হঠাৎ শ্রমিকদের নানা ন্যায্য সুযোগ সুবিধা বন্ধের জের বড়লেখার সমনবাগ চা বাগানের শ্রমিকদের কর্মবিরতি : দাবী পুরণের আশ্বাসে প্রত্যাহার
আব্দুর রব॥ বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়ন্ত্রণাধীন নিউ সমনবাগ চা বাগানের সহ¯্রাধিক শ্রমিক হঠাৎ তাদের ন্যায্য সুযোগ সুবিধা বন্ধের প্রতিবাদে ১৫ জুলাই শুক্রবার কর্মবিরতি পালন করেছে। নেতাদের নেতৃত্বে চা শ্রমিকরা তিনঘন্টা কাজ বন্ধ রেখে মহা-ব্যবস্থাপকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে সমাবেশ করলে কর্তৃপক্ষ এক সপ্তাহের মধ্যে বন্ধ সুযোগ সুবিধা চালুর আশ্বাস দেয়ায় শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেয়।
নিয়মিত চা শ্রমিক ও পঞ্চায়েত সুত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি চা বাগান কর্তৃপক্ষ ২৪ কেজির ওপরে কাঁচা পাতি উত্তোলন না করা ও ২৫০ শ্রমিকের ঠিকা দফা বন্ধের অলিখিত আদেশ জারি করে। এছাড়া ঝুঁকি ভাতা বন্ধ, বেতন থেকে ভবিষ্যৎ তহবিলের টাকা কর্তন করা স্বত্ত্বেও শ্রমিক কর্মচারীর সংশ্লিষ্ট হিসাবে টাকা জমা না করে অবৈধভাবে ভিন্ন্যখাতে ব্যয় করায় শ্রমিকরা ক্ষুব্দ হয়ে উঠে। এসব কারণে শুক্রবার সকাল দশটায় নিউ সমনবাগ, পাথারিয়া ও মোকাম চা বাগানের সহ¯্রাধিক চা শ্রমিক কাজে না গিয়ে মহা-ব্যবস্থাপকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশ করে। শ্রমিক নেতা নারায়ন কালোয়ার, বিষ্ণু নেপালি, শিব চাষা, বাবুল বাউরি প্রমূখ জানান এখন পাতির ভর মৌসুম। একজন শ্রমিক প্রতিদিন ৪০-৬০ কেজি পাতি উত্থোলন করে। হঠাৎ করে ২৪ কেজির ওপর পাতি তোলার ওপর পারিশ্রমিক না দেয়ার আদেশ চা শ্রমিকদের মেরে ফেলার ষড়যন্ত্র। এছাড়াও বাগান কর্তৃপক্ষ ৩-৪ মাস থেকে অনেক ন্যায্য সুবিধা থেকে তাদের বঞ্চিত রাখছে। বাধ্য হয়ে আমরা কর্মবিরতি পালন করছি। তিনঘন্টা কর্মবিরতির পর বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব মহোদয় এক সপ্তাহের মধ্যে আমাদের প্রাপ্য সকল সুযোগ সুবিধা স্বাভাবিক করে দেয়ার আশ্বাস দেয়ায় কর্মবিরতি তোলে নেই।
চা বাগানের মহা-ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সম্প্রতি বাগানের ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ কিছু খাতে ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছিল। এতে শ্রমিকের সাময়িক কিছু ক্ষতি হওয়ায় তারা কর্মবিরতি পালন করে। তবে টি বোর্ডের সচিব মহোদয়ের আশ্বাসে শ্রমিকরা তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
মন্তব্য করুন