২০২৪ সালে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০৮ মিলিয়ন কেজি-মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম
সাইফুল ইসলাম॥ বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম, এনডিসি, পিএসসি বলেছেন, ২০২৪ সালে চায়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১০৮ মিলিয়ন চা। প্রশ্ন হচ্ছে চলতি বছরের ছয়মাস চলে গেলো, আমরা কি চায়ের লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছতে পারবো। চায়ের মৌসুম হয় মূলত এপ্রিল মাস থেকে শুরু হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা কিছুটা পিছিয়ে আছি। তবে আশাবাদী লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবো।
৬ জুলাই শনিবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে অবস্থিত বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই) কর্তৃক ‘ওপেন ডে টি টেস্টিং সেশন- ২০২৪’ শীর্ষক ‘টি টেস্টিং’ উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মো. ইসমাইল হোসেন সভাপতিত্বে এবং প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ শামীম আল মামুনের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নূরুল্লাহ নূরী, প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটের পরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিকুল হক, ফিনলে টি কম্পানির চিফ অপারেটিং অফিসার তাহসিন আহমেদ চৌধুরী, ফিনলে টি ভাড়াউড়া ডিভিশনের মহা ব্যবস্থাপক গোলাম মোহাম্মদ শিবলী প্রমুখ। টি টেস্টিংয়ে বিভিন্ন ভ্যালির চেয়ারম্যান, চা বাগানের সিনিয়র প্লান্টার্স, বিভিন্ন বাগানের ব্যবস্থাপক, সহকারী ব্যবস্থাপকসহ বিটিআরআই এর সব চা বিজ্ঞানী এবং পিডিইউ এর কর্মকর্তারা। অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অধিকাংশ বাগানের চা ছিল অত্যন্ত সন্তোষজনক এবং উন্নতমানের।
আমাদের দেশের চাহিদা ৯৫ মিলিয়ন কেজি চা , সেখানে আমরা ১০৩ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করছি। এইজন্য আমি সব প্লান্টার ও সমস্ত টি সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত সকলকে টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে, ধন্যবাদ জানাই। আমাদের উদ্দেশ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে চা রপ্তানি করা। এ কারণে এ বছরের চা দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল, চা দিবসের সংকল্প- রপ্তানি মুখী চা শিল্প” আপনারা হয়তো জানেন যে স্বাধীনতা উত্তর চা বিদেশে বেশি রপ্তানি হতো। এখন সময়ের সাথে চায়ের চাহিদা দেশে-বিদেশে দু,টিই বেড়েছে। আমরা যে চা রপ্তানি করছি এখন যদি আমরা বেশি পরিমাণ চা রপ্তানি করতে হয় তাহলে “কোয়ালিটি অফ টি” চায়ের গুণগতমান উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। এবং সেটা উন্নয়নের দরকার। আমি আজকে টেনিং সেশন উদ্ধোধনকালে বলেছিলাম “ফেয়ার প্রাইস এবং ফেয়ার পেইড” খুব দরকার। ফেয়ার প্রাইস যেটা অকশনে যারা চা কিনেন তারা যেন ফেয়ার প্রাইস পায়। তারা যখন সঠিক দাম পাবে তখন আমাদের যারা চা সংশ্লিষ্ট সবাই ফেয়ার পেইডের সুবিধা। বেতন সেলারি সেটাও পাবে।
চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমরা বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করেছি। আমরা টি টেস্টিং কোর্স, টি মেকিং কোর্স সেগুলো আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। গেল ৪ জুন চা দিবসে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন এবং তিনি গুরুত্ব আরোপ করেছেন বিভিন্ন ভ্যালুঅ্যাডেড চা করার। আমরা লো প্রাইস চা উৎপাদন করবো না। আমরা উন্নত মানের চা ভ্যালুঅ্যাডেড চা উৎপাদন করবো এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।
মন্তব্য করুন