হাকালুকি হাওরে হিজল-করচের বন উজাড় : দুই আসাধুর জরিমানা

December 20, 2016,

আবদুর রব॥ হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন বিলের পাড়ের হিজল-করচের বন উজাড় করে স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিরা কৃষি জমি তৈরী করছে। এতে হাওরের জীববৈচিত্র হুমকির সম্মুখিন হচ্ছে। বড়লেখা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সম্প্রতি অসাধু দুই বন উজাড়কারীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
সরেজমিনে জানা গেছে, ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে হাকালুকি হাওরের বিভিন্ন বিলের কান্দায় লাগানো হিজল-করচসহ বিভিন্ন জলজ উদ্ভিদের বন উজাড় করে স্থানীয় কতিপয় অসাধু ব্যক্তি কৃষি জমি তৈরী করতে থাকে। বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের সালিয়া গ্রামের মুজিবুর রহমান, কাজিরবন্দ গ্রামের ফাত্তার আলী প্রমূখ হাওরের মালাম বিলের পাড়ের জলজ গাছ উজাড় করতে থাকে। এছাড়াও কতিপয় আসাধু ব্যক্তি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের বিট অফিসের পাশের জলা বিলের পাড়ের বন উজাড়ে মেতে উঠে। স্থানীয় বনবিটের পাশেই নির্বিচারে বন উজাড়ের ঘটনা চলতে থাকলেও কর্মকর্তা কর্মচারীরা নির্বাক ভুমিকা পালন করায় বিভিন্ন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দেয়।

haka-1
অসাধুরা ৬-৭ একরের সরকারী এ ভুমির গাছপালা কেটে বন উজাড় করে পাওয়ার টিলারে চাষাবাদ শুরু করে। বেসরকারী পরিবেশ উন্নয়ন সংস্থা সিএনআরএস জলজ উদ্ভিদের বনায়ণ করেছিল এবং স্থানীয় ইসিএ (ইকোলজিকেলি ক্রিটিকেল এরিয়া) ব্যবস্থাপনা বহুমূখি সমবায় সমিতির মাধ্যমে রোপণকৃত ও প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছপালার রক্ষণাবেক্ষণ করছিলে।
হাওর পাড়ের বন উজাড়ের ব্যাপারে ১৪ ডিসেম্বর কাজিরবন্দ ইসিএ ব্যবস্থাপনা বহুমূখী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুস ছাত্তার জলজ উদ্ভিদ বৃক্ষ নিধনকারীদের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন।
বড়লেখা ইউএনও এসএম আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, অভিযোগ পেয়েই তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বৃক্ষ নিধনকারীদের নোটিশ করেন। দুইজন বন উজাড়কারীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com