার আসামি।
সাবেক কৃষিমন্ত্রী উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় রুজুকৃত উত্তরা-পশ্চিম থানার একটি মামলায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনসহ আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই মামলাটি ছাড়াও তার বিরুদ্ধে উত্তরা-পশ্চিম থানায় আরো দুটি হত্যা মামলা ও মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা রয়েছে।
উপাধ্যক্ষ মো: আব্দুস শহীদ বিগত পঞ্চম, সপ্তম, অষ্টম, নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মৌলভীবাজার-৪ (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
পাশাপাশি ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ এবং ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে হুইপ হিসেবে আব্দুস শহীদ দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর কৃষিমন্ত্রী ছিলেন।
বিগত প্রায় ৩০ বছর ধরে আব্দুস শহীদ বিভিন্ন দুর্নীতির সাথে জড়িত ছিলো। বিগত নির্বাচন গুলোতে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জের মানুষকে জিম্মি করে অনৈতিকভাবে সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন