হাকালুকির সেই বিলটি শেষ পর্যন্ত অভয়াশ্রম হিসেবে বহালের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়
কুলাউড়া অফিস॥ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরের পলোভাঙা, মরাসোনাই ও চিকনউটি গ্রুপ (বদ্ধ) বিলটি অবশেষে অভয়াশ্রম হিসেবে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে এ তথ্যটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর টনক নড়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশীয় প্রজাতির মাছ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশে ২০১০ ও ২০১১ সালে ভূমি মন্ত্রণালয় হাকালুকি হাওরের ১২টি বিলের ইজারা বাতিল করে সেগুলোকে অভয়াশ্রম ঘোষণা করে। এর মধ্যে পলোভাঙা, মরাসোনাই ও চিকনউটি গ্রুপ (বদ্ধ) বিলটিও আছে। ওই বিল অভয়াশ্রমটি ছয় বছরের (১৪২৩ থেকে ১৪২৮ বাংলা সন) উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইজারা পেতে বড়লেখার ইসলামপুর এলাকার যমুনা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেড ভূমি মন্ত্রণালয়ে সম্প্রতি আবেদন করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন চাওয়া হয়। পরে জেলা প্রশাসক এ ব্যাপারে বড়লেখার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে প্রতিবেদন চান। ৩ এপ্রিল বড়লেখা উপজেলা জলমহাল কমিটির সভায় সরকারি রাজস্ব বৃদ্ধির স্বার্থে পলোভাঙা, মরাসোনাই ও চিকনউটি বিল অভয়াশ্রমটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় যমুনা মৎস্যজীবি সমিতিকে ইজারা প্রদানের সুপারিশ করা হয়। সভায় জানানো হয়, বিল অভয়াশ্রমটি অগভীর ও শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়। ফলে এটি অভয়াশ্রমের অনুপযোগী। ১৯মে মৌলভীবাজারের মৌলভীবাজার জেলা জলমহাল কমিটির সভা হয়। সভায় ‘আইনে কোনো বাধা না থাকলে’ বিল অভয়াশ্রমটি ইজারা প্রদানের সুপারিশ করা হয়। ১৭ জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয়ে সরকারি জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৩৭তম সভায় পলোভাঙা, মরাসোনাই ও চিকনউটি গ্রুপ (বদ্ধ) বিল অভয়াশ্রমটি ইজারা না দিয়ে অভয়াশ্রম হিসেবে বহাল ও সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত হয় এবং ২৭ জুলাই মন্ত্রণালয়ের ইস্যুকৃত চিঠিতে বিষয়টি মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসককে অবহিত করা হয়।
মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) প্রকাশ কান্তি চৌধুরী মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মন্তব্য করুন