সিট বিহীন টিকেট বিক্রয় করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের একদিনের আয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ ও যন্ত্রনা নিয়ে রেলে চলাফেরা
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি॥ সিট বিহীন একটি ট্রেনে টিকেট বিক্রয় করে শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশনের একদিনের আয় প্রায় লক্ষাধিক টাকা। একথাটি জানিয়েছেন রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গীর আলম। এদিকে যাত্রীরা জানিয়েছেন তারা অসহনীয় চমর দুর্ভোগ ও যন্ত্রনা নিয়ে তারা এ পথে রেলে চলাফেরা করছেন। তারা আরো জানান, ছোট ছোট শিশু সন্তান ও মহিলাদের নিয়ে সিট বিহীন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পেটের দায়ে এই দীর্ঘ পথ পারি দিতে হচ্ছে। এ রেলপথের যেন কোন অভিবাবক নেই, কেউ দেখার নেই। শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাহাঙ্গির আলম জানান, রেলওয়ের সিলেট-চট্টগ্রাম রেল পথে পাহাড়িকা এক্সপ্রেসে ট্রেনের চট্টগ্রামের কোন সিট নেই।
১২ জুলাই মঙ্গলবার সিলেট-চট্টগ্রাম রেলওয়ে সড়কের পাহাড়ীকা এক্সপ্রেসে যাত্রীদের মাঝে শ্রীমঙ্গল থেকে সিট বিহীন অবস্থায় একদিনে টিকেট বিক্রয় করে ৮৯ হাজার ৩২০ টাকা আয় করা হয়েছে। যা পূর্বাঞ্চল রেলওয়ের সিলেট-চট্টগ্রাম রেল পথে সর্বোচ্ছ রাজস্ব আদায় বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান, ঈদ পুর্ববর্তী ঢাকা-সিলেট,ঢাকা-চট্টগ্রাম লাইনে সকল ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে যে পরিমান টিকেট বিক্রয় হতো তার চেয়ে অনেক বেশী। তিনি আরো জানান ঈদ পরবর্তী চারদিন টিকেট বিক্রয়ের পরিমান ঈদ পুর্ববর্তী এক সাপ্তাহের তুলনায় দ্বিগুনেরও বেশী। জাহাঙ্গীর আলম জানান, শুক্রবার থেকে ৫ দিনে ১২ জুলাই মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত শ্রীমঙ্গর-ঢাকা, শ্রীমঙ্গল-চট্টগ্রাম রেল লাইনের বিভিন্ন ট্রেনে ৭লক্ষ ৩৭হাজার ৯২৮ টাকার বিক্রয় করা হয়। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গল-চট্টগ্রাম রেল লাইনের পাহাড়ীকা এক্সপ্রেসের যাত্রীদের মাঝে শ্রীমঙ্গল থেকে সিট বিহীন অবস্থায় একদিনে টিকেট বিক্রয় করা হয় ৮৯ হাজার ৩২০ টাকার। এর আগে ঈদ পুর্ববর্তী ১ জুলাই শুক্রবার থেকে ৬ জুলাই বুধবার পর্যন্ত গত ৬ দিনে টিকেট বিক্রয়ের পরিমান ছিল ৩লক্ষ ৯০হাজার ৬৯৮ টাকা। এদিকে ভুক্তভোগী সিট বিহীন গামের্ন্টেস কর্মী জমিলা খাতুন তার দুই শিশু সন্তান, চাকুরীজীবি আজগর আলী ও তার স্ত্রী র্ঝরণা বেগম তাদেরও দুই শিশু সন্তান নিয়ে পাহাড়ীকা এক্সপ্রেসে ট্রেন যোগে সিট বিহীন অবস্থায় চট্টগ্রাম যাওয়ার জন্য এবং কবির হোসেন ও তার স্ত্রী তিন সন্তান নিয়ে লাকসাম যাওয়ার জন্য স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষা করছেন। তারা সবাই জানান, সরকারের ট্রেনের প্রতি কোন নজর নেই। যাত্রীরা আরো বলেন, টেলিভিশন ও পত্রিকার পাতা উল্টারেই দেখা যায় সরকার দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করছেন , বলে বক্তা বৃবিত্তি দিচ্ছে। অতচ এ পথে রেলে একবার উঠে দেখেন কি অবস্থা। তারা অসহনীয় চমর দুর্ভোগ ও যন্ত্রনা নিয়ে এ পথে রেলে চলাফেরা করছেন।
তারা আরো জানান, ছোট ছোট শিশু সন্তান ও মহিলাদের নিয়ে সিট বিহীন অবস্থায় চরম ভোগান্তিতে পেটের দায়ে এই দীর্ঘ পথ পারি দিতে হচ্ছে। এ রেলপথের যেন কোন অভিবাবক নেই, কেউ দেখার নেই।
মন্তব্য করুন