হাকালুকি হাওর তীরে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি

July 5, 2017,

বিশেষ প্রতিনিধি॥ মৌলভীবাজার জেলার হাকালুকি হাওর তীরের কুলাউড়া জুড়ী ও বড়লেখা সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ইতোমধ্যে কেটে গেছে সাড়ে ৩ মাস। এমন পরিস্থিতিতে হাওর তীরের বন্যাকবলিত ইউনিয়গুলোকে দূর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

সরেজমিন হাকালুকি হাওর তীরে গেলে ৩দিনে ভারী বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হচ্ছে। হাওর এলাকায় ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পরিমান পানি কমেছে বলে জানান বানভাসী মানুষ। সরকারি ত্রাণের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রবাসী সংস্থা বানভাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। ফলে ত্রাণ সহায়তার প্রাপ্তিতে মানুষ কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছেন।

৪ জুলাই মঙ্গলবার দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া কুলাউড়ায় বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শণ ও ত্রাণ বিতরণকালে হাকালুকি হাওর এলাকায় ওএমএস চালু করার দাবি জানান।

ভুকশিমইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আজিজুর রহমান মনির জানান, বন্যায় সাড়ে ৩ মাস অতিবাহিত হয়েছে। এখন ভরা বর্ষাকাল। বৃষ্টিপাত আরও হবে। বন্যার পানি সাময়িক কমলেও তা আবার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলেবন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে এখন খুশি হওয়ার কিছু নেই। বরং হাওর তীরের বন্যা কবলিত ইউনিয়নগুলোকে বন্যা কবলিত দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা উচিত।

হাকালুকি হাওর তীরের জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গুলশান আরা মিলি জানান, হাওর এলাকায় যখন শতভাগ বোরো ফসল ভাসিয়ে নিয়ে যায়, তখনই ক্ষতিগ্রস্থ হাওর এলাকাকে দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা উচিত ছিলো। গত সাড়ে ৩ মাসে পুরো এলাকার অবস্থা নাকাল। রাস্তাঘাট অবকাঠামো সবকিছু লন্ডভন্ড করে দিয়েছে। এরপরও এখন পর্যন্ত কেন দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে না-এটাই অব্কা হবার বিষয়।

আব্দুল মতিন এমপি জানান, মন্ত্রীর কাছে ওএমএস’র দাবি জানালে তিনি চালুর ব্যাপারে আশ^াস দিয়েছেন। এখন হাওর তীরের বন্যা কবলিত এই এলাকাকে দুর্গত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা সময়ের দাবি। সরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ ত্রাণ দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও চাহিদা মিটছে না।

 

 

 

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com