(ভিডিও সহ) ২০০৯ সাল থেকে দেশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, হাসিনা ছিলো ননীর পতুল-নাসের রহমান
স্টাফ রিপোর্টার॥ ৫ আগষ্ট দেশ ২য় বার স্বাধীন হয়েছে। পাকিস্থানের কাছ থেকে ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হয়েছিলো। এরপর ২০০৯ সাল থেকে দেশ ভারতের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সাড়ে ১৫ বছর শেখ হাসিনা ছিলো কেবল ননীর পতুল। সবই চালাত ভারত। আমরা ছিলাম ভারতের করদ রাজ্য। ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের শুরুতে ভারত ৩শ সশস্ত্র বাহিনী পাঠিয়ে হাজারেরও অধিক মানুষ হত্যা করে। স্নাইপার আগ্নেয়াঅস্ত্র দিয়ে ছাত্র, জনতা ও শিশু খুন করে। এর আগেও তাদের অবস্থান ছিলো বাংলাদেশে। শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের সবকিছুই ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। অন্তবর্তীকালীন সরকার এখন সবকিছু ঠিকঠাক করবেন। বৃহস্পতিবার ১৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় শহরের পৌর মেয়র চত্তরে অনুষ্ঠিত ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন ডাইনির রাজত্বের সাড়ে ১৫ বছর পাড় হলো। ওই সময়ে গুম, খুনসহ নানা জুলুম নির্যাতন করে ওরা বিএনপির কিছুই করতে পারেনি। এইতো কিছু দিন আগেও বিএনপি ও জামায়াতকে জেলে ডুকিয়েছে। খালেদা জিয়াসহ নেতৃবৃন্দকে জেলে দিয়ে মনে করেছিলো বিএনপিকে শেষ করে দিবে। কিন্তু তা কি সম্ভব হয়েছে? হাসিনা মনে করেছিলো বিএনপি চিরতরে শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু হাসিনা ছাত্র জনতার আন্দোলনে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়ে তার নিয়ন্ত্রক ভারতের কাছে আশ্রয় নেন। তিনি নিজে নিজেকেই শেষ করে দিলেন। আর আওয়ামীলীগকেও কোমায় রেখে গেলেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস স্মরণ করে বলেন তাজ উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনের কাজ চলে। তখন জেনারেল এম এ জি ওসমানী ছিলেন সর্বাধিনায়ক আর শেখ মুজিব দেশ স্বাধীনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে ছিলেন। আর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান দিয়ে ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষণা। স্বাধীনতার এবিষয়ে কারো আবুল তাবুল আর ভুল বক্তব্য গ্রহণ যোগ্য নয়। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সব মামলা তৈরি করেছে ও রায় লিখে দিয়েছে। আর আদলতের বিচারক শুধু রায় পড়ে শোনিয়েছেন। শেখ হাসিনার চাইতেও সে ছিল নিকৃষ্ট।
দলের নেতাকর্মীদের সর্তক করে দিয়ে তিনি আরও বলেন, আওয়ামীলীগের দালালী করলে খবর আছে। আওয়ামীলীগ যেনো আর কখনো মাথা ছাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে দিকে লক্ষ্য রাখতে ও সর্তক পাহারায় থাকতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন। নেতাকর্মীদের বলেন সংখ্যালঘুদের সম্প্রায়কে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিতে হবে। যাতে কেউ ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।
সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব মোয়াজ্জেম হোসেন মাতুকের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির ১ম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: ফখরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশিক মোশাররফ, হেলু মিয়া, জেলা কৃষকদলের আহবায়ক শামীম আহমদ, সদর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদ, মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মুসা আহমদ, পৌর বিনপির সাধারণ সম্পাদক সারোয়ার মজুমদার ইমন, জাসাসের আহবায়ক শেখ সিরাজুল ইসলাম রাসেল। ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল হেকিম। পৌর বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মমসাদ আহমদ। জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম পিরুন। জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আকিদুর রহমান সোহান, স্বেচ্চাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক ইসহাক আহমেদ মামনুন, জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক শ্যামলী সুত্রধর।
এদিকে দুপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান মিজানের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এছাড়াও যুবদল,ছাত্রদল,জাসাস শহরের বিভিন্ন স্থানে পৃথকভাবে কর্মসূচী পালন করে।
মন্তব্য করুন