সোনার হরিণ এখন রাজনগরে বিদ্যুৎ
স্টাফ রিপোর্টার॥ রাজনগর উপজেলার দুই লক্ষাধিক মানুষের প্রধান সমস্যা এখন বিদ্যুৎ। জেলার অন্যান্য উপজেলায় সরকারকর্তৃক বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলার জন্য লোডশেডিং তালিকা প্রকাশ করা হলেও রাজনগরের চিত্র ভিন্ন। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সাময়িক বিদ্যুৎ সংকট মোকাবেলায় স্থানভেদে লোডশেডিং তালিকা প্রকাশ করার কথা থাকলে ও অদৃশ্যের ছোঁয়ায় রাজনগর উপজেলার সাধারণ জনগণের কাছে তা এখনো পৌঁছায়নি।
প্রতিদিন তালিকা ভিত্তিক ১ থেকে ২ ঘণ্টা লোডশেডিং এর কথা থাকলেও রাজনগরে লোডশেডিং হচ্ছে প্রায় তিন থেকে চারগুণের বেশি। যার ফলে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়- মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী,বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ, শিশু ও বয়স্করা। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই জনজীবনে উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র নাহিদের (২০) ভাষ্যমতে বিগত ২৪ ঘন্টায় ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা বিদ্যুৎ ছিল না রাজনগর উপজেলায় যার প্রভাবে নিকটবর্তী ফাজিল পরীক্ষার প্রস্তুতি সঠিকভাবে নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না তার পক্ষে। মুন্সিবাজারের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমানের(২৩) ভাষ্যমতে বিদ্যুৎ না থাকার ফলে ক্রেতার সংখ্যা কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক ক্ষতি ও মানসিক অশান্তির মধ্যে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। এছাড়াও ব্যাংক কর্মকর্তা মিসবাউল হাসানের(৩২) ভাষ্যমতে বিদ্যুৎ এখন সোনার হরিণ, কখন আসবে কখন যাবে তার নিশ্চয়তা নেই। এর ফলে স্বাভাবিক ভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ব্যাংকে আসা গ্রাহক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার জেলার বিদ্যুৎ অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তার সঞ্জয় মৌলভীবাজার সমাচারকে বলেন, আমাদের চাহিদার তুলনায় বিদ্যুতের সাপ্লাই পাচ্ছিনা। প্রতিদিন যেখানে রাজনগর উপজেলার প্রয়োজন ১০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ সেখানে আমাদের আজকে দেয়া হয়েছে ৬ কিলোওয়াট, মূলত রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ সমস্যার প্রধান কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন তিনি। শতভাগ বিদ্যুতাঢিত রাজনগর উপজেলার গ্রাহকের সংখ্যা ও লোডশেডিং এর তালিকা দেখাতে বলা হলে তা(এ এন্ড এম) কাছে রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
মন্তব্য করুন