হাকালুকি হাওরে পোনামাছ অবাধে নিধন হচ্ছে
এম. মছব্বির আলী॥ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওরে বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই অবাধে পোনা মাছ নিধন শুরু হয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র পোনা মাছ নিধন করে তা বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রি করছে। যদিও মৎস্য অফিস সকল প্রকার মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
চলতি বছর বৈশাখ মাসের শুরু থেকে হাকালুকি হাওরে বন্যা শুরু হয়েছে। দেশের বৃহৎ মিঠা পানির এই মৎস্য ভান্ডারে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে জেলেরা অবাধে মাছ শিকার করে থাকে। তবে হাওরে মৎস্য অভয়াশ্রম করার পর থেকে মাছের উৎপাদন বেড়েছে। ফলে হাওর তীরের মৎস্যজীবিরা বর্ষা মৌসুম এলেই জেলেরা নৌকা আর জাল নিয়ে হামলে পড়েন হাওরে।
উপজেলা মৎস্য অফিস সুত্র জানায়, পোনা মাছ নিধনের অভিযোগে উপজেলা মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ ও কুলাউড়া থানা পুলিশের সহযোগিতায় হাকালুকি হাওরের তেঘরিঘাট এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ৬ মণ রেনু পোনাসহ নাজিম উদ্দিন ও হুসেন আলী নামক ২জন মৎস্যজীবিকে আটক করা হয়। আটককৃতদের বাড়ি রাজনগর উপজেলার ঘড়গাঁও গ্রামে। পরে পোনা মাছসহ আটককৃত দু’জনকে উপজেলায় এনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত ৪ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৭ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন। পোনা মাছ স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করা হয়।
মৎস্য অফিস পোনা মাছ বিক্রির সাথে জড়িত ২জন ব্যবসায়ীকে আটক করে জরিমানা করলেও পোনা মাছ শিকারের সাথে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি।
উপজেলা মৎস্য অফিসার সুলতান মাহমুদ জানান, পোনামাছ ও মা মাছ নিধন বন্ধে হাকালুকি হাওর এলাকায় ৩ মাস সকল প্রকার মাছ শিকার বন্ধ করা হয়েছে। তারপরও যারা মাছ শিকার করবে, তাদের বিরুদ্ধে প্রমাসনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন