১০ম বার সিআইপির সম্মাননা পেলেন মৌলভীবাজারের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এম.এ রহিম
স্টাফ রিপোর্টার॥ মৌলভীবাজারের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী এম আর গ্রুপের চেয়ারম্যান,সাবেক ব্রিটিশ কাউন্সিলর,সমাজসেবক ও শিল্পপতি আলহাজ এম এ রহিম দশম বারের মতো এনআরবি সিআইপি সম্মাননা পেয়েছেন।
প্রবাসী ও পর্যটন অধ্যুষিত মৌলভীবাজার জেলায় এই প্রথম কেউ একাধারে এক দশক সিআইপির সম্মাননা পেলেন। জানা যায় ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা গুরুত্বপূর্ণ প্রবাসী বাংলাদেশিকে সিআইপি (বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) নির্বাচিত কওে তালিকা ঘোষণা করে সরকার।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে জানানো হয় ৫৭ জন প্রবাসীকে রেমিট্যান্স ক্যাটাগরিতে ও দশজন প্রবাসীকে আমদানি-রপ্তানি ক্যাটাগরিতে মোট ৬৭ টি জনকে সিআইপি মর্যাদা দেয়া হয়েছে। মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ এম এ রহিম এর আগেও নয় বার সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য পরপর দশবার সিআইপি হবার গৌরব অর্জন করলেন যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি কমিউনিটির লিডার মৌলভীবাজার সদর উপজেলার বাসিন্দা আলহাজ এম এ রহিম।
জানা যায় এম এ রহিম যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন। জানা যায় ২০২১ সালে ৬৭ জনকে সিআইপি মর্যাদা দেন সরকার। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নির্বাচিত সিআইপিরা ২ বছর পর্যন্ত (প্রজ্ঞাপন জারির তারিখ থেকে) বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। সিআইপি কার্ডের মেয়াদকালীন বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত পাবেন ও সরকার নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট বিষয়ক নীতি-নির্ধারণী কমিটিতে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
দেশ ও বিদেশে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অগ্রাধিকার পাবেন। বিজয় দিবস, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা, একুশে ফেব্রুয়ারি, শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ইত্যাদি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবস উপলক্ষে বিদেশের বাংলাদেশ মিশনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হবেন সিআইপিরা। সিআইপি কার্ডধারীরা ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেল, সড়ক ও জলযানে আসন সংরক্ষণের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন।
বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ ‘চামেলী’ ব্যবহার এবং স্পেশাল হ্যান্ডলিংয়ের সুবিধা পাবেন। সিআইপি ব্যক্তিদের স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। বাংলাদেশে উপস্থিত থাকলে বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠানে এবং সিটি করপোরেশনের আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন সিআইপিরা। এছাড়া বাংলাদেশে বিনিয়োগ করলে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মতো সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং তাদের বিনিয়োগ ‘ফরেন প্রাইভেট ইনভেস্টমেন্ট (প্রমোশন অ্যান্ড প্রটেকশন) আইন-১৯৮০’ এর বিধান অনুযায়ী সংরক্ষণ করা হবে।
মন্তব্য করুন