স্বাধীনতার গোপন সংঘটন “নিউক্লিয়াসের জনক, মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক, রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক, তাত্বিক, সিরাজুল আলম খাঁন এর আসি তম শুভ জন্মদিন ঃ দাদাকে জন্ম দিনের শুভেচ্ছা ঃ
মুজিবুর রহমান মুজিব॥ ৬ই জানুয়ারী বাংলাদেশী সমাজ ও রাজনীতির পরিচ্ছন্ন, পুরুষ, ষাটের দশকে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার গোপন সংঘটন-নিউক্লিয়াসের- “জনক, একাত্তোরে- মুজিব বাহিনীর-“আঞ্চলিক অধিনায়ক, রাষ্ট্র ও সমাজচিন্তক তাত্বিক সিরাজুল আলম খাঁন এর আসি তম শুভ জন্মদিন, বৃটিশ ভারতের শেষ ভাগে ১৯৪১ সালের ৬ই জানুয়ারী নোয়াখালির বেগমগঞ্জ উপজেলাধীন আলিপুর গ্রামে ঐতিহ্যবাহী খাঁন বাড়ীতে শিক্ষিত-সম্ভান্ত ও অভিজাত পরিবারে শিক্ষা বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা খুরশেদ আলম খাঁন এর ঔরসে এবং রত্নগর্ভা রমনী সৈয়দ বংশীয় সৈয়দা জাকিয়া খাতুনের গর্ভে মানব শিশু সিরাজের জন্ম। ছয় ভাই, তিন বোন এর মধ্যে বালক সিরাজ মা-বাবার দ্বিতীয় সন্তান। বাল্য কাল থেকেই বালক সিরাজ অসম্ভব রকমের মেধাবী, গ্রহ্ণ সুহৃদও দেশ প্রেমিক ছিলেন। মুজিব বাহিনীর বীর যোদ্ধা শামসুদ্দিন পেয়ারা রচিত-একটি রাজনৈতিক জীবনা লেখ্য আমি সিরাজুল আলম খাঁন- গ্রহ্ণে “আমার সীমাবদ্ধতা- শিরোনামে সিরাজুল আলম খাঁন রহস্য-রাখা ঢাক নয় পরিষ্কার ভাবেই বলেন- শৈশব-কৈশোরে আমার বাবার কাছ থেকে যেসব কথাবার্তা শুনেছি সেটাই রাজনীতিতে আমার জড়িত হওয়ার প্রধান কারন। ছোট বেলায় বাবার কাছে শেখা ‘ডিসিপ্লিন’ আমার পুরো জীবনকে প্রভাবিত করেছে প্রবল ভাবে”।
আজীবন আপাদ মস্তক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ সিরাজুল আলম খাঁন পিতা অবসর প্রাপ্ত বিভাগীয় শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম খাঁন এর আদর্শ ও অনুপ্রেরনায় স্বদেশ প্রেমও স্বাদে শিকতায় উদ্ভোদ্ধ হয়ে বাল্য কৈশোর কাল থেকেই শিক্ষা, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলে বেড়ে উঠেন। আমি সিরাজুল আলম খাঁন গ্রহ্ণে তিনি বলেন- “চিন্তার জগতে আমাকে স্বাধীনতা বিষয়টি বুঝতে সাহায্য করেছিল তৎকালীন আলজিরিয়ার মুক্তি সংগ্রাম, কিউবার বিপ্লবী আন্দোলন, ভিয়েত নামে আমেরিকার বিরুদ্ধে কমিউনিষ্টদের লড়াই এবং ইন্দোনেশিয়া সহ প্রতিবেশী নানা দেশে নিপিড়ন-নির্য্যাতনের বিরুদ্ধে জনগনের আন্দোলন সংগ্রাম। এসব ঘটনার প্রেক্ষাপটে পূর্ব বাংলার স্বাধীনতার বিষয়টি এক সময় আমার মাথায় ঢুকে পড়ে।
বাংলা ও বাঙ্গাঁলির অকৃত্তিম বন্ধু সিরাজুল আলম খাঁন বাঙ্গাঁলি জাতীয়তা বাদের অনুসারি হিসাবে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগের আপোষহীন নেতা ও বলিস্ট সংঘটক হিসাবে সেই কঠিন সময়ে কঠোর হস্তে ১৯৬২-৬৩ সালে ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সংঘটক সিরাজুল আলম খাঁন এর রাজনৈতিক জীবনের কঠিন কাজ ৬২ সালে তাঁর দুই জন সহযোগি আব্দুর রাজ্জাক ও কাজি আরিফ আহমদকে নিয়ে স্বাধীন বাংলা প্রতিষ্ঠার গোপন সংঘটন নিউক্লিয়াস গঠন করা। গোপন সংঘটন নিউক্লিয়াস কাজের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বেঙ্গঁল লিবারেশন ফ্রন্ট বি.এল.এফ. মুজিব বাহিনী নামে অভিহিত হয়েছে। ছয়ষট্টি সালে বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জনক বঙ্গঁশার্দুল শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্ত্ব শাসনের দাবী সম্বলিত ঐতিহাসিক ছয় দফা কর্মসূচী ঘোষনা করলে ছয় দফার প্রচারে বলিষ্ট ভূমিকা পালন করেন শক্তিমান সংঘটক সিরাজুল আলম খাঁন। ৬৯ সালের সর্বদলীয় ছাত্র সমাজের এগারো দফার ছাত্র গণআন্দোলন এবং গন অভ্যোত্থানে নেপথ্য সংঘটক হিসাবে বলিষ্ট সংঘটক সিরাজুল আলম খাঁন এবং নিউক্লিয়াসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ইতিহাসের অংশ।
স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহ ধন্য ও আস্থাভাজন কর্মি সিরাজুল আলম খাঁন এর মানব জীবনের স্বর্ণ সময় গৌরবজনক অধ্যায় একাত্তোরের মহান মুক্তি যুদ্ধে বঙ্গঁবন্ধু প্রদর্শিত পথ ও মতে মহান মুক্তিযুদ্ধে সংঘটক ও যোদ্ধা হিসাবে আবির্ভাব। প্রবাসী মুজিব নগর সরকারের নিয়ন্ত্রনাধীন বি,এল,এফ: এর সামরীক শাখা মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক ছিলেন সিরাজুল আলম খাঁন। স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের নামে গঠিত মুজিব বাহিনীর অন্যতিন আঞ্চলিক অধিনায়ক ছিলেন শেখ ফজলুল হক মনি, আব্দুর রাজ্জাক এবং তোফায়েল আহমদ। মুজিব বাহিনীর উচ্চ শিক্ষিত, অত্যাধুনিক প্রশিক্ষন প্রাপ্ত বীর গেরিলা যোদ্ধাদের গৌরব জনক ভূমিকা স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ।
স্বাধীনতা উত্তর কালে স্বাধীনতা সংগ্রামী সিরাজুল আলম খাঁন শোসন হীন সমাজতান্ত্রীক সোনার বাংলা গঠনের লক্ষ্যে শ্রেণি
সংগ্রামকে তরান্বিত করে সমাজ বিপ্লবের মাধ্যমে শ্রেণি হীন সুশন হীন বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে নূতন সমাজতান্ত্রীক সংগঠন গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন। তারই অনুপ্রেরনায় স্বাধীনতা সংগ্রামী মেজর এম.এ.জলিল (অবঃ) এবং আশম রব এর নেতৃত্বে গঠিত হয় স্বাধীন বাংলার প্রথম বিরোধী দল জাসদ। স্বাধীনতা উত্তর কাল থেকে তাত্বিক সিরাজুল আলম খাঁন কোন দলীয় রাজনীতিতে নেই। তিনি কোন দলের নেতা কর্মি নহেন। দীর্ঘদিন যাবত প্রশাসনিক সংস্কার মূলক চৌদ্দ দফা কর্ম্মসূচীর প্রসার প্রচারে আছেন এই রাজনৈতিক চিন্তাবিদ।
ষাটের দশকের শুরু থেকে দুর ও কাছে থেকে দেখে আসছি সংঘটক ও তাত্বিক সিরাজুল আলম খাঁনকে। বাষট্টি সালে মেট্রিক কেনডিডেট ছিলাম। ছাত্র লীগের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দেশ ও দলের কাজ করার সুযোগ পাই। চৌষট্টি সালে ঐতিহ্যবাহী এম.সি. কলেজের ছাত্রাবস্থায় সিলেটে ছাত্র আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করি। ঐ দশকে প্রথমে মৌলভীবাজার মহাবিদ্যালয় অতঃপর মহকুমা শাখা ছাত্র লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে নেতৃত্ব প্রদানের সুযোগ লাভ করি। তখন প্রত্যেক বৎসর ছাত্র লীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন হত-যোগ দিতাম। ইকবাল হল, অধুনাসার্জেন্ট জহুরুল হক হলে দাদা হিসাবে খ্যাত শ্রদ্ধেয় সিরাজুল আলম খানের সঙ্গেঁ আমার প্রথম সাক্ষাত। এই হলে ১১৬ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র ছিলেন অগ্রজ প্রতিম গিয়াস উদ্দিন মনির (মুক্তিযোদ্ধা অবঃ হাই কমিশনার গ্রেট বৃটেন।)
আটষট্টি সালে হায়ার সেকেন্ড ক্লাশ নিয়ে বি.এ.পাশ করলে পিতা মাতার ইচ্ছা ও নির্দেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ে মাষ্টার্স প্রিলিমিনারিতে ভর্ত্তি হই। প্রথমে মনির ভাইর, কক্ষে উঠলে ও মহসিন হলে নিউক্লিয়াস পহ্ণী ছাত্র লীগের সংখ্যা কম থাকায় আমাকে পাঠানো হয়। দাদার সহজ সরল সাধারন জীবনাচরন, অপূর্ব সাংঘটনিক দক্ষতা, বাগ্মিতা তীক্ষè বুদ্ধি, কর্মি বাৎসল্য আমাকে বিমুগ্ধ করে। তার ভক্ত হই। এখনও আছি। সত্তোর সালে বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের অহিংস ও অসহ যোগ আন্দোলনের সময় প্রত্যহ সন্ধ্যায় পাক ফৌজি সরকারের সান্ধ্য আইন ভঙ্গঁ করে ইকবাল হল, মহসিন হল, নীল ক্ষেত এলাকায় জঙ্গীঁ মিছিল বের হত। ছাত্র-শ্রমিক-কর্ম্মচারী-যুব-জনতার অংশ গ্রহনের সেই প্রতিবাদ মিছিল এর নেপথ্য সংঘটক ছিলেন দাদা সিরাজুল আলম খাঁন আমি বাল্য কৈশোর কালে-সাহসী ও ডান পিটে ছিলাম। প্রত্যহ সন্ধ্যা রাতে সান্ধ্য আইন ভঙ্গ করে সামরীক সরকার বিরোধী মিছিল এবং জয় বাংলা শ্লোগানের আমেজই ছিল আলাদা। আমি নিয়মিত হল ছাত্র লীগ নেতৃবৃন্দ সহ মিছিলে যেতাম। গগন বিদারী শ্লোগান দিতাম। এক সন্ধার মিছিলে গুলী বর্ষনে একজন মিছিল কারি আহত হয়ে প্রচুর রক্তপাত হয়। ভাষানী পহ্ণী ছাত্র ইউনিয়ন এর বিশিষ্ট নেতা আমার আত্মীয় আব্দুল মজিদ খসরু (অবসর প্রাপ্ত ম্যানেজার সোনালি ব্যাংক) সহ ফাড়ি পথে হলে ফিরে আসি। গুলিবিদ্ধ ছাত্রকে সেবার ব্যবস্থা করি। আমাদের নেতা দাদা সিরাজুল আলম খাঁন এর প্রেরনা উৎসাহ আমাকে সাহস যোগাত। তিনি আমাকে খুবই স্নেহ করতেন।
এখন ও করেন। কোন রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তা কিংবা মাঠ রাজনীতির সক্রিয় নেতা না হয়েও আজীবন আপাদ মস্তক সার্বক্ষনিক রাজনৈতিক চিন্তাবিদ সিরাজুল আলম খাঁন। ৬২-৬৩ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক এবং একাত্তোর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক এর দায়িত্ব পালন ছাড়া কোন দিন কোন পদ পদবীতে ছিলেন না তিনি। তিনি পদে নেই, পদ বানিজ্যেও নেই। চব্বিশ ঘন্টার এই রাজনৈতিক চিন্তাবিদ আত্ব প্রচার বিমুখ। ফটোসেশনে নেই তিনি। কথার চেয়ে কাজের মানুষ সিরাজুল আলম খাঁন মেট্রিকুলেশনে ষ্ট্যান্ড করা ছাত্র হয়েও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্ব্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়ে নিজের জীবন জীবিকার প্রয়োজনে কোন কর্ম্ম পেশার সঙ্গে জড়িত হন নি, অকৃতদার সিরাজুল আলম খাঁন তাঁর সমগ্র মানব জীবন উৎসর্গ করেছেন দেশ ও জাতির জন্য। অভিজাত-উচ্চ বংশীয় খান্দানী পরিবারের কৃতি সন্তান হয়েও তিনি আজীবন দরিদ্র নিম্ন শ্রেণির সাধার মানুষের কল্যানে কাজ করেছেন, করছেন। ষাটের দশকে আওয়ামী লীগের কঠিন সময়ে বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের বিশ্বস্থ, স্নেহ ধন্য ও আস্থাবাজন কর্মি হিসাবে তিনি তারই সদিচ্ছা ও নির্দেশে আওয়ামী লীগের সহযোগী শ্রমিক সংঘটন শ্রমিক লীগ গড়ে তুলতে আত্ব নিয়োগ করেন। তখন শ্রমিক সংঘটন সমূহ বাম ঘরানার রাজনীতির নিয়ন্ত্রনে। শক্তিমান সংঘটক সিরাজুল আলম খাঁন তার নিজ জেলা নোয়াখালি অঞ্চলের কতেক শ্রমিক নেতা সহ তেজগাঁও-টঙ্গীঁ শিল্পাঞ্চলে কঠোর পরিশ্রম করে শ্রমিক লীগ গঠন করেন। টঙ্গীঁ শিল্পাঞ্চরের অবি সংবাদিত নেতা কাজি জাফর আহমদ এর একচ্ছত্র আধিপত্যের ভিত ভেঙ্গেঁ দেন। বঙ্গঁবন্ধুর কাছে তাঁর দাবী ছিল আওয়ামী লীগকে বৃটেনের লেবার পার্টির আদলে একটি মধ্যবিত্ত শ্রেণির দল হিসাবে গড়ে তোলা।
বানিজ্যায়ন-দূবৃত্তায়ন-ভ্রষ্টাচার-পাপিয়া ও কাউয়া কালচারের জোয়ারের মাঝেও স্বাধীনতা সংগ্রামী সিরাজুল আলম খাঁন একজন শতকরা একশত ভাগ মিঃক্লিন। তাঁর সাদা চুল দাড়ি ও সফেদ পোষাকে কোন কলংকের কালিমা নেই। মালিন্য নেই। নীতিকথা-নৈতিকতা-সামাজিক মূল্যবোধ ও অবক্ষয় এর বাজারে কেরানী আবজাল এবং ড্রাইভার মোবারক এর শত কোটি টাকা এবং বেশুমার প্লট-ফ্ল্যাট থাকলেও সিরাজুল আলম খাঁন একজন সর্বহারা। তাঁর ঘরবাড়ি, প্লট-ফ্ল্যাট-ব্যবসা-বানিজ্য কিছুই নেই। অসৎ ও নষ্ট রাজনীতিকে পুজি করে ধান্দাবাজি ও ফেরেব্বাজির মাধ্যমে অনেক ফকির আমীর হলেও একজন অভিজাত সম্ভান্ত শিক্ষিত সিরাজুল আলম খাঁন রাজনৈতিক কারনে এখনও গৃহহীন সর্বহারা।
দাদা অকৃতদার সিরাজুল আলম খাঁন এর রাজনৈতিক সহকর্মি-শুভানুধ্যায়ীগণই তার সহোদর-সন্তানসম। সহকর্মি-শুভানুধ্যায়ী-অধ্যাপনা-অধ্যয়ন-পঠন-পাঠন গবেষনাই তাঁর দিবারাত্রির মহাকাব্য। ঘর গেরস্থালি। তাঁর স্নেহভাজন অক্সফোর্ড স্কুল ও কলেজের কর্ণধার সাখাওয়াত হোসেন টুটুলের ধানমন্ডির কেম্পাস-এ-তাকে ইতিপূর্বে পাওয়া গেলেও এখন তিনি অসুস্থাবস্থায় শয্যাশায়ী সোফাশায়ী।
ইতিপূর্বে আমরা তাঁর কতেক অনুরাগি-সাবেক সাংসদ, মুজিব বাহিনীর বীর সংঘটক মোস্তাফিজুর রহমান, নোয়াখালি অঞ্চলের মুজিব বাহিনীর বীর যোদ্ধা কাজি আব্দুল লতিফ সাজু, ঢাকাবাসি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন চৌধুরী, সুনাম গঞ্জের আবুল লেইছ এবং বন্দরনগরী চট্টলার বেলাল উদ্দিন আশরাফি গং আমি মিলে ছয় জানুয়ারী দাদার জন্মদিন পালন করতাম, ঢাকায়। বর্তমানে আমি ও বেলাল উদ্দিন আশরাফি ছাড়া সকলেই কবরবাসি। আমার এখন গাড়ী চলে না চলে না রে-অবস্থা। সম্প্রতি ভয়াবহ বেশ্বিক ব্যাধি করনার কারনে স্বেচ্ছা গৃহ বন্দী। দাদার ঢাকা এখন আমার রসুলপুর থেকে বহুদুর। দাদার প্রিয় ভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা এস.টি.পি. করিম এবং চৌদ্দ দফা চেতনা পরিষদের মুখপাত্র দাদার রাজনৈতিক সচিব এম,এ,রহিম-রা সংঘটিত হয়েছেন। জেলা আইনজীবী সমিতির তিন নম্বর ভবনে ছয় তারিখ দু-টা থেকে দাদার জন্ম দিনের শুভানুষ্ঠান।
আমাদের প্রজন্মের ছাত্র রাজনীতির দিক্ষা গুরু মুজিব বাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক শ্রদ্ধেয় দাদা সিরাজুল আলম খাঁন এর আসিতম শুভ দিনে অনেক অনেক শুভেচ্ছা তাঁর সুস্ব্যাস্থ, দীর্ঘায়ূ এবং সার্বিক কল্যান কামনা করি।
[ নিউক্লিয়াস কর্মি। ষাটের দশকে ছাত্র লীগের নেতা। মুক্তিযোদ্ধা। সিনিওর এডভোকেট হাইকোর্ট। সাবেক সভাপতি মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]
মন্তব্য করুন