স্মরণে ও স্মৃতির চারণে শিল্পী লাকি আখান্দকে নাগরিক শ্রদ্ধা
টুকরো মধুর স্মৃতিচারণ আর এককালীন সৃষ্টিপাগল দিনগুলো স্মরণের মধ্য দিয়ে সদ্যপ্রয়াত শিল্পী লাকি আখান্দকে ‘নাগরিক শ্রদ্ধা’ জানালেন তার জীবনের বিভিন্ন পর্বের সহযোদ্ধা, সহকর্মী, সহশিল্পীর পাশাপাশি সর্বস্তরের নাগরিকজন। অভিন্ন উপলব্ধিতে এক বাক্যে সবাই তারা বললেন, বিস্ময়কর অজস্র গানের জন্ম দিয়ে বাংলা গানের ভুবনে এক বিস্ময়পুত্র হয়ে, চিরকাল বেঁচে থাকবেন চিরতরুণ শিল্পী লাকি আখান্দ।
শিল্পী লাকি আখান্দের সৃষ্টিকর্ম উদযাপন এবং তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজন করা হয় ২২ জুলাই শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে। দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও সঙ্গীতাঙ্গনের প্রায় সকলেই হাজিরা দেন এ আয়োজনে। এছাড়া গণমাধ্যম প্রতিনিধি ও সমাজের শীর্ষস্তরের ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে প্রয়াত শিল্পীকে ঘিরে শিল্পী আর গুণীদের এক মিলনমেলায় পরিণত হয় এ শ্রদ্ধা আয়োজন। লাকীকে নিয়ে স্মৃতিচারণা করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, গীতিকার আসিফ ইকবাল।
লাকি আখান্দের বাল্যবন্ধু শিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ গেয়ে শোনান ‘আগে যদি জানিতাম’ গানটি। শিল্পীরা সমবেত কন্ঠে গেয়ে শোনান ‘আবার এলো যে সন্ধ্যা’ ‘এই নীল মনিহার’ গান দুটি, গান দুটি গাওয়ার সময় মিলনায়তনে উপস্থিত প্রতিটি মানুষ এতে কন্ঠ মেলান।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, শিল্পকলা একাডেমি ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে সঙ্গে নিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য লাকী আখান্দের গানগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা করবেন তাঁরা।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, লাকী জীবন, সৃষ্টি ও ভালোবাসার যন্ত্রণা ধারণ করেছিলেন। তাঁর ভেতরে বর্তমান বিদ্যমান ও বিরাজমান ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
লাকীকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র দেখানো হয়। যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশন (বামবা) এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি।সংবাদ বিজ্ঞপ্তি॥
মন্তব্য করুন