হাকালুকি হাওরের মৎস্য নিধনের প্রতিবাদকারীকে হাওরের গডফাদার চিহ্নিত করার অভিযোগ
আব্দুর রব॥ হাকালুকি হাওরের অবৈধ মৎস্য নিধনকারীদের বির”দ্ধে জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগকারী ব্যক্তিকে ফলাও করে হাওরের গডফাদার প্রচার করার অপচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ৮ আগষ্ট বিকেলে বড়লেখায় গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট হাওর পাড়ের ইসলামপুর গ্রামের জাফর আহমদ লিখিত অভিযোগ করন। এসময় তার সাথে অবৈধ মৎস্য নিধনকারী হিসেবে সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় যাদের নাম প্রকাশ করা হয় তাদের কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে জাফর আহমদ জানান, হাকালুকি হাওরের পলোভাংগা অভায়াশ্রমসহ অন্যান্য বিল হতে স্থানীয় নজিব আলী, ইমাম উদ্দিন, বেলাল উদ্দিন, কবির আহমদ গং হাওরের উন্নয়নে নিয়োজিত বেসরকারী সংস্থা সিএনআরএস’র কতিপয় কর্মকর্তার জোগসাজশে ১৫-২০ টি দলে বিভক্ত প্রভাবশালী বাহিনী হাজার হাজার মিটার অবৈধ নিষিদ্ধ কাপড়ি ও কারেন্ট জালে প্রতিদিন হাওরের লাখ লাখ টাকার মাছ পাচার করে। অবাধে মাছ শিকারের ঘটনা আমি মৎস্য অফিসারকে অবহিত করি। পলোভাংগা বিল কাগজে কলমে অভয়াশ্রম হলেও এ বিল থেকে এসব অসাধু ব্যক্তিরা পোনা মাছ নিধন, বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকার ও মাছের ডিম নষ্ট অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া এই সংঘবদ্ধ চক্রের বির”দ্ধে বিভিন্ন সময় প্রশাসন বরাবরে লিখিতভাবে অভিযোগ দেই। এবারও এসব অবৈধ মাছ শিকারীদের বির”দ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দেয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে প্রভাবশালী মাছখেকোরা আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে তারা আমার বির”দ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়। প্রকৃত হাওর লুটেরা বাহিনী আমাকে ‘জাফর বাহিনীর প্রধান’ হিসেবে চিহ্নিত করে আমার বির”দ্ধে প্রশাসিনক ব্যবস্থা নেওয়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। হাওরের মাছ লুন্ঠনকারীরা নির্বিঘেœ মাছ লুট করতে নিরীহ ব্যক্তিদের বির”দ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হাওরপাড়ের ইসলামপুর গ্রামের জাফর মিয়া, মাসুক মিয়া, আব্দুল হক, ছফর উদ্দিন, খালেদ আহমদ গং।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বিভিন্ন সময় লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা স্বীকার করে জানান, হাওরের অবৈধ মৎস্য নিধন রোধে প্রায়ই ভ্রাম্যমান আদালত চালানো হয়। মাসে প্রায় ৬ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল উদ্ধার করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
মন্তব্য করুন