(ভিডিওসহ) হাসপাতালে ছিল রাতভর স্বজনদের কান্না আর আহাজারি!
কুলাউড়া প্রতিনিধি॥ সিলেট থেকে ঢাকা গামী আন্তনগর উপবন ট্রেন দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের দেখতে রাতভর কুলাউড়া সদর হাসপাতালে ভিড় করেছেন সহ¯্রাধিক মানুষ। যাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন ট্রেনে থাকা যাত্রীদের স্বজন। স্বজনের খোঁজে এসে শত শত মানুষের কান্না আর আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে হাসপাতাল প্রাঙ্গন। এম্বুলেন্স বা আহত যাত্রী বহনকারী যে কোন গাড়ি আসলেই ছুটে যান স্বজনরা। এ গাড়ি থেকে ওগাড়ি দিক বিদিক ছুটোছুটি করেন স্বজনরা। কেউ কেউ তাদের আপনজনকে পাচ্ছেন আবার কেউ কেউ না পেয়ে জোর গলায় কান্না করে আপনজনের সন্ধান চাচ্ছেন। সব মিলিয়ে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যে পুরো রাত ছিল কুলাউড়া হাসপাতালটি।
জুড়ী উপজেলার জায়ফরনগর গ্রামের মোয়াজ্জেম বেলাল এসেছেন তার মামীর সন্ধানে। তিনি বলেন, সিলেট থেকে উপবন ট্রেনে করে তার মামী কুলাউড়ায় ফিরছিলেন। হটাৎ ট্রেন দূর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে এসেছেন। শেষতক মনোয়ারা পারভীন নামক ওই মামীর লাশ পেয়েছেন স্বজনরা। কুলাউড়ার ভূকশিমইল ইউনিয়নের বাদে ভূকশিমইল গ্রামের বাসিন্দা আনু মিয়া এসেছেন তাঁর কলেজ পড়ুয়া ছেলে শাকিলের খোঁজে। দিক-বিদিক ছুটোছুটি করা আনু মিয়া বলেন, উপবন ট্রেনে করে তাঁর ছেলে সিলেট থেকে ঢাকায় যাচ্ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তিনি হাসপাতালে এসেছেন। রাত পর্যন্ত ছেলেকে পাননি। মোবাইল ফোনেও পাচ্ছেন না বলে জানান।
এদিকে কুলাউড়া হাসপাতালে আহতদের দেখতে আসেন মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো. শাহজালালসহ পুলিশ ও বিজিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এসময় গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক তোফায়েল ইসলাম বলেন এখন পর্যন্ত মোট ৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে এবং আহতদের কুলাউড়া হাসপাতাল ছাড়াও মৌলভীবাজার ও সিলেট ওসমানীতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন