(ভিডিও সহ) তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি কাপড় ব্যবসায়ী সেলিনার মস্তক
আশরাফ আলী॥ মৌলভীবাজারে কাপড়ের ফেরিওয়ালা সেলিনা বেগমের (মঙ্গলা বেগম) মস্তকবিহীন লাশ উদ্ধার হওয়ার ৩দিন অতিবাহিত হলেও ২২ জানুয়ারী সোমবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মস্তক উদ্ধার হয়নি। সেলিনা বেগমের ছেলে আলম বলেন,পুলিশ মস্তক উদ্ধাররের জন্য তেমনটা তৎপর নয়। মস্তকের সন্ধ্যানে অভিযান চালাতে থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে ধরনা দিলে বলা হয় আমাকে খোঁজার জন্য। পরে আমি সহপাঠীদের নিয়ে নৌকা দিয়ে রবিবার বিকেলে বেরিরচরের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজাখুজি করেও পাইনি। সেলিনার পরিবারের অভিযোগ, এলাকার প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ঘটনাটি ধামাচাঁপা দেয়ার চেষ্টা চলছে।
সেলিনার পরিবার আরোও জানায়, বেরিরচর এলাকার জোৎ¯œ্যা বেগম দুই বছর আগে জোনাকী ষ্টোর নামে মুদি দোকানের ব্যবসা শুরু করতে সেলিনা বেগমের কাছ থেকে ৫০হাজার টাকা ধার নেন এবং কাপড়ের লেনদেন বাবদ জোৎ¯œ্যা বেগমের কাছে ৩০হাজার টাকা পাওনা ছিল। পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে জো¯œ্যার সাথে সেলিনার একাধিকবার ঝগড়া হয়েছে। ঘটনার আগের দিন শুক্রবার বিকেলে পাওনা টাকা আনতে জোৎ¯œ্যা বেগমের বাসায় গেলে আবারও ঝগড়া হয়। সেলিনা বেগমের পরিবার প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে হত্যার সাথে জোৎ¯œ্যা বেগমের সম্পৃত্ততা রয়েছে।
জানা যায়,২৬ বছর ধরে সেলিনা বেগম মৌলভীবাজার পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফেরী করে কাপড় বিক্রি করতেন।
শুক্রবার দুপুরে বাকীর টাকা তুলতে খাতা নিয়ে বাসা থেকে বের হলে আর ফিরে আসেননি। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর শনিবার দূপুর শহরের বেরিরচরের গুলবাগ এলাকা থেকে সেলিনা বেগমের মস্তক বিহীন বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ শনিবার জোৎ¯œা বেগম, তার দু’ছেলে জোনাক (১৮), ঝিনুক (১৬), স্বামী শাহীন মিয়া ও বেরিরচরের নৌকার মাঝি উজ্জ্বল মিয়াকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রবিবার রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। সেলিনা বেগমের ছেলে আলম বাদীয় হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, মস্তক উদ্ধার করার জন্য আমরা তৎপর। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলের কয়েকজনকে এনে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এবং আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে।
মন্তব্য করুন