“সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম ঃ আমাদের জেলা কমিটি দেওয়ান খয়ের গিয়াস-সংসদকে স্বাগতম শুভেচ্ছাঃ শুভ কামনাঃ প্রস্তাবনা॥
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ বাংলা ও বাঙ্গাঁলির হাজার বছরের সংগ্রামী ইতিহাসে একাত্তোরের মহান মুক্তিযুদ্ধ একটি গৌরবময় অধ্যায়। পঁচিশে মার্চ একাত্তোর থেকে পনেরোই ডিসেম্বর পর্য্যন্ত ন’মাস ব্যাপী একটি রক্তক্ষয়ী জনযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে চূড়ান্ত বিজয় ছিনিয়ে আনেন বাংলা বাহিনী-অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধার দল। একাত্তোরের ষোলই ডিসেম্বর এর এক পড়ন্ত বিকেলে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর যৌথ কমান্ডের কাছে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পনের মাধ্যমে দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার মানচিত্রে গুণগত মৌলিক পরিবর্তন আসে-পরদিন পূর্ব দিগন্তে নূতন সূর্য্য উঠার পূর্বেই সৃষ্টি হয় এক নূতন দেশ-বাংলাদেশ। এক নূতন জাতি বাঙ্গাঁলি। একাত্তোরের ষোলই ডিসেম্বর আমাদের চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের সাথে সাথে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের আনুষ্ঠানিক পরিসমাপ্তি ঘটে। স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশ গ্রহণকারী বীর নওযোয়ান বীর মুক্তিযুদ্ধা হিসাবে স্বীকৃত-খ্যাত ও পরিচিত।
একটি জাতির যোগ্য সন্তানদের সৌভাগ্য সে জাতির জাতীয় মুক্তি সংগ্রামে অংশ গ্রহনের সুযোগ লাভ। আমাদের প্রজন্মের চরম সৌভাগ্য ও পরম পাওয়া এই, আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের সুযোগ লাভ করতঃ বীর মুক্তিযোদ্ধা হবার গৌরব অর্জন করি।
একাত্তোরের ষোলই ডিসেম্বরে বিজয় অর্জন এবং মহান মুক্তিুযুদ্ধের পরিসমাপ্তি হলেও সেই সালের সতেরোই ডিসেম্বর সুর্য্যােদয়ের সাথে সাথে শুরু হয় অর্থনৈতিক মুক্তির আরেক মহাসংগ্রাম-যে মহা সংগ্রাম এখনও চলছে-হয়ত চলবেও। স্বীকৃত সত্য যে অর্থনৈতিক মুক্তি ছাড়া রাজনৈতিক স্বাধীনতা অনেকাংশেই অর্থহীন হয়ে যায়।
দেশও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিজস্ব জাতীয় সংগঠন “বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ”। সংস্থাটির একটি কেন্দ্রীয় কমিটি রয়েছে যা-সেন্ট্রাল কমান্ড কাউন্সিল নামে পরিচিত। দলমত পথ নির্বিশেষে মাঠের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের জাতীয় সংগঠন এটি। সাংঘটনিক বিধি বিধান মোতাবেক কমিটি নির্বাচিত হয়। কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল নির্বাচিত জাতীয় সংস্থা হিসাবে দেশের হাজার লাখো মুক্তিযোদ্ধাদের অভিভাবকত্ব করেন- নেতৃত্ব দেন। আমাদের জেলাও এলাকার সু-সন্তান চার নম্বর সেক্টরের সি-হন-সি স্পেশিয়েল ব্যাচ এর বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী ভ্রাতৃ প্রতিমেষু দীর্ঘদিন কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর বলিষ্ট উদ্যোগ ও গতিশীল নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী-যাচাই-বাছাইসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কার্য্য সম্পাদন হয়েছিল। কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সর্বশেষ নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল হেলাল মুর্শেদ খাঁন (অবঃ)। বর্ত্তমানে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত নেতৃত্ব নেই। জেলা সদর সমূহে জেলা প্রশাসক মহোদয়গণ পদাধিকার বলে জেলা কমান্ডার এর দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে- মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি অবসর প্রাপ্ত কর্নেল মোহাম্মদ আতাউল গনী ওসমানীর (পরে জেনারেল। পরলোকে।) অধীনে এগারোটি সেক্টর ছিল। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধের শুরুতে পাক সেনাবাহিনীর তিনজন চৌকশ অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান (জেনারেল। মহামান্য রাষ্ট্রপতি। শাহদাত বরন।), মেজর কে.এম.শফিউল্লাহ (পরে জেনারেল। দেশের প্রথম সেনা প্রধান। কমান্ডার্স ফোরাম এর বর্ত্তমান প্রধান।) মেজর খালেদ মোশাররফ (পরে মেজর জেনারেল। একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যোত্থানে নিহত।) এর নামের আদ্যাক্ষর জেড, এস. এবং কে- ফোর্স নামে ব্রিগেড আকারে তিনটি ফোর্স ছিল। সেক্টর কর্মান্ডারদের মধ্যে উল্লেখিত তিন সেনা কর্মকর্তা ছাড়া মেজর মীর শওকত আলী (পরে লেঃ জেনারেল। মন্ত্রী। পরলোকে) মেজর সি.আর.দত্ত (পরে মেজর জেনারেল রিঃ॥ এই দুই সেনা কর্মকর্তা আমাদের বৃহত্তর সিলেট-অঞ্চলে পাঁচ ও চার নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার ছিলেন), মেজর এম.এ জলিল (প্রয়াত), মেজর আবুুল মঞ্জুর (পরে মেজর জেনারেল, চট্রাগ্রামের একটি ব্যর্থ সেনা অভ্যোত্থানে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা। তাঁর ভ্রাতা এডভোকেট আবুল মনসুর বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন, যা এখনও বিচারাধীন), মেজর আবু তাহের (পরে লেঃ কর্নেল। বীর উত্তম। একটি মামলার ফাঁসির দন্ড প্রাপ্ত হয়ে ফাঁসি।)
লেঃ কর্নেল নূরুজ্জামান, মেজর রফিকুল ইসলাম প্রমুখ সেক্টর কমান্ডার এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্ব পূর্ণ ভূমিকা এবং কৃতিত্ব পূর্ণ অবদান এর কথা মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে।
প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মহান মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জল ইতিহাস ও চেতনাকে সমুজ্জল ও সমুন্নত রাখার মহান মানুষে ইতিপূর্বে জাতীয় পর্যায়ে গঠিত হয়েছিল সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম। মেজর জেনারেল (অবঃ) কে.এম.শফিউল্লাহ বিইউ.কে.সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সেনা প্রধান লেঃ জেনারেল হারুনুর রশীদ বীর প্রতীককে সম্পাদক নির্বাচিত করে গঠিত জাতীয় কমিটি এখনও কাজ করছেন। সরকারি ভাবে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয় এর উদ্যোগ এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সংরক্ষণ এবং মুক্তি যোদ্ধাদের সম্মান ও স্মরণে বিভিন্ন কার্য্যক্রম পরিচালনা করছেন। দুঃখও দূর্ভাগ্যজনক ভাবে যদিও এখন পর্য্যন্ত সরকার ও মন্ত্রণালয় প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী করতে সক্ষম হননি। এখনও তালিকা তৈরীর কাজ যাচাই-বাছাই চলছে। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এর কার্য্যক্রম কেন্দ্র থেকে মফস্বল পর্য্যন্ত বিস্তিৃত করার মহান মানষে জেলা পর্য্যায়ে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম এর কমিটি গঠন করেছেন, করছেন। ইতিপূর্বে বিভাগীয় সদর সিলেট, সিলেট জেলা কমিটি গঠিত হয়ে কার্য্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
চার নম্বর সেক্টরাধীন মৌলভীবাজার জেলারও মহান মুক্তিযুদ্ধে রয়েছে একটি গৌরবোজ্জল ভূমিকা। সাবেক ইউ.পি চেয়ারম্যান ও সাবেক জেলা কমান্ডার দেওয়ান আবুল খয়ের চৌধুরীকে সভাপতি এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা বিশিষ্ট সমাজ সেবক গিয়াস উদ্দিন আহমদকে সেক্রেটারি নির্বাচিত করে সেক্টর কমান্ডারর্স ফোরাম এর মৌলভীবাজার জেলা কমিটি গঠিত হয়েছে। উভয়েই মুক্তিযুদ্ধ, রাজনীতি, সমাজ সেবা অঙ্গঁনের পরিক্ষিত বলিষ্ট ও পরিচিত মুখ। ষাটের দশকের শেষ ভাগে উভয়েই বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের সমর্থক সংঘটক এবং নির্ভীক মুজিব সৈনিক হিসাবে ছাত্রলীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে উনসত্তোর সালে ছাত্র সমাজের ঐতিহাসিক এগারো দফার ছাত্র-গণ আন্দোলন এবং সত্তোর সালের সাধারন নির্বাচনে বঙ্গঁবন্ধু মনোনীত প্রার্থীদের স্বপক্ষে নৌকা মার্কার প্রচারাভিযানে অংশ গ্রহন ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উভয়েই স্বাধীনতা যুদ্ধে যোগ দিয়ে সামরীক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতঃ চার নম্বর সেক্টরে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। দুজনই দক্ষ সংঘটক, স্পষ্টভাষি, ষ্পষ্টবাদী, সত্যবাদীও সুবক্তা। সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়, নীতি, নৈতিকতার ক্রমোবনতি, বে-আদব, বেদতমিজ, বদমায়েস, ধর্ষকদের উদ্ভিন্ন উল্লাস এবং ভ্রষ্টাচারের জোয়ারের মাঝে দেওয়ান আবুল খয়ের চৌধুরী এবং গিয়াস উদ্দিন আহমদকে দূর্নীতির কলংক ও কালিমা স্পর্শ করতে পারেনি। দু’জনেই শিক্ষিত, সম্ভান্ত, সচ্চল, বিত্তবান পরিবারের সন্তান হয়েও ক্ষমতার অপব্যবহার এবং আমি কি হনুরেভাব প্রদর্শন, করেননি, দুজনই ভদ্র ও বিনয়ী হিসাবে সু-পরিচিত। দেওয়ান খয়ের-গিয়াস-কমিটিকে স্বাগতম-শুভেচ্ছা-অনেক অনেক দোয়া।
এই কঠিন সময়ে দেশ, জাতি, মুক্তিযোদ্ধাও জনগনের জন্য কাজ করার সুযোগ রয়েছে এই কমিটির। গণতন্ত্র, সুশাসন, সাম্য, মৈত্রী, ন্যায় বিচার মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ছিল মহান মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা। এসব প্রতিষ্টায় চিন্তা ভাবনা ও কাজ করতে পারেন এই কমিটি। নির্বাচিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ নেই, তাই এই ফোরাম প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানও কল্যানে কাজ করতে পারেন। সার্টিফিকেট জালিয়াতি, এমনকি পত্রিকান্তরে খবরে প্রকাশ মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর স্বাক্ষর স্ক্যানিং করে জ্বালিয়াতের মাধ্যমে চাকরি সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করছেন একটি ঠগ প্রবঞ্চক চক্র। অথচ চট্রগ্রাম অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিব বাহিনীর অকুত ভয় বীর সৈনিক আয়ূব খান প্রকৃত মুক্তি যোদ্ধা হয়ে ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর সচিব-কর্তা ব্যক্তিদের বরাবরে ধর্না দিতে দিতে ন্যায্য সুবিধা প্রাপ্তিতে বঞ্চিত হয়ে, কর্তা ব্যক্তিদের কর্তৃক অপমানিত হয়ে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে-ডেথনোট-লিখে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেলে আত্বহত্যা করেছিলেন। পরদিন জাতীয় পত্র-পত্রিকায় এই দুঃখজনক দূঃসংবাদ প্রকাশিত হলে সমগ্র জাতি শোকাহত হন, বিচার চান। একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং একজন কলম সৈনিক হিসাবে একাত্তোরের সাথী বীর মুক্তিযোদ্ধা আয়ূব খানের আত্ব হননে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে Probogation to commit suicide” দঃবিঃ ৩০৬ ধারায় মামলা দায়ের ও বিচারের দাবী জানিয়ে ছিলাম। ঢাকা-চট্রগ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ মানব বন্ধনের মাধ্যমে সেই দাবী জানিয়ে ছিলেন। মাননীয় মন্ত্রী বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে ছিলেন কিন্তু কিছুই হয়নি। সুবিধাবাদী সুবিধা ভোগীগণ অর্থবিত্তও ক্ষমতার দাপটে ধরা যাবেনা, ছোয়া যাবে না-হাব ভাব প্রদর্শন করে পাড় পেয়ে যায়। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা তৈরী, ভূয়া কাগজাত তৈরী কারীগণকে অনুসন্ধান করতঃ আইনের আওতায় আনয়ন করার জন্য বাঃদঃবিঃ ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় মামলা দায়ের করাতে সহায়তা করতে পারেন এ কমিটি। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাসকে স্মৃতির গভীরে হারিয়ে না দিয়ে চীর জাগরুক রাখার জন্য স্থানীয় ভাবে হলেও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রকাশনা, পঠন, পাঠন, সেমিনার, সিম্পজিয়াম, ওয়ার্কশফ, বিতর্ক, রচনা প্রতিযোগিতা-তথা একটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ বিনিমার্ণের প্রক্রিয়া চালু করতে পারেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পাঠাগার এবং প্রচলিত পাবলিক লাইব্রেরী সমূহে- মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার স্থাপন করা যেতে পারে। স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভোদ্ধ বর্ত্তমান মেধাবী প্রজন্মকে যেনো না শুনতে হয়-একাত্তোর গন্ড গোলের বছর। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা জাতীয় পর্য্যায়েই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রকাশনার দৈন্য কাটিয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের প্রকাশনা শিল্পের যাবতীয় আবেগ-উচ্ছাস-প্রকাশনা-আমাদের প্রাণের মেলা একুশের বই মেলাকে কেন্দ্র করে।
বছর বছর মেলার পরিধি-পরিসর বৃদ্ধি পেলেও প্রাসঙ্গিঁক প্রকাশনা আশানুরুপনয়। এ বারের বিগত বই মেলায় মোট চার হাজার আটশত চৌত্রিশ খানি পুস্তক প্রকাশিত হলেও পত্রিকান্তরে প্রকাশিত তথ্য মতে মানসম্মত বই ছিল মাত্র এগারো শত একান্ন খানি এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পুস্তক ছিলমাত্র এক শত দশ খানি-ষোল কোটি মানুষের দেশে যা আশানুরুপনয়, অপ্রতুল ও বটে।
ঢাকার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকা তাঁর কার্য্য কালে মুক্তি যোদ্ধাদের সম্মান ও স্মরনে বীর মুক্তি যোদ্ধাদের নামে ভিবিন্ন রাস্তার নামাকরন করেছিলেন- প্রশংসিত হয়েছিলেন। সিলেট সিটি কর্পোরেশন ও এ ব্যাপারে প্রশংসার দাবীদার। সিলেটে দেওয়ান নূরুল হোসেন চঞ্চল, ইয়ামিন চৌধুরী বীর বিক্রম প্রমুখ বীর সেনানীদের নামে রাস্তা আছে। আমাদের জেলা অঞ্চলের জনপ্রতিনিধিগণ স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভোদ্ধ- অনেকেই একাত্তোরের বীর সেনানী। আমাদের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাবেক সাংসদ ও এম.সি.এ.এম.আজিজুর রহমান সি-ইন-সি-স্পেশালের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাই জেলার হাট-বাজার-রাস্তার নামাকরন শহীদ এবং বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে নামাকরণ করে একাত্তোরের বীরদের প্রতি সম্মান দেখাতে পারেন। ষোলই ডিসেম্বর বিজয় দিবস, ছাব্বিশে মার্চে স্বাধীনতা দিবসে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সংকলন সাময়িকী প্রকাশ এখন খুব কঠিন কাজ নয়, আমাদের কালে লেটার প্রেস ছিল দেড় থেকে দুই খানা, লেখক গবেষক ছিলেন হাতে গোনা।
সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম নব গঠিত জেলা কমিটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মান সম্মান মর্য্যাদা অধিকার রক্ষা ও প্রতিষ্ঠার প্রয়াজনীয় পদক্ষেপ নেবেন, এ আশাবাদ ব্যক্ত করাই-যায়, তাঁদের অগ্রজ হিসাবে তাঁদেরকে শর্তহীন সহযোগীতার আশ্বাস ও দিতে হয়। দিলামও। খয়ের-গিয়াস কমিটি কে অভিনন্দন শুভেচ্ছা, শুভ কামনাসহ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লুপ্ত হতে দেব না এই হউক আমাদের সকলের পবিত্র অঙ্গীঁকার।
[ মুক্তিযোদ্ধা। প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক-একাত্তোরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব]
মন্তব্য করুন