১ মিনিট দেরি হলে ৫০ টাকা জরিমানা মৌলভীবাজারে বেপরোয়া “হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস”

November 28, 2016,

হোসাইন আহমদ॥ সিলেট বিভাগরে সাথে মৌলভীবাজার জেলা সদরের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম “হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস” বাস। এই বাসটি হবিগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার মহাসড়ক হয়ে সিলেট যায়। ষ্টেশন থেকে ছাড়ার পর গন্তব্য স্থানে পৌছার জন্য পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে বেঁধে দেওয়া হয়েছে নির্ধারিত সময়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্তব্য স্থানে না পৌছিলে মিনিট প্রতি ৫০ টাকা জরিমান দিবে হয়। এ জন্য বেপরোয়া গতিতে চলে ঐ বাসটি। ইতি মধ্যে এ বাস কেড়ে নিছে অনেক প্রাণ। সম্প্রতি গত ২৭ অক্টোবর সকাল ১১টায় সদর উপজেলার জগন্নাতপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২০ জন গুরুত্বর আহত হয়েছে।
জানাযায়, মৌলভীবাজার মহাসড়ক হয়ে সিলেটে যায় হবিগঞ্জ এক্সপ্রেসের ৪৫টি গাড়ি। হানিফ, শ্যামলী ও এনার মতো এ গাড়ির ধরণ। এ গাড়ি গুলোকে হবিগঞ্জ জেলা সদর থেকে শ্রীমঙ্গল আসার জন্য ১ ঘন্টা ১০ মিনিট, শ্রীমঙ্গল থেকে মৌলভীবাজার আসার জন্য ৩০ মিনিট ও মৌলভীবাজার থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট কমিটির পক্ষ থেকে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। বাসটি স্ট্যান্ড থেকে ছাড়ার সময় চলে যায় নির্ধারিত সময়ের ১০/১৫ মিনিট অনেক সময় রাস্তায় যানজটের কারণে আরো ১০/১৫ মিনিট চলে যায়। নির্ধারিত সময় থেকে চলে যাওয়া এ ৩০/৩৫ মিনিট কাবার করতে রাস্তায় বেপরোয়া হয়ে উঠেন গাড়ি চালক। দেখা গেছে যেখানে ৪০/৫০ স্পিটে গাড়ি চালাবার কথা রয়েছে সেখানে ড্রাইবার ৭০/৮০ স্পিটে চালাচ্ছেন গাড়ি। যার কারণে ঘটছে প্রতিদিন নানা দূর্ঘটনা। মানছেন না বিভিন্ন পয়েন্ট ও ঝুকিপূর্ণ স্থানে গাড়ি চালানোর নির্ধারিত গতিসীমা। রাস্তার পাশে সড়ক ও জনপদের সাইনবোর্ড শুভাপেলেও এগুলো আমলে নিচ্ছেননা তারা।

moulvibazar-pic-12-10-2016-2 এ পরিবহনের অধিকাংশ ড্রাইভার বিএরটির ট্রেনিং গ্রহণ করেননি। রাস্তায় গাড়ি চালানুর নিন্মতম নিয়ম কানুন জানা নেই তাদের। যেমন খুশি তেমন ভাবে চালান তাদের গাড়ি। খোঁজ নিয়ে জানাযায়, শ্রীমঙ্গল থেকে শেরপুর পর্যন্ত কলেজ, মাধ্যমিক স্কুল, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, বাজার, কমিউনিটি সেন্টারসহ গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ২’শ প্রতিষ্টান রয়েছে। প্রতিনিয়ত এ সকল প্রতিষ্টান দিয়ে হাজার হাজার পথচারী ও শিক্ষাীর্থরা যাতায়াত করেন। ২০১৪ সালে ২৫ আগস্ট শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভৈরব বাজার দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর লিলা বেগম শিউলী ও বাসযাত্রী লেজু মিয়া, ২০১৩ সালের ২৫ আগষ্ট শেরপুরের আইনপুর এলাকায় জামায়াত নেতা এবি কবির আহমদ ও চলতি মাসের ৫ অক্টোবর কনকপুর এলাকায় নান্টু শীল নামের এক পথচারী হবিগঞ্জ বাসের চাপায় মারাযান। উদ্বেগ ও দুশ্চিন্তায় দিন কাঠাচ্ছে অভিবাবকরা।

একাধিক যাত্রী বলেন, রাস্তায় সড়ক ও জনপদের নির্ধারিত গতিসীমা থাকলেও এগুলো মানছেন ঐ পরিবহণের কর্তৃপক্ষ। আমরা মনে করি তাদেরকে সড়ক ও জনপদের আইনের আওতায় নিয়ে আশা প্রয়োজন। তানা হলে অকালে ঝড়ে পড়বে আরো অনেক প্রদীপ।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ এক্সপ্রেস মালিক সমিতির সভাপতি ফজলুর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা ড্রাইভারকে সচেতন ও সময়ে মেনে গাড়ি চালানোর জন্য প্রয়োজনী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com