সাবেক সফল অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী এম.সাইফুর রহমানঃ ৫-ই সেপ্টেম্বর ৮ম- মৃত্যু বার্ষিকীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ আশির কোঠায় এসেও ছিলেন উচ্ছল তারুন্যের দিপ্তীতে ভরপুর। কর্মচঞ্চল। কর্মঠ। প্রায় পৌণে ছ’ফুট লম্বা, আকর্ষনীয় ফিগার। শ্যামলা চেহারা। গোল বাটা মুখ। উন্নত নাসিকা। প্রসস্থ ললাট। বুদ্ধিদিপ্ত চোখ। কাচাপাকা ব্যাক ব্রাশকরা চুল। ক্লিনশেভ। কাঁচা পাকা এক ফালি সরু গোফের রেখা। একচিলতে মায়াবি মিষ্টি হাসি লেগে থাকত মুখে। আলখেল্লা ওয়ালা চাদ্দরি নেতা ছিলেন না। স্যুটেড। পরিচ্ছন্ন পোশাকাদি। সাফ সুতরা। সুরুচিবান। ‘কর্মই জীবন’ এই জীবন ঘনিষ্ট শ্লোগানে বিশ^াসী। নোংরা রাজনীতির মারপ্যেচ এর ধার ধারেন না। অসম্ভব রকমের সত্যবাদী। স্পষ্টাবাদী। যা ভালো বুঝেন তাই বলতেন। কোন রাখ-ঢাক নেই। কপটতা নেই। রাতকে রাত-দিনকে দিন, সাদা কে সাদা এবং কালো কে কালো বলতে অভ্যস্থ ছিলেন। ইংরেজী এক সেন্টে চোস্ত ইংরেজীতে কথা বলতেন। বক্তৃতা দিতেন। বাংলা বলার সময় নদীয়া শান্তিপুরী অন্ধ অনুকরন করতেন না বরং অনেক সময় বাংলা উচ্চারনে কথনে বলনে তার কাছে পাওয়া যেত কমলালেবুর ঘ্রান। সু-ঘ্রান। কারন তিনি ঐতিহ্য সচেতন। শিকড় সন্ধানী এক ব্যাতিক্রমী ব্যক্তি ও ব্যক্তিত্ব। একদা বিলেতে বসবাস করেছেন। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েছেন। বিলেতি শিক্ষা সংস্কৃতি কায়দা কানুন শিখলেও স্বদেশের মাটি ও মানুষের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ ছিলেন। একজন সাচ্চা জাতীয়তাবাদী, একজন নিখাদ দেশপ্রেমিক ছিলেন তিনি। ইনিই বাংলাদেশের এককালীন অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী জনাব এম. সাইফুর রহমান। বি.এন.পি’র প্রতিষ্টাকালীন নেতা। স্থায়ী কমিটির প্রভাবশালী সদস্য। ৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে কারা নির্যাতিত নেতা। একুশের পদকে ভূষিত মহান ভাষা সৈনিক। স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ঘনিষ্ট সহচর। বাংলাদেশের সফল অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশের অর্থনীতির নাড়ির নক্ষত্র ছিল তাাঁর নখর্দপনে। বিনিয়োগের বরপুত্র ছিলেন। “বাজেট জাদুকর” হিসাবে সুখ্যাতি ও স্বীকৃতি পেয়েছিলেন একমাত্র তিনি-ই। বাহার মর্দান মৌলভীবাজার সদর উপজেলাধীন ১১নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত একটি বর্ধিষ্ণু গ্রাম। শিক্ষা দিক্ষায় সুনাম আছে ঐতিহ্যবাহী এ গ্রামের। বাহার মর্দানের একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৩২ সালে জনাব এম. সাইফুর রহমানের জন্ম। তাঁর শিক্ষাবিদ পিতার নাম জনাব আব্দুল বশির এবং মাতার নাম বেগম তালেবুন্নেছা। সেই চল্লিশের দশকে বৃটিশ ভারতের মুসলমান সমাজ গ্রামাঞ্চলে নয় শহরাঞ্চলেই শিক্ষা-সংস্কৃতিতে অগ্রসর ছিলেন না। জনাব এম. সাইফুর রহমানের পিতা একজন প্রকৃত শিক্ষানুরাগি ছিলেন। বাল্যকাল থেকেই এম. সাইফুর ছিলেন অসম্ভব রকমের মেধাবী। সফল শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন পর্য্যায়ে তিনি জগৎসী জি.কে. হাই স্কুল (বর্তমানে জি.কে.এম. সাইফুর রহমান স্কুল এন্ড কলেজ), মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, এম.সি কলেজ, সিলেট এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেন। ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় তিনি ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহন করেন। গ্রেফতার হন। কারা যাতনা ভোগ করেন। দেশীয় শিক্ষা শেষে এম. সাইফুর রহমান উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বিলেত গমন করেন। সেই পঞ্চাশের দশকে উচ্চ শিক্ষা লাভের জন্য বিলেত যাত্রীদের সংখ্যা ছিল হাতে গুনা। জনাব এম. সাইফুর রহমান কৃতিত্বের সাথে চাটার্ড একাউন্টেসীতে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। প্রবেশ করেন বর্নিল ও বর্নাঢ্য কর্মজীবনে। তখন থেকেই তাঁর এগিয়ে যাবার পালা। তিনি এগিয়ে চলেন সামনের দিকে। বীরদর্পে। সগৌরবে। রহমান রহমান হক এন্ড কোম্পানী। জাতীয় বেতন কমিশন এবং ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ওয়াকার্স ওয়েজ কমিশনে তিনি মেধার ছাঁপ রেখেছিলেন। পঁচাত্তোর উত্তর সংকটকালে দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হন। দেশ ও জাতিকে ফিরিয়ে দেন বহুদলীয় গনতন্ত্র। দেশে চালু হয় উৎপাদন ও উন্নয়নের রাজনীতি। শহীদ জিয়ার আহ্বানে দেশের বরণ্যে বুদ্ধিজীবী ব্যাক্তি ও ব্যাক্তিবর্গ যোগ দেন বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে। স্থান পান তাঁর “টেলেন্টেড” মন্ত্রী সভায়। রাষ্ট্রপতির জিয়ার মন্ত্রীসভায় প্রথমে বানিজ্য উপদেষ্টার দায়িত্ব প্রাপ্তির মধ্যে তাঁর বর্নিল রাজনৈতিক জীবনের শুভ সূচনা। অতঃপর অর্থমন্ত্রী। পরবর্তীকালে প্রেসিডেন্ট জাস্টিস সাত্তার এবং বেগম খালেদা জিয়ার সরকারে বিভিন্ন সময় অর্থমন্ত্রীর গুরু দায়িত্ব তিনিই পালন করেছেন। জাতীয়তাবাদী সরকারের নেতা-কর্তাদের পদ-পদবী বিভিন্ন সময় পরিবর্তন হলেও অর্থমন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ন পদটি তাঁর জন্য ছিল চিরস্থায়ী। এ পদে তার বিকল্প নেই। তাঁর তুলনা নেই। তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। ২০০১ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে চারদলীয় জোট সরকার গঠিত হলে তিনি অর্থের সঙ্গে পরকিল্পনা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। বারো বার বাজেট পেশ করে পৃথিবীর ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করেন। ৯-বম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর মহাজোট সরকার গঠন করলে জননেতা এম. সাইফুর রহমান বিরোধীদলীয় কেন্দ্রীয় নেতা হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে থাকেন। কঠোর পরিশ্রম ও মনোঃ কষ্টে জননেতা এম.সাইফুর রহমানের শরীর ভেঙ্গে যায়। তবুও তিনি রাজধানী গুলশানে তাঁর বাসায় চুপচাপ বসে থাকেন নি। মাটি ও মাুনষের নেতা জননেতা জনাব এম. সাইফুর রহমান কখনও মাটি ও মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন নি। সিলেট ও মৌলভীবাজার এর সঙ্গে তাঁর নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। তিনি নিয়মিতই সিলেট-মৌলভীবাজার সফর করতেন। দুই হাজার নয় সালের সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে তিনি সিলেট-মৌলভীবাজার সফরে এসছিলেন। সিলেটে ওলিকুল শিরমনি হযরত শাহজালাল ইয়েমেনীর মাজার জিয়ারত করেছেন। সিলেটে দলের নেতাকর্মী ও সুধীজনের সঙ্গে শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় করেছেন।
৫ই সেপ্টেম্বর। জেলা, বিভাগ ও দেশবাসীর জন্য একটি শোকাবহ দিন। ২০০৯ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর সড়ক পথে নিজ জেলা মৌলভীবাজার, নিজবাড়ী বাহারমর্দান থেকে ঢাকায় যাবার পথে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া এলাকাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরন করেন, মৌলভীবাজার বৃহত্তর সিলেটের গর্ব ও গৌরব, ভাষা সৈনিক, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এর ঘণিষ্ট, বিশ^স্থ ও প্রিয় সহচর জননেতা এম. সাইফুর রহমান। তাঁকে বহনকারী গাড়ীটি রাস্তার ডান দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। নালায় পানি থাকায় গাড়ীটি তলিয়ে যায়। তার সিট বেল্ট বাধা ছিল। তাঁকে দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে নিকটস্থ হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষনা করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
টেলিভিশনের পর্দায় ঘন ঘন তাঁর সড়ক দুর্ঘটনা ও মৃত্যো সংবাদ প্রচারিত হতে থাকে। জনাব এম. সাইফুর রহমানের আকষ্মিক মৃত্যুতে সর্বত্র শোকের ছায়া নেমে আসে। ঢাকা-সিলেট-মৌলভীবাজার-বাহারমর্দানে সমগ্র দেশ-বিদেশে। ৬ই অক্টোবর ১৯৩২ থেকে ৫ই সেপ্টেম্বর ২০০৯, খুব বেশী সময় নয়। আশির কোঠায় এসে একটি মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন জননেতা এম. সাইফুর রহমান। কতেক বার্ধক্যজনিত ব্যাধি থাকলেও দীর্ঘদেহী সুঠাম শরীরের অধিকারী ছিলেন তিনি। পরদিন ৬ই সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্টিত হয় তাঁর বিশাল নামাজে জানাযা। তাঁর জানাযার নামাজ ছিল সর্বকালের সর্ববৃহৎ নামাজে জানাযা। মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ উপচে মাঠের উত্তরাংশে পুরাতন হাসপাতাল সড়ক, হাল আমলের সৈয়দ মুজতবা আলী সড়ক, পূর্বাংশে কোর্ট রোড এলাকায় তিল ধারনের ঠাঁই ছিলনা। প্রকৃতপক্ষে সেদিন সমগ্র শহরই ছিল লোকে লোকারন্য। ঢাকা-চিটাগাং, সিলেট-সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ-মৌলভীবাজার জেলার সাতটি উপজেলার সর্ব্বদলীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গন্যমান্য নাগরিকবৃন্দ সেই সুবিশাল নামাজে জানাযায় উপস্থিত হয়ে তাকে শেষ দেখা দেখেন, শেষ বিদায়, শেষ শ্রদ্ধা জানান। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন। জেলা ও সিলেটবাসী এমন রাজর্সিক বিদায় “রয়েল ডিপারচার” অবলোকন করেননি। স্থির নিশ্চিত হয়ে বলা যায় অদূর ভবিষ্যতে কোন দিন করবেনও না। কারন জনাব এম. সাইফুর রহমান একজন-ই। তাঁর তুলনা তিনি-ই। মরহুমের প্রথম পুত্র সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা বি.এন.পির সভাপতি, এম নাসের রহমান সদ্য প্রয়াত পিতার জন্য জেলা ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চাইলেন। বিশাল নামাজে জানাযা শেষে জনাব এম. সাইফুর রহমানকে তাঁর গ্রামের বাড়ী ঐতিহ্যবাহী বাহারমর্দানে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। এই মাত্র ক’বছর আগে এখানেই দাফন করা হয়েছে তার সহধর্মিনী বেগম দুররে সামাদ রহমানকে। তাঁকে শ্যামল মাটির কোমল বিছানায় চির শয়ানে শায়িত করার সময় করুণ কান্নার রুল উঠে। কান্না, অশ্রুপাত, দোয়া দুরুদ আর কালামে পাক উচ্চারনের মাধ্যমে তাঁকে শেষ বিদায় জানান তাঁর স্বজন ও প্রিয় দেশবাসী। মৃত্যুকালে তিনি তিন পুত্রঃ এম নাসের রহমান, কাওসার রহমান, শফিউর রহমান এবং এক কন্যা সাইফা রহমানকে রেখে গেছেন। মরহুমের সন্তানগন সুশিক্ষিত ও কর্মজীবনে প্রতিষ্টিত।
২০১৭ সাল আট বছর সময়ের মধ্যে কর্মবীর এম. সাইফুর রহমানের কবরের মাটি অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। প্রাকৃতিক নিয়মে গজিয়ে উঠেছে লতাপাতা আর সবুজ ঘাস। কিন্তু তিনি বেঁচে আছেন তাঁর কাজের মাঝে।
জননেতা এম. সাইফুর রহমানের কর্ম্ম ও জীবন ব্যাপক। বিস্তৃত। বর্নিল ও বর্ণাঢ্য। স্বল্প সময়ে, স্বল্প পরিসরে তাঁর অগাধ পান্ডিত্য, মেধা ও মনন বর্নিল ও বর্নাঢ্য কর্ম্ম ও জীবন দর্শনের যথাযথ মূল্যায়ন সম্ভব নয়। সেই ক্ষমতা যোগ্যতা ও আমার নেই। তাঁর উজ্জ¦ল স্মৃতির প্রতি সুগভীর শ্রদ্ধাঞ্জলী ও রুহের মাগফিরাত কামনাই এই প্রতিবেদনের মূল লক্ষ। বৃহত্তর সিলেটের গর্ব ও গৌরব, আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ, মহান ভাষা সৈনিক, বাংলাদেশের দীর্ঘমেয়াদী সফল অর্থমন্ত্রী জননেতা জনাব এম. সাইফুর রহমানকে মহান মালিক বেহেশত নসীব করুন- এই মোনাজাত সহ আমীন, ছুম্মাআমীন।
দুঃখ ও দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইদানিংকালে বিভিন্ন স্থাপনা থেকে উন্নয়ন ও অগ্রগতির অগ্রদূত জনাব এম. সাইফুর রহমানের নাম বাদ দেয়া হচ্ছে। এহেন হীন প্রচেষ্টা নিন্দনীয়। কবি যথার্থ’ই বলেন- পাথরে নয়, কাগজে নয়, হৃদয়ে লিখ নাম সে নাম থেকে যাবে। কর্মবীর এম. সাইফুর রহমান তার সৃজনশীল উন্নয়ন কর্মকান্ড দ্বারা মানুষের হৃদয়ে লিখিয়েছেন তার নাম। মানুষের হৃদয় থেকে এ নাম মুছে ফেলা যাবেনা। এ নাম থেকে যাবে অনাদি অনন্তকাল।
মরহুম এম. সাইফুর রহমানের সম্মান ও স্মরনে সম্প্রতি গঠিত হয়েছে এম. সাইফুর রহমান স্মৃতি সংসদ। বিশিষ্ট সাংবাদিক বকশি ইকবাল আহমদ কে সভাপতি এবং বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল মতিন চৌধুরীকে সম্পাদক নির্বাচিত করে একটি শক্তিশালী কমিটি গঠন করা হয়েছে। মরহুমের মৃত্যো বাষিকী পাঁচই সেপ্টেম্বর যথাযোগ্য মর্য্যাদা ও ভাব গম্ভীর পরিবেশে উদযাপিত হয়। ফুলে ফুলে ঢেকে যায় তাঁর সমাধি। মরহুমের প্রথমপুত্র সাবেক এমপি ও জেলা বি.এনপির সভাপতি এম. নাসের রহমান মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও শিরনীর আয়োজন করেন। জেলা বি.এন.পির পক্ষ থেকে জেলা সদরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। তিনি যে মসজিদে নামাজ আদায় করতেন সেই কোর্ট মসজিদ যা বর্তমানে জেলা জামে মসজিদ হিসাবে নামকরন করা হয়েছে সেই জামে মসজিদে আমি আমার পক্ষ থেকে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করি। তাঁর কর্ম্মকালে তারই বলিষ্ট উদ্যোগ ও নেতৃত্বে নির্মিত জেলা আইনজীবী সমিতির তিন নম্বর ভবনে মরহুমনের সম্মান ও স্মরনে একটি বিলবোর্ড বিগত মৃত্যোবার্ষিকীতে টাঙ্গিয়েছিলাম যা এখনও আছে। আমাদের সমিতির সম্মানিত ও বিজ্ঞ সদস্যগন মরহুমের সম্মান ও স্মরনে তা সহজভাবে গ্রহন করেছেন। আশাকরা যায় স্মৃতি সংসদ প্রাতিষ্টানিকভাবেই মরহুমের কর্ম্ম জীবন দর্শনের উপর সেমিনার-স্মরণ সভা এবং স্মারক সংকলন প্রকাশ করবেন।
[লেখক মরহুমের ¯েœহ ও আস্থাভাজন কর্ম্মি ছিলেন। সিনিওর এডভোকেট। মুক্তিযোদ্ধা। সাংবাদিক। কলামিষ্ট]
মন্তব্য করুন