স্বৈরাচারের আমলে ৩০ মামলা ও বহু নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন বিএনপি নেতা মহসিন মিয়া মধু
স্টাফ রিপোর্টার : শ্রীমঙ্গল উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু বিগত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৩০টি মামলা মোকাবেলা সহ বিভিন্ন ধরণের নির্যাতণের শিকার হয়েছেন। এতে তিনি ব্যবসায়ীক ও অর্থনৈতিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। এতো মামলার হামলার পরও তিনি দলীয় কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি নেতাকর্মীদের রেখেছেন উজ্জীবিত।
বর্তমানে তিনি মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
শনিবার ২৪ নভেম্বর মেয়র মহসিন মিয়া মধু নামের উনার ফেইজবুক আডিতে বিগত সরকারের সময় করা ৩০ মামলার বিবরণ দিয়ে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কি পরিমান নির্যাতন এবং হয়রানির শিকার হয়েছেন তার কিছু তথ্য তুলে ধরা হলো। নেতাকর্মীরা যেন দুর্বল না হয় সেজন্য এসব তথ্য তিনি গোপন রাখেন এবং নীরবে সকল অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছেন। পতিত স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকার না না অপকৌশলের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে ৩০টি মামলা দিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছিল মহসিন মিয়া মধুকে। আর্থিক, মানসিক, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধির দায়িত্ব এবং সকল ক্ষেত্রে অস্থিরতা সৃষ্টি করে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছিল। এসব কথা অনেকেই জানেন না। এখনো চারটি মামলা দুদকের তদন্তে রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তিনি যখন শ্রীমঙ্গল পৌরসভার মেয়র তখন নাগরিকদের যেন কোন প্রকার সুযোগ সুবিধা দিতে না পারে সেজন্য পৌরসভায় সকল প্রকার সরকারি বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তখন তিনি নিরবে সকল ষড়যন্ত্র সহ্য করে ব্যক্তিগত পরিচয় এবং মেধা কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা থেকে বরাদ্দয় এনে পৌরসভার নাগরিক সেবা এবং উন্নয়ন কাজ অব্যাহত রেখেছিলেন। এছাড়া মো. মহসিন মিয়া মধু ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতিটি রাত কেটেছে আতঙ্কের মধ্যে। প্রায় সময় আওয়ামী লীগ সরকারের প্রশাসনের লোকজন তাদের বাসায় রাতের আঁধারে তল্লাশি চালাতেন। যা অনেক মানুষের অজানা। মেয়র থাকাকালিন সময়ে তিনি বিএনপি’র লোক হওয়াতে সরকারি অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। তবুও থেমে থাকেননি, দায়বদ্ধতা এবং দায়িত্ববোধ থেকে মানুষের কল্যাণে নিজেকে সর্বদা নিয়োজিত রেখেছিলেন যা এখনো অব্যাহত রয়েছে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। তখন তিনি জীবন বাজি রেখে শ্রীমঙ্গলের হিন্দু সম্প্রদায়ের সহ সকল সম্প্রদায়ের মানুষদের জানমাল রক্ষায় দিনরাত পরিশ্রম করে গেছেন। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগ সরকারের দোষরদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলাও তিনি করিয়েছেন। যার প্রমাণ তুলে ধরা হলো।
মন্তব্য করুন