সৎ ও নিষ্ঠাবান সফল চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ফারুক
হারিস মোহাম্মদ॥ মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে একজন সৎ নিষ্ঠাবান ও সফল উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক। অনেক বাঁধা ও প্রতিবন্ধকতা ডিঙিয়ে একজন সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে ইতিমধ্যে উপজেলার সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন তিনি।
১৯৭১ সালে দেশমাতৃকার জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে নিয়ে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছেন তিনি সহ তাঁর পরিবারের চার ভাই। জুড়ী উপজেলার প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যান তাঁর বড় ভাই বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ মুমীত আসুক সততার সাথে কাজ করায় বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনিও জুড়ী উপজেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য হল্যান্ডের মত উন্নত দেশের বিলাসী জীবন ছেড়ে দিয়ে বিগত নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রথম বারেই সাধারণ মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। বিগত পাঁচ বছর তিনি তাঁর পরিশ্রম, সাহস, ইচ্ছাশক্তি, একাগ্রতা আর প্রতিভার সমন্বয়ে সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য, শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন রয়েছে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে গেছেন প্রতিনিয়ত।
দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রেখে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। এলাকার হতদরিদ্র মানুষের উন্নয়নে তাঁর নিরন্তর প্রয়াস সব মহলেই প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটের উন্নয়ন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবায় বিশেষ অবদান, সামাজিক উন্নয়নসহ বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়ে এলাকায় নিজের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
ব্যক্তি জীবনে তিনি অত্যন্ত সৎ ও সময়নিষ্ঠ সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সাদা মনের মানুষ। তাঁর মাঝে কোনো অহংকার নেই। নিরহংকারী এই মানুষটি দলমত নির্বিশেষে আজ সকলের কাছে প্রিয়। সর্বোপরি কাজ করছেন সাধারণ মানুষের কল্যাণের জন্য। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন সবসময়। যেখানেই দুর্নীতি হয়েছে সেখানেই তিনি প্রতিবাদ করেছেন।
এই সফল মানুষটি প্রতিটি সাধারণ মানুষের বিপদ আপদে ছুটে যান সবসময়। এলাকায় তিনি একজন সাদা মনের উদার মানসিকতার মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি লাভ করেছেন। সকল দু:খ দুর্দশায় তাঁকে সহজেই পাশে পাওয়া যায়।
ইতোমধ্যে তিনি সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ, পরিশ্রমী হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। নির্বাচনকালীন সময়ে সাধারণ জনগনকে দেয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে একজন সফল ও জনপ্রিয় উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে সবশ্রেনীর মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছেন।
জুড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ ফারুক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি রাজনৈতিক জীবনে যেমন সফল ঠিক তেমনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে মানুষের কল্যাণে কাজ করার মাধ্যমে উপজেলার সকল শ্রেণি পেশার মানুষের ভালবাসায় তিনি আজ সফল একজন উপজেলা চেয়ারম্যান।
এলাকার গরীব দুঃখী মানুষের পাশে থেকে তিনি সব সময় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সর্বোপরি গরীব মেহনতী মানুষের প্রকৃত জনদরদী হিসেবে তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিত ও জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী ছোট বেলা থেকেই একজন সহজ-সরল-সৎ মনের অধিকারী ও মেধাবী মানুষ। যার ফলে উপজেলাবাসী গত উপজেলা নির্বাচনে তাঁকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন।
তিনি এ পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তাঘাটের উন্নয়ন, স্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, সংস্কার করে গরীব দু:খী মানুষের মাঝে বয়স্কভাতা, বিধবাভাতা সঠিকভাবে বিতরণ করেছেন এবং বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করে গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে উপজেলার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে গেছেন।
এছাড়াও তিনি নির্বাচিত হওয়ার পর নিয়মিত অফিস করছেন। করোনা পরিস্থিতিতে যখন মানুষ ঘর থেকে বের হননি ঠিক তখনই তিনি পরিজনের কথা না ভেবে তাঁর প্রিয় উপজেলাবাসীর জন্য দিন রাত নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে গেছেন। করোনাকালে সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে গিয়ে তিনি তিনবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করতে তিনি পিছপা হননি। এছাড়া ভয়াবহ বন্যার সময় তিনি হতদরিদ্র মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন প্রতিনিয়ত। তিনি বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন- বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি এবং আগুনে পুড়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সব সময়। স্থানীয় প্রশাসনের সার্বিক তত্বাবদানে প্রতিটি উন্নয়নমূলক কাজ অতি দক্ষতার সাথে সফলভাবে করেছেন যা এখনও চলমান আছে।
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে তিনি আবারো চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতীকে নির্বাচন করছেন।
আলাপকালে এক প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক বলেন, ১৯৭১ সালে দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে অস্ত্র হাতে নিয়ে পাকিস্তানের হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করেছি। এ উপজেলার মানুষের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, রাস্তাঘাটের উন্নয়ন সহ চা জনগোষ্ঠী ও সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার পূরণে আমাদের পরিবার অতীতের মতো ভবিষ্যতেও কাজ করে যাবে। এবারের নির্বাচনে অতীতের মতো আমার প্রিয় জুড়ী উপজেলাবাসী আবারও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আনারস প্রতীকে রায় দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে। আবারো নির্বাচিত হলে উপজেলার অসমাপ্ত উন্নয়নমূলক কাজ সকলের সহযোগীতায় সম্পন্ন করব, ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করুন