হাকালুকি হাওরে চুন প্রয়োগে পানির গুণাগুণ বৃদ্ধি

April 22, 2017,

বড়লেখা প্রতিনিধি॥ হাকালুকি হাওরে চুন প্রয়োগের ফলে পানির গুণাগুণ অনেকটা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ পর্যন্ত ৫ টনেরও বেশি চুন হাওরের পানিতে ছিটানো হয়েছে।
২১ এপ্রিল শুক্রবার মৎস্য অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, হাকালুকির পানিতে পিএইচ ৭.৫, দ্রবিভূত অক্সিজেন ৫.৫ পিপিএম, অ্যামোনিয়া ০.৫ পিপিএম এবং টিডিএস ৬০ ছিল। যা অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। গত মঙ্গলবার থেকে মৎস্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে হাকালুকি হাওরের পানি দূষণমুক্ত করতে ও মাছের মড়করোধে চুন ছিটানো শুরু হয়।
বড়লেখা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসে অকাল বন্যায় তলিয়ে যাওয়া এইসব আধাপাকা ধান ও ধানগাছ পচে পানিতে অ্যামোনিয়া ও হাইড্রোজেন সালফাইড গ্যাসের সৃষ্টি হওয়ায় পানি দূষণের কারণে হাওরে আইড়, বোয়াল, রুই, কাতলা, কাল বাউস, সরপুঁটি, পাবদা, ঘুলশা, টেংরা, পুঁটি, বাইমসহ নানা জাতের প্রায় ১৫-২০ টনের উপরে মাছ মারা গেছে। ধান ও মাছ পচে হাওরের পানি দূষিত হয়ে বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিল। অবশ্য গত মঙ্গলবার থেকে হাকালুকি হাওরের পানি দূষণমুক্ত ও মাছ মড়করোধে চুন প্রয়োগের ফলে পানির গুনাগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


এদিকে হাকালুকি হাওরের অ্যামোনিয়া গ্যাসে আক্রান্ত মাছ শিকার ও না খাওয়ার জন্য মৎস্য বিভাগ এলাকাবাসীকে আহ্বান জানিয়ে যাচ্ছে। বিষাক্রান্ত মাছ খেয়ে অনেকেই ডাইরিয়ায় ভোগছে বলে জানা গেছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু ইউসুফ জানান, ‘হাওরের পানিতে চুন প্রয়োগের ফলে পানির গুনাগুণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজকের অবস্থা খুবই সন্তোষজনক। মাছ মরা বন্ধ হয়েছে। পানি পরীক্ষা করেও খুব ভাল ফলাফল পাওয়া গেছে। মৎস্য অধিদপ্তরের তড়িৎ এবং বলিষ্ঠ উদ্যোগে স্বল্পতম সময়ে এ সংকট উত্তরণ সম্ভব হচ্ছে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, হাওরপারের মানুষের মাঝে যাতে ডায়রিয়াসহ অসুখ বিসুখ ছড়াতে না পারে সেজন্য মেডিকেল ক্যাম্প চালুর ব্যাপারে স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে কথা বলছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com