হাকালুকি হাওরে আরেকটি নতুন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু
কুলাউড়া অফিস॥ প্রায় দেড় বছর অরক্ষিত থাকার পর ফের নতুন প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে এশিয়ার বৃহত্তম হাওর হাকালুকিতে।
৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিল্ডের কাজ শুরু করে প্রকল্পে নিয়োগপ্রাপ্ত ২ কর্মকর্তা। এই প্রকল্পে যৌথভাবে আর্থিকভাবে সহযোগিতায় জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প ও পরিবেশ অধিদফতর। সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়, পরিবেশ অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত সমাজ ভিত্তিক জীববৈচিত্র সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রকল্পের কার্যক্রম দেখভাল ও তার গতি তরান্বিত করার জন্য হাকালুকি হাওড় ইসিএসহ দেশের কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও সোনাদিয়া দ্বীপ প্রতিবেশ সংকটাপন্ন এলাকাতে শুরু হয়েছে এই নতুন প্রকল্প। জাতিসংঘের উন্নয়ন প্রকল্প এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের আথিক সহযোগিতায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পরিবেশ অধিদফতর। প্রকল্পের আওতায় হাকালুকি হাওড় এলাকাতে জলজ অভয়াশ্রম ব্যবস্থাপনা, হাওড়ের জলজ বন সংরক্ষণ ও বনায়ন, নতুন দুটি সৌর চালিত সেচপাম্প স্থাপন ও স্থাপতি সেচ পাম্পগুলোকে ব্যবস্থাপনা করা। ভিসিজিগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা প্রকল্পের প্রধান কাজ। শুধু হাওড়ের সম্পদ ব্যবস্থাপনাই নয়, চলমান প্রকল্পের পর আরও প্রকল্প এনে হাওড়ের সম্পদ ব্যবস্থাপনাকে আরও দীর্ঘস্থায়ী করাও প্রকল্পে উদ্দেশ্য। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইউএনডিপি ২ জন কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে হাকালুকি হাওর এলাকার জন্য। প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন বিষয়ক ন্যাশনাল কনসালটেন্ট বশির আহমদ এবং কমিউনিটি ও ইনস্টিটিউশন উনয়ন্ন বিষয়ক ন্যাশনাল কনসালটেন্ট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
পরিবেশ অধিদফতরের কুলাউড়া অফিসের মাধ্যমে এই দুই কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার থেকে তাদের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালের জুন মাস পর্যন্ত পরিবেশ অধিদফতরের আওতায় হাকালুকি হাওরে সিবিএ-ইসিএ নামে একটি প্রকল্প শেষ হয়। এরপর অনেকটা অরক্ষিত হয়ে পড়ে হাকালুকি হাওর। তবে বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএসের ক্রেল নামে একটি চালু আছে। তবে সেটিও আগামী জুনের আগেই গুটিয়ে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
মন্তব্য করুন