স্বাধীনতার ফল বনাম বিফল
সাদেক আহমেদ॥ আম কাঠাল খেলে হয় ঘুম, জাম খেলে রক্ত আমি যে ভাই কাব্য কবিতা ও প্রকৃতির ভক্ত। যখন রমনা পার্কে চাই বেলি রোড ধরে চেয়ে থাকি মন্ত্রী পাড়ার গাছে গাছে এখনো ২-৩ টা গাছে সুন্দর পরিবেশে বক গুলো বাসা বেধে আছে। আখ খেলে হয় জানি দাত শক্ত আর যেন রাজনীতি বা জঙ্গীর নামে ঝড়ে নাকো রক্ত। দেশ প্রেমে সকলকে হতে হবে ঐক্য বদ্ধ, সাধারণ মানুষের চলা ফেরা বিদেশীদের সহিত একাকত্ততা নিরাপত্তা কেউ যেন করে নাকো জব্দ। জঙ্গীদের কঠর হস্তে করতে হবে দমন বাংলাদেশ চিরকাল মধ্য পন্থী মুসলিমদেশ মানুষে মানুষে রয়েছে ভালোবাসার মন। অসুখেতে আনারস পেট সাধে বেল, পাকা কলা লিচু খেলে দেহে বাড়ে তেল। চারিদিকে শুনি শব্দ বোমা আর ককটেল ৪৫ বছরের স্বাধীনতার সুফল পেতে আমরা কি ফেল? স্বাধীনতার সুফল পেতে কেন আমরা বিফল, ধ্বংস করতে উঠে পরে লেগেছে নারছে কলকাঠি দিয়ে সব ইন্টেলিজেন্স বল। এই কথা ভেবে মনে পড়ে কখন এই দিকে বাংলাদেশের তরে খেলবে চীন পিংপং খেলা, এই দিকে যে তারা সিদ্ধহস্ত পাকা পক্তো যখন আকাশে চেয়ে দেখি ভাসছে মেঘের ভেলা। পেপে আর কাঠালেতে বেড়ে যায় ননী, জলপাই খেলে মুখে আসে পানি। সুন্দর বনে বিদ্যুতের তাপে ধ্বংস হবে বন, চলে যাবে বাঘ, ভাল্লুক, হরিন ওপারে ভাবে আমার ভাবুক মন। পেয়ারাতে চেহারাটা করে ঝিকমিক, নির্ভেজাল ফল খেলে দেহ থাকে ঠিক। ভেজাল ফল খেলে দেহে হয় ক্যান্সার, চারি দিকে কেন এত ভেজাল নাই কোন আনসার। এসব প্রতিকারের নেই কি কোন শক্তি, আমাদের যে দেশ প্রেমে রয়েছে ভক্তি। এখনো শুনি গান সব কটি জালানা খুলে দাওনা, ওরা আসবে চুপি চুপি? ওরা যে বীর শ্রেষ্ঠ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এখনো মনে পড়ে ইষ্ট বেঙ্গল এগ্রিমেন্টের সাহসী যোদ্ধার কাহিনী। কেহ কেহ তুলনা করে আমাদের সার্বভোমত্তের প্রতিক সেনা বাহিনী হয়ে গেছে আনসার বাহিনী। আমি করি প্রতিবাদ মানতে নারাজ ওরা কেন হবে এরুপ, তাদের মাঝে রয়েছে শৃংখলা দীপ্ত বল। এখনো মনে পড়ে যায় রেডিও বাংলাদেশের অনুষ্ঠান দুর্বার বা জাতীয় কবি নজরুলের সেই গান চল চল ঊর্ধ গগণে বাজে মাদল নি¤েœ উতলা ধরনী তল, চলরে চলরে চল। কিংবা জাতীয় কবির সেই কথা বল বীর, চির উন্নত মম শির। এই বাহিনীকে দিয়ে বঙ্গবন্ধু গড়তে চেয়ে ছিলেন শোনার বাংলা সুখি সমৃদ্ধ দেশ। বিশ্বে মাথা উচু করে দাড়াবে যে দেশ। কোন এক লেন্দুক দর্জি কেটে কেটে করতে পারবে না নিঃশ্বেস। পত্রিকার পাতায় কত খবর এসে যায় সোনার ছেলেদের আভ্যন্তরীন দ্বন্দে হয় তো হালুয়া রুটির ভাগ ভাটোয়ারায় নিজেরা গোলা গুলিতে পড়তে মারা। কিংবা তারা ভেঙ্গেছে চট্টগ্রামের শাপল ট্রেন। এতে মনে হয়, হয়তো তারা মনে করেছে এযেন সামাস্য ক্ষতি। যেন ছোট বেলার কাহিনী পড়ে ছিলাম, রাণীর শীদ নিবারনের জন্য কুড়ে ঘর জালিয়ে দেওয়ার কাহিনী। কে তাদের করেছে রক্ষা, করেনি কঠোর হস্তে দমন, আমরা হাসবে না কাদবো এসব ভেবে কাশি এসে যায় হয়েছে কি যক্ষা? সে গান পড়ে যায় মনে ১৬ কোটির মা জননী, পদ্মার পাড়ে এখনো চেয়ে থাকে তার সন্তানরা আছে কেমন ভুলতে পাড়ে না, ৯ মাসের যুদ্ধে পেয়ে ছিলাম মান চিত্রে বাংলার ঠিকানা। কিংবা সেই গান রেল লাইনের পাশে মেঠো পথে দাড়িয়ে, খোকা ফিরবে কখন, স্বাধীনতার সুফল নিয়ে, এখন বাংলার দুখি মানুষের চেহারা দেখে হয় তো খোকা আর ফিরবেই না। তাই এই স্বাধীনতা হতে পারে না বিফল, আবার গর্জে উঠবে হাতে হাত ধরে বাংলার দেশ প্রেমিক শক্তির একত্রে বল। তবু মহান আল্লাহ দেখছেন সব কিছু তিনি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভোমত্ত করবেন রক্ষা (আল্লাহ হাফেজ)।
মন্তব্য করুন