হাকালুকি হাওরে পাখিসহ শিকারি আটক, মুচলেকায় মুক্ত
হারিস মোহাম্মদ॥ মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি হাওরের জুড়ী অংশে অভিযান চালিয়ে ১৫ টি পাখিসহ দুই শিকারিকে আটক করে এলাকাবাসী। পরে খবর পেয়ে সহকারী কমিশনার ভূমি রতন কুমার অধিকারী ও সহকারী বন সংরক্ষক আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে বস্তায় মোড়ানো ১০ পাখি অবমুক্ত করা হয়। আহত ৩ টি পাখিকে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য জুড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে পাঠানো হয় এবং মৃত দুটি পাখিকে মাটি চাপা দিন।
পরে সহকারী বন সংরক্ষক পাখি শিকারি বেলাগাও গ্রামের মনতাজ আলীর ছেলে ছায়েব আলী ও মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে মো. হোসেন কে আর পাখি শিকার করবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেন। শনিবার ২৬ নভেম্বর সকালে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন এলাকায় পাখি শিকার কালে এই পাখিসহ দুই জনকে আটক করে এলাকাবাসী।
পাখি বিশেষজ্ঞ ইনাম আল হক বলেন, শীত মৌসুমে পাখিদের কলরবে মুখরিত থাকে হাওর এলাকা। এসময় বালি হাঁস, পাতিহাস, ল্যাঞ্জার হাঁস, কানাবগি, লালবগি, শামুকখুরসহ দেশি বেদেশি পাখি বিচরণ করে। এ সুযোগে পাখি শিকারিরা বিষটোপ ও বিভিন্ন ফাঁদ পেতে পাখি শিকার করে। পাখি শিকারীদের দমন করা না গেলে দিন দিন ঐতিহ্যবাহী পাখিগুলো হারিয়ে যাবে এবং এতে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি হবে।
সহকারী বন সংরক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাওর এলাকায় গিয়ে পাখি শিকারীদের এলাকাবাসীর সহায়তায় ধরি। এসময় তাদের কাছ থেকে পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয় এবং আহত ৩ টি পাখিকে চিকিৎসার জন্য প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে আর পাখি শিকার করবেন না মর্মে মুচলেকা নিয়ে শিকারিদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
সহকারী কমিশনার ভূমি রতন কুমার অধিকারী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পাইনি। পরে এলাকাবাসীর উপস্থিতে শিকার হওয়া পাখি গুলো কে অবমুক্ত করা হয়।
বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, শীত আসলে পাখি শিকারিদের উৎপাত বেড়ে যায়। পাখি শিকারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন