সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: একে এ মোমেনের সাথে লন্ডনে বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্টের বিনিময়
কামরুল আই রাসেল (লন্ডন)॥ সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে এ মোমেন এম পির সাথে বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট (ইঝঊঞ) এর ট্রাস্টীবৃন্দের মাজে এক মত বিনিময় সভা ও নৈশভোজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার রাতে রমফোর্ডের নেঈজেন রেস্টুরেন্টে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্টিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টের চেয়ার মহিব উদ্দীন। সিলেটে অ্যাটিস্টিক স্কুল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে ট্রাস্টের সভাপতি ডঃ মোমেনকে বক্তব্যে তুলে ধরে বলেন গত জানুয়ারি মাসে সিলেটে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর অফিসে ডঃ একে এ মোমেনের উপস্তিথিতে অ্যাটিস্টিক স্কুলের বিষটি তুলে ধরেছিলেন। স্কুলের জন্য সিলেটে জায়গার প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করলে সে সময় মেয়র আনোয়ারুজ্জামান তাৎক্ষণিক ভাবে সিলেট শহরের সুবিধা জনক স্থানে অনতিবিলম্বে ৬০ ডেসিম্যাল জায়গা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সভাপতি মহিব উদ্দিন তার বক্তব্যে ডঃ মোমেন কে অনুরোধ করেন, তিনি যেন সিলেটের মেয়রের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা করে জায়গা প্রাপ্তির বিষয়টি তরান্বিত করেন। বাংলাদেশে ষষ্ঠ শ্রেণী হতে দশম শ্রেণী পর্যন্ত সকল ছাত্র/ছাত্রীর স্কূল এডমিশন ফি মওকূফ করার দাবি জানিয়ে সাবেক পররাষ্টমন্ত্রী কে এক মেমোরেন্ডাম প্রদান করেন এবং বিষয়টি সংসদে উত্থাপনের অনুরোধ জানান।
সভায় উপস্থিত সদস্যরা ডঃ মোমেনের সাথে দেশ ও বিলেতের সমসাময়িক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার সুচিন্তিত মতামত প্রদান করেন।
সভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন ট্রাস্ট এর উপদেষ্টা, কমিশনার সৈয়দ আবুল বাশার ও লন্ডনের ডেপুটি মেয়র মিঃ হাওয়ার্ড ডোভার। হাওয়ার্ড ডোভার তার বক্তব্যে বলেন তিনি আবারো ডেপুটি মেয়র পদে নির্বাচিত হলে বাংলাদেশ এ অটিস্টিক স্কুল প্রতিষ্ঠায় এবং ব্রিটেনে বৃহত্তর সিলেট এডুকেশন ট্রাস্ট (ইঝঊঞ) এর অগ্রযাত্রায় তার সর্বাত্মক সহযোগিতা থাকবে।
সৈয়দ আবুল বাশার তার বক্তব্যে বিসেট কে সামনে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যে যত ধরনের সহযোগিতা দরকার তা করতে এক পায়ে খাড়া আছেন বলে জানান। সেক্রেটারি জামাল উদ্দিনের উপস্থাপনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন আফতার আহমদ, সিরাজ মিয়া, পারভেজ শাহ, মাওলানা মঈনুল হক চৌ:, ইন্জিনিয়য়ার হাবিবুর রহমান, আব্দুল্লাহ আল কামাল , আব্দুল গণি, দেলোয়ার হুসেন, শাহাদ উল্যা, আছমা আক্তার, একেএম ইয়াহিয়া, প্রিনসিপাল আশিদ আলী, মুজিবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম, ডঃ সাঈদ মাসুক আহমদ, শফিকুর রহমান, গোলাম কিবরিয়া, প্রমুখ ট্রাস্টী বৃন্দ। পরিশেষে নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্টানের সমাপ্তি হয়।
মন্তব্য করুন