২২শে নবেম্বর সাংবাদিক-সম্পাদক-মুক্তিযুদ্ধের সংঘটক জাহিরুল হক চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যো বার্ষিকীঃ স্মরনঃ শ্রদ্ধাঞ্জলি

September 4, 2018,

মুজিবুর রহমান মুজিব॥ মহা পবিত্র ইসলাম মহান আল্লাহ প্রদত্ত ও মনোনীত একমাত্র ধর্ম। ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। ইসলামী আইনের বিধান মোতাবেক মানবাত্বার ক্রম বিকাশের ধারাকে ক. আলমে আরওয়া বা রুহের জগত, খ. মাতৃগর্ভ, গ. মাটির পৃথিবী, ঘ. কবর, ঙ. হাসর, চ. জান্নাত এবং ছ. জাহান্নাম এই কয়ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মানবাত্বার ক্রম বিকাশ-পথ পরিক্রমায় একমাত্র মায়াময় মাটির এই পৃথিবীই ক্ষনস্থায়ী ও অনির্ধারিত। আমাদের মহান ¯্রষ্টা ও প্রতিপালক সর্ব্ব শক্তিমান আল্লাহ তায়ালা আসমানী কিতাব আল কোরআনে মানুষের মৃত্যু প্রসঙ্গেঁ ঘোষনা করেন -“ কুল্লুন নাফসিন জ্যায়িকাতুল মউত-”। জগতের সকল প্রানীকেই একদিন মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে। মৃত্যোকে আলীঙ্গন করতে হবে।
জীবন ও মৃত্যু প্রসঙ্গে সর্বকালের সেরা কবি ও দার্শনিক শেখ সাদি (র) বলেন, দূনিয়া, এহিত হ্যায় এক মুসাফির খানা জানে হগা জরুর কোয়ি আগে, কোয়ি পিছে। স্বল্পমেয়াদী মানব জীবন প্রসঙ্গে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী প্রতিভা বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আবেগ আপ্লুত হয়ে বলেছিলেন “মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই”।
মানুষের মৃত্যো অবধারিত এবং চীরন্তন সত্য হলেও একজন মানুষের মৃত্যোর সাথে সাথে সব কিছু শেষ হয়ে যায় না, একজন কাজের মানুষ-একজন কর্ম্মবীর বেঁচে থাকেন তার কথা ও কাজের মাঝে। মুুক্তিযুদ্ধের মহান সংঘটক, জীবন ঘনিষ্ট সাংবাদিক, সুযোগ্য সম্পাদক, ধর্মপ্রাণ সাচ্চা মসলমান, সহজ সরল সাদা মনের মানুষ জাহিরুল হক চৌধুরী তেমনি একজন ব্যাতিক্রমী মানুষ, ব্যাক্তি ও ব্যাক্তিত্ব। দুই হাজার ষোল সালের বাইশে নবেম্বর মাত্র বাহাত্তোর বৎসর বয়সে চীরতরে না ফেরার দেশে চলে গেলেও তিনি আছেন আমাদের মনের মনিকোঠায়। আছেন অন্তরে। অনুভবে।
দুই হাজার সতেরো সালে সাংবাদিক জাহিরুল হক চৌধুরীর প্রথম মৃত্যোবার্ষিকী পালিত হয়েছে আন্তরিকতায়। বিন¤্র শ্রদ্ধায়। অফুরান ভালোবাসায়।
বাংলাদেশের বিশিষ্ট সাংবাদিক-কলামিষ্ট, পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষা ও বৃক্ষরোপনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার স্বর্নপদক প্রাপ্ত নিস্বর্গবিদ বৃহত্তর সিলেটের সাংবাদিকতা-সাহিত্যাঙ্গনের উজ্জল জোতিষ্ট আমার ফ্রেন্ড-গাইডও ফিলসফার বন্ধুবর আফতাব চৌধুরী জানালেন সাংবাদিক জাহিরুল হক চৌধুরীর মৃত্যোবার্ষিকী উপলক্ষে একখানা স্মারক সংকলন ও বের হবে- লেখা দিতে হবে। সাম্প্রতিক কালে কতেক দুরারোগ্য কঠিন ও জটিল ব্যাধি এবং বার্ধক্য জনিত দূর্বলতার কারনে শাহ্ আব্দুল করিমের ভাষায় আমার এখন “- গাড়ি চলে না, চলে না রে”- অবস্থা। ফলত শয্যাশায়ী-সোফাশায়ী হয়ে কাল কাটাচ্ছি-হয়ত প্রহর গুনছি। কিন্তু ভ্রাতৃপ্রতিম আফতাব চৌধুরীকে ত না বলা যায় না, তাছাড়া উদ্যোগটি খুবই মহৎ। এমন একটি মহতি উদ্যোগের সঙ্গেঁ নিজেকে সম্পৃক্ত করা খুশ নসীব এর ব্যাপার, তাই বিছমিল্লা বলে আল্লাহ নবীর নাম নিয়ে মরহুম জাহিরুল হক চৌধুরীর উজ্জল স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে রচনার নামে এই ব্যর্থ প্রয়াস।
ত্রয়োদশ শতাব্দীর খ্যাতিমান সাধক পিরানে পীর-বীর শাহ জালাল ইয়েমেনীর স্মৃতি ধন্য পূন্য ভূমি শ্রীহট্ট একটি প্রাচীন বর্ধিষ্ণু সুসভ্য জনপদ। যুগে যুগে রতœা গর্ভা সিলেটের পান্ডিত্যে সিলেটি সমাজ সম্বৃদ্ধ হয়েছে। সেকালে সিলেট ছিল জেলা সদর হালে হয়েছে বিভাগীয় সদর। সর্বোপরি সিলেট সদরে বিভাগীয় শহরে চীর শয়ানে শায়িত আছেন হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনী (রঃ)। পীর শাহ জালাল এবং বৃহত্তর সিলেটের সিলেটী ঐতিহ্য-সিলেটকে অভিন্ন ও সুসংহত করে রেখেছে। বয়স ও প্রাচীনত্বের দিক দিয়ে উপমহাদেশের মধ্যেই সিলেট প্রাচীন জনপদ। বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বয়স যেখানে চারশত বৎসর, কোলকাতার বয়স যেখানে মাত্র তিনশত বছর, সেখানে সিলেটের বয়স সাতশত বৎসর। এই সাতশত বৎসর বয়সী সিলেটের সাংবাদিকতা ও সংবাদপত্র শিল্পের রয়েছে গৌরব জনক অধ্যায়। প্রসঙ্গঁত উল্লেখ্য আধুনিক কল্যাকামী রাষ্ট্রে মিডিয়া রাষ্ট্রে চতুর্থ স্তম্ভ হিসাবে স্বীকৃত। আমাদের মিডিয়া ভূবনেও এসেছে সৌকর্য্য- সৌন্দর্য্য ও পূর্নতা। পৃন্ট মিডিয়ায় মান্দাতার আমলের লেটার প্রেস এর পরিবর্তে কম্পিউটার-অফসেট পৃন্টার্স এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার আবিস্কার ও ব্যবহার মিডিয়া ভূবনকে আকর্ষনীয় করেছে। কালে কালে দেশে দেশে একটি পত্রিকা-প্রকাশনা সংস্থা এবং একজন সম্পাদক কে কেন্দ্র করে সৃজনশীল সাহিত্য কর্ম এবং গনমুখী সাংবাদিকতার বিকাশ ও বিস্তৃতি লাভ করেছে। একজন বস্তুনিষ্ট সাংবাদিক একজন জীবন ঘনিষ্ট কবি সাহিত্যিক তৈরী ও পৃষ্টপোষকতায় একটি প্রগতিশীল পত্রিকা এবং একজন ভালো মানুষ সম্পাদক গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা রাখেন। উন্নত সমাজ বিনির্মান এবং শক্তিশালী রাষ্ট্র গঠনে পত্রিকা ও সম্পাদকের ভূমিকা অপররিসীম। জাতীয় পর্য্যায়ে তফাজ্জুল হোসেন মানিক মিয়ার সম্পাদনায় দৈনিক ইত্তেফাক, মৌলানা আকরম খাঁর সম্পাদনায় দৈনিক আজাদ, আহমদুল কবিরের সম্পাদনায় দৈনিক সংবাদ এর ভূমিকা ও অবদান এবং নারী জাগরনে নূরজাহান বেগম সম্পাদিত বেগম পত্রিকার ভূমিকা দেশবাসীর জানা। আমাদের সিলেটে সেকাল থেকে একালে এই জাতীয় ধারাবাহিকতায় পাঠাগার আন্দোলনের পথিকৃত মৌলভী মোঃ নুরূল হক সম্পাদিক আল ইসলাহ ও কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ, আমিনুর রশীদ চৌধুরীর সম্পাদনায় সাপ্তাহিক-দৈনিক যুগভেরী, দানবীর ডক্টর সৈয়দ রাগীব আলীর সম্পাদনায় দৈনিক সিলেটের ডাক, জাহিরুল হক চৌধুরীর সম্পাদনায় দৈনিক সিলেট বানী, আধুনিক সিলেটের সংবাদপত্র শিল্প ও সেবার ইতিহাসে গৌরবোজ্জল অধ্যায়। দানবীর রাগীব আলী রাগীব-রাবেয়া ফাউন্ডেশন সাহিত্য পুরস্কার ও একুশে পদক প্রদান করে বৃহত্তর সিলেটের কবি সাহিত্যিক সাংবাদিক বৃন্দকে পৃষ্টপোষকতা ও সম্মান প্রদর্শন করছেন।
এই ধারাবাহিকতা ও প্রেক্ষিতে সিলেট বানী সম্পাদক জাহিরুল হক চৌধুরী একটি বলিষ্ট ও প্রাসঙ্গিঁক নাম। সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলাধীন শ্রীরামসী গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম চৌধুরী বাড়ির সন্তান জাহিরুল হক চৌধুরী। বৃটিশ ভারতের শেষ সময় ১৯৪৪ সালে জন্ম নেয়া জাহিরুল হক চৌধুরী পাকিস্তানী স্বাধীনতার পর বৃটেন প্রবাসী হন। একাত্তোর সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে একজন সংঘটক হিসাবে তিনি বৃটেনে কাজ করেন। বৃটেন প্রবাসী জাহিরুল হক চৌধুরী বিলেতি রঙ্গীঁন জীবনে গা ভাষিয়ে লালপানি পান করে লাল মেম সাহেবদের পিছু পিছু ঘুরে বেড়াননি। লারেলাপ্পা জীবন যাপন করেন নি। সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান হিসাবে বিলেতে সুশৃঙ্খল জীবন যাপন করতঃ একসময় দেশের টানে বিলেতী রর্ঙ্গীঁন জীবন পিছনে ফেলে চীরতরে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করতঃ ধর্ম্ম কর্ম্ম ও সমাজ সেবায় লেখালেখির প্রতি গভীর অনুরাগ ছিল। সিলেটে স্থায়ীভাবে বসবসকারি জাহিরুল হক চৌধুরী আশির দশকের শুরু থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। ১৯৮৪ সালে তার হাত দিয়েই বের হয় দৈনিক সিলেট বানী-। তাঁর আন্তরিক উদ্যোগ-অভিবাবকত্ব ও নেতৃত্বে দৈনিক সিলেট বানীকে কেন্দ্র করে আধুনিক সাংবাদিকতা ও সাহিত্যের একটি শক্তিশালী আসর আড্ডা গড়ে উঠে। তিনি এবং দৈনিক সিলেট বানী, সাংবাদিক এবং লেখক সৃষ্টিতে সহযোগিতা পৃষ্টপোষকতা দিয়েছেন। ছড়া চর্চা ও কাব্য আন্দোলনে তার এবং বানীর গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা ছিল।
ষাটের দশকে এম.সি কলেজের ছাত্র ছিলাম। ছাত্র রাজনীতি ও সাহিত্য সাংবাদিকতায় জড়িত ছিলাম। তখন আমাদের নেতা ছিলেন নবীণ সাহিত্যিক অগ্রজ প্রতিম সৈয়দ মোস্তফা কামাল। আমাদের আদর্শ পূরুষ তখন রম্য গল্প গ্রন্থ –“রং এর বিবি-” প্রকাশ করে শ্রীভূমি সিলেটের সাহিত্যাঙ্গঁনে রঙ্গীন-রংময় বাঙময় প্রাণবন্ত করে তুলেন। তখন সাহিত্য সাংবাদিকতার একক পৃষ্ট পোষক ছিলেন আমিনুর রশীদ চৌধুরী এবং দেশের প্রাচীনতম পত্রিকা যুগভেরী। সুরমা পারের কবি দিলওয়ার সিলেটি পৃষ্ট পোষকতায় পুষ্ট হয়ে সুরমাপাড় থেকে উড়াল দিয়েছেন বুড়িগঙ্গার তীরে- ঢাকায় অবদান রেখেছিলেন ঢাকাই সাংবাদিকতায়- সম্পাদনায়। জাতীয় কাব্যাঙ্গঁনে।
পূন্যভূমি সিলেটের এই ধারাবহিক প্রাতিষ্টানিক পৃষ্টপোষকতায় সংযুক্ত নাম সিলেট বানী এবং বানী সম্পাদক জাহিরুল হক চৌধুরী। সহজ সরল সাদা মনের সদা হাস্য উজ্জল নির্মল চরিত্রের অধিকারি আলহাজ¦ জাহিরুল হক চৌধুরী ছিলেন একজন ধর্মপ্রান ইমানদার মুসলমান। দুনিয়াদারির সঙ্গেঁ তিনি ছিলেন ধর্ম অন্তপ্রান। তিনি নগরীর আগপাড়া জামে মসজিদের মোতাওয়াল্লী সহ মসজিদ মাদ্রাসার উন্নয়নে কাজ করেছেন।
ধর্মপ্রান মুসলমান হাজি জহিরুল হক চৌধুরীর বয়স কর্ম ও জীবনাচরনের সঙ্গেঁ আমার নিজের জীবনের কিছু মিল খুঁজে পাই। আমি নিজে প্রবাসী না হলেও আমি ছাড়া আমার পরিবারের আর প্রায় সকলই প্রবাসী ছিলেন-আছেন। বয়সে আমার প্রায় কাছাকাছি। আমিও তার মত একটি মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছি। যৌবন কালে পত্র পত্রিকা সম্পাদনা-প্রকাশনায় ছিলাম। মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি। বিশ^ কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভূবনে মানবের মাঝে আমি বাঁচিবার চাই বলে যে আকুলতা-ব্যকুলতা প্রকাশ করেছিলেন তা এখনও সঠিক, কারন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙ্গাঁলির হৃদয়ে এখনও জীবিত। তার কবিতা আমাদের জাতীয় সঙ্গীঁত। তার লেখা আমাদের পাঠ্য পুস্তকে। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বেঁচে থাকার আকাংখ্যা শারিরীক ছিলনা, ছিল কাব্যিক-কার্য্যকি যা এখনও সঠিক। সাংবাদিক সম্পাদক আলহাজ¦ জাহিরুল হক চৌধুরী এখন বেঁচে আছেন আমাদের ব্যাক্তি ও সমাজ জীবনে তাঁর কাজে কর্মে চিন্তা চেতনায়।
শ্রদ্ধেয় ডক্টর শহীদুল্লা বলেছিলেন যে সমাজ গুনীর সম্মান দেয়না সে সমাজে গুনী জন্মায় না। আভিজাত্যে সিলেটি সমাজ হৃদয়বান। সংবেদনশীল। দায়িত্ববান। আন্তরিক। বানিজ্যায়ন-দূবৃত্তায়ন এবং ভ্রষ্টাচারের জোয়ারের মাঝেও তিনশত ষাট আউলিয়ার মুল্লুক শাহ জালালের জালালাবাদ- সিলেট এখনও সিলেটী ঐতিহ্য, নীতিকথা, নৈতিকতা, সামাজিক মূল্যবোধ ধারন করে। লালন করে। রুচীর দূর্ভিক্ষ সিলেটি সমাজকে এখনও গ্রাস করতে পারেনি। শ্রীচৈতন্যের পিতৃভূমি সিলেটের সাম্প্রদায়ীক সম্প্রিতি এখনও চমৎকার। রূচীবান ও হুদয়বান সিলেটবাসী গুনীর সম্মান দেন। মরহুম জাহিরুল হক চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যো বার্ষিকীও এবারও পালিত হবে আন্তরিকতায়। মায়ায়। মমতায়। মরহুমের কর্ম্ম ও জীবন দর্শন নিয়ে বেরুবে গ্রন্থ।
সিলেট বানী সম্পাদক আলহাজ¦ জাহিরুল হক চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যো বার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি সহ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। মহান মালিক তাঁর বেহেশত নসীব করুন এই মোনাজাত করছি।
[ষাটের দশকের সাংবাদিক। কলামিষ্ট। সিনিয়র এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।
]

সংবাদটি শেয়ার করতে নিচের “আপনার প্রিয় শেয়ার বাটনটিতে ক্লিক করুন”

মন্তব্য করুন

Social Media Auto Publish Powered By : XYZScripts.com