হাকালুকি হাওরে পোনামাছ অবমুক্ত নিয়ে নাটকীয়তা
আবদুর রব॥ হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশে পোনামাছ অবমুক্ত নিয়ে ২৮ মে রোববার মৎস্য বিভাগ ও পোনামাছ সরবরাহকারী দিনভর নানা নাটকীয়তা চালিয়েছে। মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকারীভাবে ৮ লাখ টাকার পোনামাছ অবমুক্তের উদ্যোগ নেয়া হয়। এ প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রজাতির ২ হাজার ৬শ’ ৬৭ কেজি পোনার প্রথম ধাপে রোববার সকালে হাওরের চৌডালু বিলে ১ হাজার ৩ কেজি অবমুক্ত করার কথা। কিন্ত ঠিকাদার মাত্র ৪০০ কেজি পোনা নিয়ে হাজির হন। ২টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে অবশিষ্ট পোনা হাওরপারে না পৌঁছায় এগুলো অবমুক্ত করে বাকীগুলোর জন্য অপেক্ষা করা হয়। তবে অভিযোগ উঠেছে নির্ধারিত বিলে অবমুক্ত না করে সেলিম উদ্দিনের ব্যক্তিগত পুকুরে এ পোনামাছগুলো ছাড়া হয়েছে। দীর্ঘক্ষন অপেক্ষা করেও পোনামাছ সংশ্লিষ্ট বিলে না পৌছায় মৎস্য বিভাগ ও ঠিকাদারের লোকজনের নাটকীয়তায় উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিনুল হক, সমবায় অফিসার সফিকুল ইসলাম ও সংবাদকর্মীরা বিকাল ৩টায় হাওরপার থেকে ফিরে যান।
উপজেলা আ’লীগের সহপ্রচার সম্পাদক নজব আলীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা মৎস্য অফিসের সাথে ঠিকাদার আতাত করে নি¤œমানের পোনামাছ অবমুক্ত করেছে। প্রথম ধাপে ১৩০০ কেজি অবমুক্তে কথা থাকলেও বেলা ২টায় মাত্র ৪০০ কেজি পোনা নিয়ে আসে। বিকেল চারটার পর আরো ১-২শ’ কেজির মতো পোনা অবমুক্ত করা হয়। মৎস্য অফিসের সাথে ঠিকাদারের ১০ পার্সেন্ট কমিশনের অলিখিত চুক্তি থাকায় ঠিকাদার ঠিকই ১ হাজার ৩ কেজির বিল হাতিয়ে নিবে। প্রতিবছরই এধরনের কাজ কারবার চলে আসছে।
উপজেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা আবু ইউসুফ বিকেল সাড়ে চারটায় জানান, নির্ধারিত বিলেই পোনামাছ অবমুক্ত করা হয়েছে। সরবরাহকারী পোনা পৌছাতে একটু বিলম্ব করেছে।
মন্তব্য করুন