সিলেট-মৌলভীবাজার-শমশেরনগর ট্রানজিট পথ ব্যবহার করে চাতলাপুর চেকপোষ্ট দিয়ে ত্রিপুরায় যাবে ভারতীয় জ্বালানি তেলের ট্যাংকার
কমলগঞ্জ প্রতিনিধি॥ বাংলাদেশের সিলেট- মৌলভীবাজার-শমশেরনগর ট্রানজিট সড়ক ব্যবহার করে যে কোন দিন চাতলাপুর চেকপোষ্ট দিয়ে আবার ত্রিপুরায় যাবে ভারতীয় জ্বালানি তেলের ট্যাংকার। বাংলাদেশ ভারতের মাঝে এ বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাংলাদেশ অংশের ট্রানজিট পথ ভারতীয় জ্বালানি তেলের ট্যাংকার যাতায়াতের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। বাংলাদেশ অংশে যাতায়ত ও অবস্থানকালে ভারতীয় জ্বালানি তেলের ট্যাংকারের নিরাপত্তা প্রদানে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে চাতলাপুর চেকপোষ্টসহ বিভিন্ন থানাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানা যায়, ভারতের ত্রিপুরায় প্রবেশের একমাত্র সড়ক করিমগঞ্জ-বদরপুর সড়কের বেহাল দশায় মালামাল বাহী পরিবহন ত্রিপুরায় প্রবেশ করতে পারছে না। ফলে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেলের সংকট দেখা দেয়। এ লক্ষে সম্প্রতি বাংলাদেশ ও ভারত সকারের মাঝে জরুরী ভিত্তিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে ভারতের মেঘালয় থেকে সিলেটের তামাবিল চেকপোষ্ট দিয়ে ভারতীয় জ্বালানী তেলের বহর সিলেট-মৌলভীবাজার-শমশেরনগর ১৪০ কি:মি: ট্রানজিট সড়ক ব্যবহার করে মৌলভীবাজারের চাতলাপুর চেকপোষ্ট দিয়ে আবার ত্রিপুরায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। শুধুমাত্র সেপ্টেম্বর মাসে সিলেট-মৌলভীবাজার-শমশেরনগর ট্রানজিট সড়ক ভারতীরা ব্যবহার করতে পারবে।
চাতলাপুর চেকপাষ্টের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা সুমন মিয়া জানান, এই চেকপোষ্ট দিয়ে যে কোন দিন থেকে ভারতীয় জ্বালানি তেলের বহর আবার ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে। এ লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ১৮ আগস্টের পত্রের সূত্র ধরে পুলিশ সদর দপ্তরের এ আইজি (কনফিডিয়ানসিয়েল) মো: মনিরুজ্জামান বিপিএম, বিপিএস-বার স্বাক্ষরিত ২১ আগষ্টের একটি নির্দেশনা পত্র তিনি পেয়েছেন। তাছাড়া সিলেটের ডিআইজির পক্ষে সহকারী পুলিশ সুপার খন্দকার আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত ২৩ আগষ্টের একটি পত্র তিনি পেয়েছেন। ডিআইজি অফিস থেকে বাংলা দেশের ট্রানজিট পথে যাতায়াত, ও অবস্থানকালে ভারতীয় জ্বালানি তেলের বহরকে সকল প্রকার নিরাপত্তা বিধানেও কুলাউড়া, বড়লেখা, রাজনগর ও জুড়ি থানান অফিসার ইনচার্জকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর বেলা আড়াইটায় চাতলাপুর চেকপোষ্ট এলাকায় আলাপকালে সড়ক জনপথ বিভাগ, মৌলভীবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী উৎপল সামন্ত এ প্রতিনিধিকে বলেন, ঠিক কবে ভারতীয় জ্বালানি তেলের বহর যাবে তা বলা যাচ্ছে না। তবে সড়ক ও জনপথের পথ ব্যবহারের সকল প্রকার প্রস্তুতি শেষ। তিনি আরও জানান, আপাতত চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ভারত এ সুযোগ পাবে। বাংলাদেশ অংশে সিলেট থেকে চাতলাপুর চেকপোষ্ট পর্যন্ত সড়কের অবস্থা সম্পর্কেও উৎপল সামন্ত বলেন, আপাতত তেমন ভারী ভারতীয় যানবাহন চলাচল করছে না। সুতরাং সড়কের তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ভারত থেকে প্রকাশিত একটি সংবাদপত্রের সূত্রে জানা যায় খুব সম্ভব ৮ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ভারতীয় জ্বালানি তেলের বহর যাতায়াত করবে। শুল্ক বিভাগের সিলেটস্থ সুপারেনটেনডেন্ট দেবাশীষ পাল চাতলাপুর চেকপোষ্ট দিয়ে ত্রিপুরায় ভারতীয় জ্বালানি তেল পরিবহনের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন শুল্ক বিভাগ এখনও লিখিত কোন পত্র পায়নি।
মন্তব্য করুন